জমসম শহরটি নেপালের মুস্টাং জেলায় অবস্থিত যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭৬০ মিটার উচ্চতায় এবং কালী গান্ধাকী নদীর তীরে অবস্থিত। এই শহরটি খুব জনপ্রিয় ট্রেকিং করার জন্যে। কালী গান্ধাকী নদীর তীর ধরে ট্রেক করে মুক্তিনাথ মন্দির পর্যন্ত যা জমসম-মুক্তিনাথ ট্রেক নামে পরিচিত। অন্নপুর্না সার্কিট ট্রেক এর অংশ হিসেবে এই ট্রেক করা যায়। বলা হয় নেপালের সর্বোচ্চ তুষারপাতের শহর এটি। হিমালয়ের একদম কাছে হওয়ায় এমনটি ধারনা করা হয়ে থাকে।
এখানকার মানুষগুলো খুবই অতিথিপরায়ণ। কমবেশি সবাই ইংরেজি বুঝে আর সবাই কাজ চালানোর জন্য যতটুকু দরকার বলতে পারে।
কিভাবে যাওয়া যায়
কাঠমন্ডু থেকে টুরিস্ট বাসে করে পোখরা, সময় লাগবে ৮ ঘন্টার মত, ভাড়া পড়বে ৭৫০ রুপী। পোখরা থেকে বাই এয়ারে যেতে পারেন, সময় লাগবে ২০ মিনিট এর মত এবং ভাড়া পড়বে ৮০-১১০ ডলার। অথবা পোখরা থেকে জীপে কিংবা বাসে জমসম যেতে পারেন। জীপে গেলে ভাড়া পড়বে ১৬০০ রুপীর মত এবং সময় লাগবে ৯-১০ ঘন্টা। আর যদি পোখরা থেকে বাসে যান তাহলে সময় লাগবে ১২-১৪ ঘন্টা এবং ভাড়া গুনতে হবে ১২০০ রুপীর মত।
আপনি চাইলে কাঠমান্ডু থেকে সরাসরি জমসম যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে জার্নিটা একটু কস্টসাধ্য হয়ে যাবে। সময় লাগবে ১৭-১৯ ঘন্টা এবং ভাড়া পড়বে ১৬০০ রুপীর মত।
কোথায় থাকবেন
১২০০ থেকে ২০০০ রুপী এর মধ্যে ভালো থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিছু হোটেলের নাম দেয়া হলো – Jomsom Mountain Resort (পাঁচ তারকার সুবিধা সম্বলিত): এয়ারপোর্ট থেকে হেঁটে পৌঁছাতে ২০ মিনিট এর মত সময় লাগবে। যোগাযোগঃ 977-69-440035, 977-69-440036
খাওয়া-দাওয়া
আনুমানিক ১০০০ রুপীতে খুব ভালো ভাবে খাওয়া হয়ে যাবে। পেট ভরে খানাপিনা করার জন্য নেপালি ডাল-ভাত থেকে শুরু করে স্টেক-স্প্যাগেটি পর্যন্ত নানান ভ্যারিয়েশনের জিনিশ পাওয়া যায়।
WhatsApp us