দামতুয়া / তুক অ / লামোনই ঝর্ণা

blank
ডিমপাহাড়
October 28, 2020
blank
জোতলাং/মোদক মুয়াল
October 28, 2020
Show all

দামতুয়া / তুক অ / লামোনই ঝর্ণা

blank

দামতুয়া (Damtua Waterfall) ঝর্ণাটি পার্বত্য বান্দরবান জেলার আলীকদমে অবস্থিত যা অনেকের কাছে ডামতুয়া/তুক অ/লামোনই ঝর্ণা নামেও পরিচিত। ঝর্ণার নাম সাধারনত বেশীর ভাগই ঝিরির নাম অনুসারে হয়। ঝর্ণাটি যে ঝিরিতে তার নাম ব্যাঙ ঝিরি। যেহেতু মুরং এলাকায় অবস্থান তাই তাদের ভাষায় ব্যাঙ কে “তুক” বলে আর ঝিরিকে “অ” বলে। দামতুয়া অর্থ হলো এর খাড়া আকৃতির জন্য এর দেয়াল বেয়ে উপরে ব্যাঙ বা মাছ উঠতে পারেনা। আর ওয়াজ্ঞাপারাগ অর্থ পাহাড়/উচুঁ স্থান থেকে পানি পড়া। তাই তারা এক কথায় তুক অ ডামতুয়া ওয়াজ্ঞাপারাগ সহ উনাদের ভাষায়

যাওয়ার উপযুক্ত সময়
বছরের যে কোন সময় দামতুয়া ঝর্ণায় যাওয়া যায়। তবে ঝর্ণায় যেহেতু পানি বেশী থাকে বর্ষাকালে এবং বর্ষার পরের সময়টুকুতে, তাই এই সময়েই যাওয়া ভালো। তবে অতি বৃষ্টি হলে যাবার পথ অনেক কঠিন হয়ে যায়। সেই বিষয়ও আপনার বিবেচনায় থাকতে হবে।

কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি আলীকদমের বাস আছে, ভাড়াঃ ৮৫০ টাকা নন এসি। সব ধরনের বাসের মধ্যে হানিফটাই ভালো বেশী। আলীকদম গিয়ে পৌছাবেন সকাল ৮-৩০ থেকে ৯-০০ টার দিকে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চকোরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল নেমে বাস অথবা চাঁদের গাড়ি করে আলীকদম বাস ষ্টেশন যেতে পারেন। ঢাকা থেকে চকরিয়া বাস ভাড়া শ্রেণিভেদে ৭৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। যাবার সময় বাসের সুপারভাইজারকে চকরিয়া বাজারে নামিয়ে দিতে বললে আপনাকে নামিয়ে দিবে।

আলীকদম থেকে দামতুয়া ঝর্ণা
আলীকদমে এসে আলীকদমের পানবাজার থেকে আপনাকে বাইক ভাড়া করে যেতে হবে আলীকদম-থানচি রাস্তার ১৭ কিলোমিটার পয়েন্টের আদুপাড়াতে। এক বাইকে ২ জন করে বসা যাবে, জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ২৫০-৩০০ টাকা। ভাড়ার বিষয়ে আপনাকে দরদাম করে নিতে হবে। অথবা আপনারা একসাথে বেশি মানুষ থাকলে আলীকদম থেকে চান্দের গাড়ী/জীপ ভাড়া করে নিতে পারবেন। আলীকদম থেকে যাবার পথে ১০ কিলোমিটার পৌছানোর পর সেখানের আর্মি ক্যাম্পে হাজিরা দিতে হবে। সেখানে সবার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও ফোন নাম্বার দিয়ে নাম এন্ট্রি করে সামনে যাবার জন্যে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। আর মনে রাখতে হবে আপনাকে অবশ্যই সেইদিনই ট্রেকিং শেষ করে বিকেল ৫ টার আগে এই ১০ কিলো আর্মি ক্যাম্পে ফিরে এসে রিপোর্ট করতে হবে। তাই সময়ের দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ। ১৭ কিলোমিটার পয়েন্টে আদুপাড়া নামের একটা গ্রাম আছে সেখানে নেমে আপনাকে ট্রেকিং শুরু করতে হবে। আদুপাড়া থেকে ঘুরে ফিরে আসতে প্রায় ৬ ঘণ্টার মত লাগবে। তবে ট্রেকিং শুরু আগে আপনার প্রয়োজনীয় কিছুর দরকার হলে সেখানের ছোট স্থানীয়

সাথে যা যা থাকতে হবে
ভোটার আইডি কার্ড (1st priority) অন্যথায় কলেজ/ভার্সিটি আই,ডি,কার্ড বা জন্মসনদ/পাসপোর্ট এর ফটোকপি যথেষ্ট পরিমান পলিথিন ট্রেকিং এর জন্যে ভালো গ্রীপের স্যান্ডেল/জুতা ব্যবহার করুন।

থাকার ব্যবস্থা
আলীকদম বাজারে তিনটি থাকার হোটেল রয়েছে। আলীকদম গেস্ট হাউজ, হোটেল দামতুয়া, হোটেল আলীকদম। ভাড়া ৬০০- ২০০০ টাকার মধ্যে। অবশ্যই রুম নেওয়ার আগে ভাড়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। এছাড়া আলীকদমে ফিরে সোজা চলে যেতে পারেন শৈলকুঠির রিসোর্টে। যোগাযোগ নাম্বার – 01820403355 (হাসান মাহমুদ ভাই, মালিক, শৈলকুঠির রিসোর্ট)

খাওয়া-দাওয়া
আলীকদমে বা আলীকদমের পানবাজারে খাওয়ার জন্যে মোটামুটি মানের বেশ কিছু হোটেল আছে। সেখানে দেশীয় খাবারের ব্যবস্থা আছে, অল্প খরচে খেয়ে নিতে পারবেন। সকালে খেয়ে রওনা দিবেন এবং যাবার সময় শুকনা খাবার নিয়ে যেতে হবে। দামতুয়ার আশে পাশে কোন হোটেল বা দোকান নেই। ফিরে এসে আলীকদম বাজার থেকে খেতে পারবেন অথবা শৈলকুঠির থেকে খেতে পারবেন (খাবারের মুল্য তুলনামূলক বেশি হলেও খাবারের মান বেশ ভালো)।

প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও ভ্রমণ টিপস
ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তা অতি দুর্গম। যাঁরা পাহাড়ি পরিবেশে হাঁটতে পারেননা তারা সেখানে না গেলেই ভালো। যেহেতু বেশ বড় ট্রেকিং ট্রেইল, তাই আপনার ব্যাকপ্যাকের ওজন যত কম রাখা যায় ততই ভালো। নিজের সাথে শুকনো খাবার, স্যালাইন, পানি ও কিছু প্রাথমিক ঔষুধ সাথে রাখবেন অবশ্যই। পথে জোঁক থাকতে পারে, তাই সতর্ক থাকবেন। লম্বা মোজা পরে থাকলে জোঁক কম ধরবে। শিশু, বয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের সেখানে না নেওয়াই ভালো। যে কোন ভাড়ার জন্যে দরদাম করে নিবেন। পাহাড়ী পথে বা ঝিরিতে হাঁটার সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *