বিচু (Bichu), উত্তর সিকিমের এক ছোট্ট অপূর্ব মনোরম গ্রাম যা ৮৬০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। বিচুতে মূলত লেপচা এবং ভুটিয়াদের বাস। গ্যাংটক থেকে বিচুর দুরত্ব ১১০ কিলোমিটার এবং নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ১৮৫ কিমি। চুংথাং থেকে লাচুং যাওয়ার পথে এই গ্রাম পর্যটকদের নজর কাড়বে। যদিও এই স্পট হিমালয়ান ট্রাভেলারদের কাছে বেশি জনপ্রিয় নয়। গোটা ৪০ ঘর নিয়ে এই বিচু গ্রাম, হোমস্টে বা হোটেল বিশেষ নেই বললেই চলে। বরফাবৃত উচু পর্বত শ্রেণী দিয়ে মোরা শীতল পরিবেশে প্রকৃতির অপরূপ শোভায় নিজেকে হারিয়ে ফেলতে বিচুতে কাটাতে পারেন দুদিন। গ্যাংটক থেকে পারমিশন করে বিচ্চু পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। এই রাস্তায় অসংখ্য ছোট বড়ো পাহাড়ি ঝর্ণা আপনার নজর কাড়বে। এর মধ্যে কানন ফলস, বচ্চন ফলস বিখ্যাত। রাস্তার ধরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে উঠিয়ে নিতে পারেন মনের মতো সেলফি। তবে এই রাস্তা বেশ বিপদসংকুল। বিশেষ করে বর্ষাকালে ল্যান্ডস্লাইড হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। তাই বর্ষায় না যাওয়াই ভালো। অনতিদূরেই অবস্থিত লাচুং গ্রাম। লাচুং, যা পর্যটকদের মধ্যে অনেক বেশি পরিচিত। তবে প্রকৃতির নির্জনতা অনুভব করতে বিচ্চু অনবদ্য। এই গ্রামের যেদিকেই চোখ যাবে বরফাবৃত পর্বতশৃঙ্গ। বিচু থেকে মাউন্ট কাটাও দেখা যায়। বিচু থেকে ঘুরে আসতে পারেন ইউমথাং ভ্যালি, মাউন্ট কাটাও, ইউমস্যামডং বা জিরো পয়েন্ট, মানখিম মন্দির প্রভৃতি স্থান।
কখন যাবেন
উত্তর সিকিমে অবস্থিত হওয়ায় গ্যাংটক কিম্বা মাংগান থেকে পারমিশন নিয়ে বিচু যেতে হয়। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং তুষারপাত এর কারণে ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি এবং ল্যান্ড স্লাইডের আশঙ্কা থাকায় বর্ষা কালে না যাওয়াই ভালো। অক্টোবর-নভেম্বর এবং মার্চ থেকে মে বিচু ভ্রমণের আদর্শ সময়। মার্চ-এপ্রিল মাসে এই অঞ্চলে প্রচুর পাহাড়ি ফুল ফোটে সঙ্গে অবশ্যই বাড়তি পাওনা অসংখ্য প্রজাতির হিমালয়ান বার্ডের উপস্থিতি।
যাওয়ার উপায়
গ্যাংটক থেকে বিচু যেতে সময় লাগে ৪.৩০ ঘন্টা – ৭ ঘন্টা। সময়ের এতটা তারতম্য দিলাম আপনার জন্যেই। যদি যাবার পথে রাস্তায় খুব বেশী সময় নস্ট করেন তাহলে এমনটাই লাগবে 🙂 গাড়ী ভাড়া আনুমানিক ৪০০০/- টাকা।
কোথায় থাকবেন
বিচুতে নানা বাজেটের হোটেল, হোমস্টে পাবেন না। একটি কি দুটি হোমস্টে রয়েছে। হোমস্টের আতিথিয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে। গ্রামবাসীরাই এই হোমস্টে গুলির দেখভাল করেন। হোমস্টে খরচ – জন প্রতি ১৫০০/- প্রতিদিন (সমস্ত মিল সহ)
WhatsApp us