প্রাচীন রাজাদের আবাসস্থল ছিল ভক্তপুর। ভক্তপুর (Bhaktapur) শহরের অবস্থান কাঠমান্ডু থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে। এটি ছিলো প্রাচীন নেপালের রাজধানী। নেপাল এর ঐতিহ্যবাহী ভক্তপুর কে স্থানীয়রা বুদগাঁও নামে চেনে। আর একটা নাম ছিলো এর খৌপা।
শহরটি মধ্যযুগীয় শিল্প-সাহিত্য, কাঠের কারুকাজ, ধাতুর তৈরি মূর্তি ও আসবাবপত্রের যাদুঘর বলে পরিচিত। শহরটিতে বৌদ্ধ মন্দির ও হিন্দু মন্দিরের অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়। বেশ কিছু ধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে এখানে। প্রাচীন কৃষিভিত্তিক জীবনযাত্রার ছোঁয়াও এখানে পাওয়া যায়। এখানকার স্থানীয়রা এখনও কাঠমান্ডু ভ্যালির অনেক আবাদি জমিতে ফসল ফলায়। এর চিহ্ন মিলে, স্থানীয়দের বাড়ির জানালায় ঝুলে থাকা খড়, কিছু পাত্র আর কৃষি কাজে ব্যবহৃত নানা উপকরণের প্রাচুর্য।
ভক্তপুর এর দর্শনীয় স্থাপত্যের মধ্যে রয়েছে – পশ্চিম তামূধি তোল গেট, পটার্স স্কয়ার, পটার্স স্কয়ারের সিংহদ্বার, তামূধি তোল, নয়া তাপোলা মন্দির, ভৈরবনাথ মন্দির, তিল মহাদেব নারায়ণ মন্দির, দরবার স্কয়ার, এরোটিক এলিফ্যান্টস মন্দির, উগরাচান্দি এবং ভৈরব মূর্তি, রাজা ভূপতিন্দ্র মাল্লার কলাম, ভত্সলা দুর্গা মন্দির এবং তেলেজু ঘণ্টা, রাজভবন, ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি, সোনালী গেট, চায়াসিলিন মণ্ডপ, সিদ্ধি লক্ষ্মী মন্দির, ফাসিদেগা মন্দির, তাধূনচেন বাহাল, তাচুপাল তোল, দত্তনারায়ণ মন্দির, ভীমসেন মন্দির, তাচুপাল জাদুঘর ইত্যাদি।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বিমানে চড়ে পৌঁছে যাবেন কাঠমাণ্ডু। কাঠমাণ্ডু থেকে একটা মাইক্রোবাস বা টেক্সি ভাড়া করে চলে যাবেন ভক্তপুর। ভক্তপুর এ যাওয়ার মাইক্রোবাস ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মাঝে হয়ে যাবে।
কোথায় থাকবেন
আপনি দিনে দিনে কাঠমান্ডু থেকে ভক্তপুর যেয়ে ঘুরে আসতে পারেন, তারপরও আপনি যদি ভক্তপুরে থাকতে চান তাহলে ওখানে থাকার জন্যে বাজেট হোটেলের মধ্যে আছে – শিভা গেস্ট হাউজ (ভাড়া ১২০০ টাকা), প্লানেট ভক্তপুর হোটেল (ভাড়া ২৬০০ টাকা), ভক্তপুর প্যারাডাইস হোটেল (ভাড়া ২৭০০ টাকা) ইত্যাদি। আর যদি আয়েসী হোটেলে থাকতে চান সেক্ষেত্রে থাকতে পারেন হোটেল হ্যারিটেজে, ভাড়া পড়বে ৭৪০০ টাকার মত।
WhatsApp us