ভার্সে

blank
লাচুং
October 18, 2020
blank
ওখড়ে
October 18, 2020
Show all

ভার্সে

blank

পশ্চিম সিকিম এর এই জায়গাটার নাম কেউ বলে বার্সে, আবার কেউ বলে ভার্সে যা পশ্চিম সিকিমের এক বিখ্যাত ট্রেকিং ডেস্টিনেশন। এই ভার্সে জায়গাটির পরিচিতি প্রধারণত ‘ভার্সে রডোডেনড্রন স্যাংচুয়ারি’ (Varsey Rhododendron Sanctuary) এর জন্য যা ১০৪ বর্গ কিমি জুড়ে বিস্তৃত। এই স্যাংচুয়ারিটি সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত যার পশ্চিম প্রান্তে নেপাল সীমান্ত। ১০,০০০ ফিট উচ্চতায় ভার্সে শুধু গুরাসের জন্যই বিখ্যাত এমন কিন্তু নয়। পরিষ্কার দিনে এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা খুব কাছ থেকে দেখা যায়৷ হাতে ১ দিন সময় বেশি থাকলে চলে যাওয়া যায় ৫ কিমি দূরে গুরাসতাল।
বার্সে/ভার্সে আসলে সিঙ্গালিলা রিজের মধ্যে অবস্থিত, যা কি না ভারত আর নেপালের প্রাকৃতিক সীমারেখা তৈরি করেছে। ট্রেকিং এর সময় আপনি ফুটেধারা হয়ে, সোরেং আর হি বার্মোইক পাবেন। আরও একটু বেশি চাইলে, এই জায়গা থেকে আপনি সিঙ্গালিলা পাসে পৌঁছে যাবেন, যেখান থেকে আপনি ফালুটেও চলে যেতে পারবেন।
ভার্সে থেকে মিনিট দশেকের হাঁটা পথে আপনি যেতে পারেন ভার্সে টপে। এখান থেকে আদিগন্ত বিস্তৃত এক ক্যানভাসে আপনি দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। একেবারে ১৮০ ডিগ্রি উন্মুক্ত। ভার্সেতে কোনও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই, নেই লাগাতার জলের জোগান। তাই রাত বাড়লে মোমের টিমটিমে আলোই ভরসা। বস্তুত, নাগরিক সভ্যতার যান্ত্রিক জীবনযাপন থেকে শত যোজন দূরে বেঁচে থাকে এই একফালি পাহাড়।

কিভাবে যাবেন
নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে অথবা বাসে যেতে হবে জোরথাং। শেয়ার গাড়ি হলে জোরথাং এ গিয়ে অন্য গাড়ি নিতে হবে। জোরথাং থেকে আপনাকে যেতে হবে ওখরেতে। ওখরে থেকে হিলে আর ভার্সে যেতে হয়। ভার্সে যেতে হলে আপনাকে হিলে হয়ে যেতে হবে। আবার হিলেতে আপনাকে যেতে হবে ওখরে হয়ে। তাই ওখরেতে একরাত থাকতেই হবে। ওখরের উচ্চতা প্রায় ৯০০০ ফিট, ভার্সের উচ্চতা ১০০০ ফিট বেশি। ওখরে থেকে হিলের দূরত্ব ৯ কিমি। ওখানে এম এন শেরপা আপনার জন্য সব ব্যবস্থা করে দেবে। গাড়ি নিয়ে সকাল সকাল চলে যান হিলেতে। চেকপোস্টে পারমিট করে নিয়ে ঢুকে যান ভার্সে রোডোডেন্ড্রন স্যানকচুয়ারিতে। দুভাবে আপনি করতে পারেন। এক, গাড়ি বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ট্রেকিং করে গিয়ে ফিরে আসতে পারেন অথবা সেই রাতে আপনি ভার্সের ভেতরেই থাকতে পারেন। সেই মতো গাড়ি এসেও যাবে পরদিন।

কখন যাবেন
আপনারা যদি রডোডেনড্রন ফোটার মৌসুমে যেতে চান তাহলে সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল। তবে মনে রাখবেন সেই সময় বরফ দেখতে পাবেন না।

থাকার ব্যবস্থা
ভার্সেতে থাকার জায়গা – গুরাস কুঞ্জ এবং ফরেস্ট ব্যারাক। খাতায় কলমে গুরাস কুঞ্জ সরকারি হলেও বর্তমানে এক স্থানীয় যুবক লিজ নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *