মেঘালয় ট্যুর প্ল্যান এবং খরচপাতি

blank
সিকিম ভ্রমণ – কিছু পরামর্শ এবং আমার খরচের হিসাব
October 22, 2020
blank
মিঠামইন হাওর
October 22, 2020
Show all

মেঘালয় ট্যুর প্ল্যান এবং খরচপাতি

blank

৩ রাত ৪ দিনের ট্যুরে সাত জনের জন প্রতি মোট খরচ ১০০০০ টাকা। একটু হিসেব করে চললে ৮০০০/৯০০০ টাকার এর মধ্যে হয়ে যাবে।

ভিসা
ভিসা লাগবে ডাউকি বর্ডার (Dawki/Tamabil Border) দিয়ে। বর্ডারে ডলার চেক করে। সাথে করে ডলার নিয়ে যাবেন দেশ থেকেই। ট্রাভেল ট্যাক্স দেশেই দিয়ে যাবেন। তাইলে বর্ডার দ্রুত পার হতে পারবেন। ট্রাভেল ট্যাক্স জমা দিতে হয় সোনালী ব্যাংকে। চট্টগ্রামের ধলিয়ানপাড়া, দেওয়ানহাট শাখায় জমা দিতে হয়।

ট্যুর প্ল্যান

১ম দিন
সকালে তামাবিল বর্ডার পার হয়ে ওপারে গিয়ে জিপে। বাংলা টাকা ডাউকি বাজারে ভাঙ্গাতে পারেন। স্টেট ব্যাংক এ নিচে এক মুদির দোকান থেকে ভাঙ্গাতে পারবেন। ৮০ টাকা করে পেতে পারেন তাও দরদাম করে। ডলার শিলং এ ভাঙ্গাতে পারেন। শিলং (Shillong) এ রেট ভাল ডাউকি বাজারের তুলনায়।

বরহিল ফলস,(Borhill Falls) উমক্রেম ফলস,(Umkrem falls) লিভিং রুট ব্রিজ, (Living root bridge) মাওলিনং ভিলেজ (Mawlinnong village) ঘুরে একেবারে চেরাপুঞ্জি যাবো, পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। রাতে চেরাপুঞ্জি (Cherrapunji) থাকবেন।

খাবার
আশে পাশে হোটেল আছে। আটটায় সব বন্ধ হয়ে যায়। তার আগে খেয়ে নিবেন অথবা ফয়েল পেপার দিয়ে মুড়িয়ে হোটেলে নিয়ে যেতে পারেন। ডাউকি থেকে চেরাপুঞ্জি যাওয়ার পথে অনেক দোকান পড়ে। গাড়ি থামিয়ে খেয়ে নিতে পারেন গরম গরম মম আর নুডলস।

চেরাপুঞ্জি হোটেল ডিটেইলস
হোটেল ভাড়া – ৬০০০ রুপি, ৭ জনের জন্য।
Laiaiker Inn Mawpun kyrtiang sohra, 793108 East khasi Hills District Meghalaya +917005196810 +919863063705 Email: laiaikerinn@gmail.com

২য় দিন
রামকৃষ্ণ মিশন (Ramkrishna Mission) নোহকালিকাই ফলস,(Nohkalikai Falls) মৌসুমি কেইভ, (Mawsamai Falls) সেভেন সিস্টার ফলস (Seven sister Falls) ওয়াকাবা ফলস এলিফেন্ট ফলস / ডাইন্হেলেন ফলস (Elephent Falls/ Dianthelen Falls) দেখে শিলং শহরে আসবেন।
ডলার ভাঙ্গানো যাবে সেন্টাল পয়েন্ট, পুলিশ বাজার। কোন দোকানদার কে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দিবে।

শিলং এ খাবার
স্ট্রিট ফুড ট্রাই করতে পারেন। এছাড়াও সেন্টাল পয়েন্টেত পাশে মসজিদ গলিতে পাবেন ডমিনোজ এর পিজ্জা। সব দোকান ৮ঃ০০ /৮ঃ৩০ এ বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে খেয়ে নিবেন অথবা ফয়েল পেপার দিয়ে মুড়িয়ে হোটেলে নিয়ে যাবেন। এখান থেকে যা পারেন শপিং করে নিয়েন। কারণ আর মার্কেটের দেখা পাবেন না।

শিলং হোটেল ডিটেইলস
হোটেলের মান যথেষ্ট ভাল। রুমে ব্যালকনি ছিল। তা দিয়ে রাতের শিলং শহরের আলোগুলো খুব সুন্দর দেখা যায়। Daina guest house New kench’s Trace, bishnupur, Near stat sang Temple,Shilong-793002,Meghalaya Mobile: 9862131877 হোটেল ভাড়া – ৪৫০০রুপি

৩য় দিন
লাইটলুম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, (Lytlam Grand canion), এটা মাস্ট রাখিয়েন। অসম্ভব রকমের সুন্দর।বিশাল সবুজের চত্বর আর মেঘ পাহাড়ের খেলা দেখতে পাবেন এখানে গেলে। ক্রাংসুরি ফলস, ( Krang suri Falls) দেখে সোনাংপেডাং এ চলে আসব

সোনাংপেডাং হোটেল ডিটেইলস
Shatsngi Homestay এই পেইজ থেকে ওদের হোটেল বুক করতে পারবেন। এই ছাড়াও ওদের বললে ওরা শিলং,চেরাপুঞ্জি সব হোটেল বুক করে রাখে। তবে এরকম হলে দরদাম করবেন। নাম্বারঃ 9612089521 হোটেল ভাড়া-৪৫০০রুপি

খাবারঃ
পাশেই বিটলনাট রেস্টুরেন্ট এ খেতে পারেন। কয়েকধরনের বিরিয়ানি অর্ডার করছিলাম। ২৫০ রুপিতে পরিমাণ ভালই। খুব বেশী খাদক না হলে শেষ করতে কষ্ট হয়ে যাবে। এটাও সাড়ে আটটার দিকে বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া হোটেলের আশে পাশে ছোট খাট দোকান আছে। ওখান থেকেও খেতে পারেন।

৪র্থ দিন
সকাল বেলা দেখতে পারেন সাসপেনশান ব্রীজ। একদম হোটেলের পাশেই। এরপর উমংগট নদীতে বোটিং করে এদিক সেদিক ঘুরে ডাউকি এসে বর্ডার পার হবেন। জীপ ড্রাইভার – 09378184554 (প্রদীপ)। মোটামুটি বাংলা বুঝে হালকা পাতলা। বর্ডার থেকে নিয়ে যাওয়া থেকে বর্ডার অব্দি পোঁছে দেওয়া মোট খরচ ১৫০০০ রুপি দিয়েছি। কোন থাকা খাওয়া খরচ দিতে হবে না।

দেশ থেকে সমস্ত হোটেল বুক করে যাবেন। Booking.com থেকে বুক করতে পারেন অথবা SIC Tour & Travel এর সাহায্য নিতে পারেন। বর্ষাকালে মেঘালয়ের যাওয়ার উপযুক্ত স্থান হলেও এই সময় চেরাপুঞ্জিতে ঝর্নার দেখা পাওয়া কিছুটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে।

ঈদের সময় গেলে বর্ডারে প্রচুর জ্যাম থাকে। অনেকের নির্দিষ্ট দিনের প্ল্যান নিয়ে যায়। বর্ডারে জ্যামের কারণে প্রথম দিনের প্ল্যান বাদ যায়। খেয়াল করলে দেখবেন শেষ দিন তেমন দেখার কিছু নাই। আর ১ম দিনের সব প্ল্যান ডাউকি বাজারের কাছেই। তাই কোন কারণে ১ম দিনের প্ল্যান ভেস্তে গেলেও মন খারাপ না করে প্ল্যান বদলে ফেলুন যদি আপনাদের নির্দিষ্ট দিনে ফেরার তাড়া থাকে তো। ড্রাইভারের সাথে কথা বলে ঠিক করে নিন। ১২/১৩ হাজার রুপিতে হয়ে যাবে। দরদাম ওইভাবে করবেন।

যেখানে সেখানে ময়লা ফেলতে চাইলেও পারবেন না। চারপাশটা এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আপনার মন কখনো সায় দিবে না পরিবেশ নোংরা করার। তারপরেও অনুরোধ থাকল পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *