লিখ্যিয়াং ঝর্ণা

blank
বাকলাই ঝর্ণা
October 26, 2020
blank
সিপ্পি আরসুয়াং
October 26, 2020
Show all

লিখ্যিয়াং ঝর্ণা

blank

বান্দরবানের সবচেয়ে অপরিচিত ট্রেইল এবং অদেখা সৌন্দর্য্যে মধ্যে লিখ্যিয়াং ঝর্ণা (Likkhyang Waterfall) অন্যতম। রেমাক্রির নিকটবর্তী হওয়ার পরও তুলনামূলক অপরিচিত এবং বুনো সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই ট্রেইলে খুব কম মানুষেরই পদচারণা পড়েছে এখন পর্যন্ত। রেমাক্রি থেকে দূরের ছোট মদক ঘাটের আগে, একটি গ্রামে এই ঝর্ণার অবস্থান। লিখ্যিয়াং বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ঝর্ণার তালিকায় ৪র্থ স্থান পেয়েছে। লিখ্যিয়াং এর উচ্চতা, ৩০০ ফুটের কাছাকাছি এবং অনেকে লিক্ষ্যং নামেও চিনে। বান্দরবানের মধ্যে তুলনামূলক কম সময় ও মধ্যম কষ্টের মধ্যে যেকয়টা সুন্দর সিজনাল ঝর্ণায় অবগাহন করা যেতে পারে তার মধ্যে লিখ্যিয়াং অন্যতম। লোকাল ভাষায় ম্রো রা এইটাকে লিপ অ রা নামেও ডাকে। লিপ মানে কচ্ছপ অ মানে ঝিরি আর রা মানে পাহাড় অর্থাৎ এইটাকে কচ্ছপ ঝিরির পাহাড় বাংলায় বলা যেতে পারে। লিখ্যিয়াং এর ট্রেইলটি বেশ সুন্দর। দুপাশ দিয়ে, বড় বড় পাথরের ২টি ঝিরিপথ নেমে এসে মাঝখানে ছোট ছোট খুমের মতো জায়গায় মিলে। লিক্ষ্যং ঝর্ণায় যাওয়ার পথ কিছুটা দুর্গম।

যা যা সাথে নিতে হবে
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি (যদি থাকে) কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি। ৩ দিনের উপযোগী হালকা কাপড় পলিথিন তোয়ালে টর্চ / মোমবাতি টুথব্রাশ, টুথপেস্ট ক্যামেরা (ব্যক্তিগত ইচ্ছা) পানির বোতল প্রয়োজনীয় ঔষধ ছাতা, সানগ্লাস, ক্যাপ ফার্স্ট এইড

এটি মধ্যম মানের ট্রেক। এখানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে হাঁটতে হবে। তাই খুব প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া কিছু নিবেন না কারন অতিরিক্ত ওজন আপনার ট্রেকিং এর প্রধান প্রতিবন্ধকতা। কাপড় চোপড়ের ক্ষেত্রে ২-৩টি থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, ২-৩ টি-শার্ট নিলেই যথেষ্ট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে থাকতে হবে। এই ট্যুরে ৫-৬ ঘণ্টা হাঁটতে হবে তাই তখন দুপুরের খাবার খাওয়া নাও হতে পারে। তাই নিজের ব্যাগে কিছু শুকনা খাবার (খেজুর, কিসমিস, বাদাম, বিস্কিট, ইনস্ট্যান্ট নুডলস) রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *