লুম্বিনি

blank
ইলম
October 20, 2020
blank
ধুলিখেল
October 20, 2020
Show all

লুম্বিনি

blank

লুম্বিনি নেপালের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। তীর্থ যাত্রীদের স্থান হচ্ছে লুম্বিনি (Lumbini), কারণ এটাই সিদ্ধারত গৌতম বা বৌদ্ধের জন্মস্থান। এটি নেপালের দক্ষিন পশিমাঞ্চলের একটি ছোট্ট শহর। প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে এটি ৫৫০ খ্রিষ্ট পূর্বের নিদর্শন বহন করছে। এই পৌরাণিক স্থানটি জ্ঞানী, বিজ্ঞানী এবং কৌতোহলী দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। বৌদ্ধের মাতা মায়া দেবী বাগানের একটি গাছের কাছে বৌদ্ধের জন্ম দিয়েছিলেন। সেখানে তার নামে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানিজ আর্কিটেক্ট কেঞ্জু টাংজি এটির নকশা করেছেন।

একটি ছোট পার্কের মাঝখানে এটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে পুকুর যেখানে বৌদ্ধকে প্রথম গোসল করানো হয়, অশোকা পিলার, মায়াদেবীর প্রাচীন মূর্তি, বৌদ্ধ মন্দির, থাই মনেস্ট্রিসহ সবুজ ঘাসে-ছাওয়া প্রান্তর। এখানে প্রতিদিনই বৌদ্ধধর্মের অনুসারীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। বর্তমানে লুম্বিনিতে বিভিন্ন দেশের শিল্পকলা ও সংস্কৃতির চিত্র তুলে ধরা হয়। এখানে ধর্মীয় অনুসারীদের থাকার জন্য মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রতিবছর বৈশাখী পূর্ণিমায় লুম্বিনির অধিষ্ঠাত্রী মায়াদেবীর মন্দিরে পুজো দিতে হাজার হাজার হিন্দু তীর্থ যাত্রী এই তীর্থে আসেন।হিন্দুপুরাণে মায়াদেবীকে রূপাদেবী বলা হয়ে থাকে।বৈশাখী পূর্ণিমা ছাড়াও প্রতিদিনই সকাল থেকে বৌদ্ধ পুণ্যার্থীরা লুম্বিনিতে আসেন এবং সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান দর্শন করেন।

কিভাবে যাবেন
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে বাই এয়ারে যেতে হবে সিদ্ধার্থনগর যা Bhairahawa নামেও পরিচিত। এটি লুম্বিনি থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। Bhairahawa থেকে প্রতি ১৫ মিনিট পরে পরে লুম্বিনি এর উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। সর্বশেষ ফিরতি বাস বিকেল ৫টায়।

এছাড়া ভারতের গোরাখপুর এবং ফায়জাবাদ থেকে বিমানে করে সিদ্ধার্থনগর (Siddharthanagar) পৌঁছানো যায়। গোরাখপুর থেকে বাসে করেও পৌঁছানো যাবে। কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে বাই রোডে লুম্বিনী যেতে সময় লাগবে ৫ ঘন্টার মত।

কোথায় থাকবেন
বাজেট হোটেলের মধ্যে লুম্বিনি বাজারের কাছে মায়াদেবী গেস্ট হাউজ আছে, মায়াদেবী মন্দিরের কাছে The Holy Birth আছে, লুম্বিনি মেইন বাজারের কাছে Lumbini Garden Lodge আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *