সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ব্যাপারে নতুন যে নীতিমালা

blank
খাগড়াছড়ির হাতিমুড়া সিঁড়িতে ডাকাতি
October 6, 2020
Show all

সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ব্যাপারে নতুন যে নীতিমালা

blank

সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ব্যাপারে নতুন যে নীতিমালা আসতে যাচ্ছে তা নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়:

নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখক পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন এবং এর জন্য আগে থেকেই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। মূল নিয়মটা অনেকটা এটাই যদিও বিস্তারিত একটা প্ল্যান দেখানো হবে। অনেকেই এই নিয়মকে খুব ভালো উদ্যোগ হিসাবে দেখছেন এবং সাধুবাদ জানাচ্ছেন.যারা সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা হয়তো ভাবছেন ভালোই হলো এখন অন্তত পরিবেশটা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কম মানুষ যাওয়ার কারণে দ্বীপটা বেশি উপভোগ্য হবে, ব্লা ব্লা…

সাধারণ ভাবে চিন্তা করলে এমনটাই হওয়ার কথা তবে ভুলে গেলে চলবে না এটা সিন্ডিকেটে ভরা সোনার বাংলাদেশ। সেই হিসাবে চিন্তা করলে দেখা যাচ্ছে পুরো দ্বীপটাই একটা সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাচ্ছে। যেমন ধরেন আপনি যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারলেন এখন সেই দিন আপনাকে বাস এবং শিপ এর টিকেট টাও কিন্তু পেতে হবে.কোন একটা না পেলেই কিন্তু ঝামেলায় পড়ে যাবেন। এই সুযোগে বাস এবং শিপ কোম্পানিগুলো ভাড়া বাড়াবে এটাই স্বাভাবিক আমাদের দেশে অথবা দেখা গেলো যারা সেন্টমার্টিনে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে তারাই পুরো প্যাকেজ করে ফেললো। বাস/প্লেন/শিপ সব কিছু তাদের থেকেই নিতে হবে টাইপ একটা নিয়ম করে ফেললো আর সেক্ষেত্রে তারা তাদের মন মতোই প্যাকেজ বানাবে, আপনার আমার সুবিধা দেখার সময় তাদের নাই। তারপর আসেন অনুমতি নিয়ে আরো ব্যাপক ঝামেলা আছে.আপনারা ৫-৭ জন মিলে যাওয়ার প্ল্যান বানালেন কিন্তু সবাই রেজিস্ট্রেশন করতে পারলেন না। এখন এটা কেমন হবে বলেন যদি আমি আমার ছুটি টা বন্ধুদের সাথে না কাটাতে পারি?এসব বিষয়ে প্রচুর সমন্বয়হীনতা হবে এগুলা মোটামোটি নিশ্চিত আর এসব সমস্যার সমাধান হবে একটা সিন্ডিকেটের হাতে মোটা টাকার বিনিময়ে.টাকা দিলে সব কিছু তারা ব্যবস্থা করে দিবে। বর্তমানে ফেইসবুক ভিত্তিক অনেক ট্রাভেল গ্রুপ খুব সুন্দর কাজ করে যাচ্ছে পর্যটন নিয়ে.অল্প কিছু সার্ভিস চার্জ নিয়ে খুব সুন্দর ইভেন্ট আয়োজন করছে বিভিন্ন জায়গায়.সেন্ট মার্টিনে এই উদ্দমী ছেলেমেয়েগুলো বিশাল ধাক্কা খাবে.কারণ এসব গ্রুপগুলো সিন্ডিকেটের অংশ হতে পারবে না, হয়তো দুই একটা বড়ো গ্রুপ সিন্ডিকেটের সাথে সমঝোতা করে ফেলবে আর বাকিরা দৌড়াবে ওদের পিছনে মানে আরেকটা সিন্ডিকেট.কারো কারো জন্য এই নীতিমালা ভালো হবে কারণ টাকা তাদের কাছে কোন সমস্যা না. সমস্যায় পড়বে সাধারণ ভ্রমণ পিপাসু লোকজন.যারা অনেকেই কয়েক মাস টাকা সঞ্চয় করে একটা ভালো ট্রিপ এ যাবে বলে..

সর্বোপরি সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণ খরচ যে অনেক বাড়ছে তা এখন সময়ের অপেক্ষা…

এখন কথা হচ্ছে আমি কী তাহলে বলছি সব আগের মতোই থাকুক,পরিবেশ যা হয় হোক?না মোটেও না.আমার কথা হচ্ছে সব কিছুই করার বাহানা হচ্ছে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এই বলে,তাহলে পরিবেশ সবচেয়ে বেশি যেই জিনিসটা নষ্ট করছে সেই প্লাষ্টিক কেন সেন্ট মার্টিনে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না.জীব বৈচিত নষ্ট হচ্ছে যেসব কারণে সেই বিষয়গুলো কেন জোর দিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে না.পর্যাপ্ত ডাস্টবিন কেন নাই?পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কেন নাই?কারণ এসব নিয়ম করলে পকেটের কোন উন্নতি হয় না.পরিবেশ নিয়ে আসলে এদের কোন মাথাব্যথা নেই, সবই টাকা কমানোর ধান্দায় ব্যাস্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *