রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান আকর্ষন হলো ঝুলন্ত সেতু। সাধারণত রাঙামাটি গিয়ে এই ঝুলন্ত সেতুটি না দেখে কেউ ফেরত আসেন না। রাঙামাটি শহরের শেষপ্রান্তে কাপ্তাই লেকের একাংশে ৩৩৫ ফুট লম্বা এই ব্রিজটি পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় স্পট। এ সেতুকে বলা হয় ‘Symbol of Rangamati’। নয়নাভিরাম বহুরঙা এই ঝুলন্ত সেতুটি দুইটি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের মধ্যে গড়ে দিয়েছে হৃদ্দিক সম্পর্ক। সেতুটি পারাপারের সময় সৃষ্ট কাঁপুনি আপনাকে এনে দেবে ভিন্ন দ্যোতনা।
এখানে দাঁড়িয়েই কাপ্তাই হ্রদের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন। কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্যে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। ওপারেই রয়েছে আদিবাসী গ্রাম। ইচ্ছে হলেই দেখতে পাবেন আদিবাসী জীবনযাপনের ক্ষয়িষ্ণু চালচিত্র। এটি দেখতে হলে পর্যটন কর্পোরেশনকে দিতে হবে পাঁচ টাকা। এছাড়াও এখানে আছে সময় কাটানোর অনেক উপকরণ। আছে অডিটোরিয়াম, পার্ক, পিকনিক স্পট, স্পিড বোট ও দেশীয় নৌ-যান।
কখন বেড়াতে যাবেনঃ
শীত মৌসুম হলো পাহাড় আর অরণ্যের শহর রাঙামাটিতে বেড়ানোর শ্রেষ্ঠ সময়। বর্ষাকালে অনেকটা সময় ব্রিজটি পানির নীচে ডুবে থাকে।
ঝুলন্ত সেতু কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থান হতে রাঙ্গামাটি পর্যন্ত সরাসরি বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। ঢাকা হতে বেশ কয়েকটি বাস প্রতিদিন ছেড়ে যায় রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে। শ্যামলী, সায়েদাবাদ, কলাবাগান হতে প্রতিদিনই গ্রীনলাইন, এস.আলম (ফকিরাপুল কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৯৩৩১৮৬৪), হানিফ (সায়েদাবাদ কাউণ্টার, ফোনঃ ০১১৯১১২৫০৪৮; গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ ০১১৯০৮০৬৪৪৭), শ্যামলী (সায়েদাবাদ কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৭৫৪১০১৯; আরামবাগ কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৭১৯৩৯১০; ফকিরাপুল কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৯৩৩৩৬৪), ইউনিক বাসগুলো ছাড়ে।
অথবা ঢাকা বা অন্য জেলা হতে বাস, ট্রেনে কিংবা বিমানে করে যেতে পারেন চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম হতে অনেকগুলো বিলাশবহুল ও লোকাল বাস সার্ভিস রয়েছে রাঙ্গামাটি পর্যন্ত। চট্টগ্রাম অক্সিজেন থেকে সরাসরি বিরতিহীন বাসে রাঙ্গামাটি পেীঁছতে সময় লাগে মাত্র ২ ঘন্টা। চট্টগ্রাম থেকে এস আলম ও পাহাড়ীকা বাস ছাড়ে। যাত্রী ভাড়া ১৩০/ টাকা।
রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি হয়ে সড়ক পথে সরাসরি ঝুলন্ত সেতু যাওয়া যায়। এখানে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। যারা ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে আসবেন তাদের তবলছড়িতে নেমে অটোরিক্সা রিজার্ভ ভাড়া করে যেতে হবে।
রাঙ্গামাটি কোথায় থাকবেনঃ
বাস থেকে নেমে এবার থাকার পালা। রাঙ্গামাটিতে পুরাতন বাস স্ট্যন্ড ও রিজার্ভ বাজার এলাকায় বেশকিছু হোটেল আছে। তবে হোটেলে ওঠার আগে যদি একটু বিবেচনা করে নিবেন, যেমন হোটেলটি কাপ্তাই লেকের পাশে কিনা? তাহলে আপনি হোটেল থেকে লেকের মনোরম পরিবেশ ও বাতাস উপভোগ করতে পারবেন। থাকার জন্য রাঙ্গামাটিতে সরকারী বেসরকারী অনেকগুলো হোটেল ও গেষ্ট হাউজ রয়েছে। তাছাড়া আরো কিছু বোডিং পাওয়া যায় থাকার জন্য।
বোডিংগুলোতে খরচ কিছুটা কম তবে থাকার জন্য খুব একটা সুবিধার নয়। নিন্মে কয়েকটি হোটেল এর বর্ননা দেয়া হলোঃ
(১) পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স
১২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১৭২৫ টাকা ৭টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৮০৫ টাকা যোগযোগ/ফোনঃ ০৩৫১-৬৩১২৬ (অফিস)
২) হোটেল সুফিয়া
২৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ৯০০ টাকা (একক), ১২৫০ (দ্বৈত) ৩৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৬০০ টাকা যোগাযোগ/ফোনঃ ০৩৫১-৬২১৪৫, ৬১১৭৪, ০১৫৫৩৪০৯১৪৯
(৩) হোটেল গ্রীন ক্যাসেল
৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১১৫০ হতে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত ১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৭৫০ হতে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত যোগাযোগ/ফোনঃ ০৩৫১-৭১২১৪, ৬১২০০, ০১৭২৬-৫১১৫৩২, ০১৮১৫-৪৫৯১৪৬ এছাড়াও রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হোটেল রয়েছে। যেমনঃ হোটেল জজ , হোটেল মাউন্টেন ভিউ, হোটেল ডিগনিটি, হোটেল সাফিয়া, হোটেল ড্রিমল্যান্ড ইত্যাদি।
WhatsApp us