ভেলাখুম (Velakhum) এর জল-পাথরের রাজত্বে ভেলা বাইতে বাইতে অপার্থিব এক অনুভূতির জন্ম হয়! দুই পাশে পাথরের সুউচ্চ দেয়াল আর মাঝখান দিয়ে শান্ত-স্বচ্ছ সবুজ পানির এই লেগুন নেমে এসেছে আমিয়াখুম থেকে। আমিয়াখুমের আপ স্ট্রিমের এই জল-গিরি পথ পাড়ি দেবার সময় বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন যে দু’পাশের আকাশছোঁয়া পাথরের পাহাড় দেবতার মতো গাম্ভীর্য নিয়ে আপনাকে আশীর্বাদ করছে। পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য এক করলেও এই জল-পাথরের পাঠশালার কাছে কিছুই মনে হবে না তখন।
দেশের এডভেঞ্চারাস জায়গাগুলোর মধ্যে ট্রেকারদের সবচেয়ে প্রিয় একটি জায়গা। এখানে প্রকৃতি সেজেছে তার আপন রঙে। আমিয়াখুম ট্রেকিং এর অন্যতম আকর্ষন এটি। শুধু ভেলা দিয়েই এই জায়গাটি ঘুরে দেখা সম্ভব। আমিয়াখুম থেকে হেঁটে ৫ মিনিট। এখানে আপনাকে বাঁশের ভেলায় উঠতে হবে। তবে সাতভাইখুম আর ভেলাখুমের পার্থক্য হল ভেলাখুমে ভেলায় কিছুদূর যেয়েই আমাদেরকে নেমে পাথরের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে নতুন আর একটা ঝর্ণায় যেতে হবে যা ন্যাইক্ষারমুখ নামে পরিচিত।
যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান গিয়ে লোকাল বাসে ২০০ টাকা ভাড়ায় কিংবা রিজার্ভ জীপ ৫০০০ টাকা ভাড়া দিয়ে থানচি পৌছাতে হবে। থানচি থেকে গাইড নিয়ে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে পদ্মমুখ। তারপর ৬-৭ঘণ্টা ট্রেকিং করে থুইসা পাড়া। পরদিন থুইসা পাড়া থেকে ২-৩ ঘন্টায় বিপজ্জনক ট্রেইল ৭০-৮০ ডিগ্রী খাড়া “দেবতার পাহাড়” নেমে এই ভয়ংকর সৌন্দর্যের মুখোমুখি হবেন।
অথবা ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবন শহর। সেখান থেকে বাস অথবা চাঁদের গাড়ী করে থানচি সেখান থেকে ট্রালারে রেমাক্রি সেখান থেকে হেটে ভেলাখুম যাওয়া যায়।
WhatsApp us