কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং এর পথে সবচেয়ে পরিচিত গ্রাম বাকলাই। বহু বছর ধরে ট্রেকারদের সুপরিচিত আশ্রয়/ক্যাম্পিং এই বাকলাই। এর সবচেয়ে বড় কারণ এখানে আছে আর্মি ক্যাম্প যা অভিযাত্রীদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আর বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামেই নয়নাভিরাম এবং অনিন্দ সুন্দর এই বাকলাই ঝর্ণা অবস্তিত। ধারনা করা হয়ে থাকে যে, বাকলাই ঝর্ণা (Baklai Waterfall) সম্ভবত দেশের সবচেয়ে উঁচু ঝর্ণা যা প্রায় ৩৮০ ফুট উঁচু। এই ঝর্ণাটি দেখতে চাইলে আপনাকে হাতে পাঁচ থেকে সাতদিন রাখতে হবে। তবে আপনি কতটা হাঁটতে পারেন তাঁর উপর নির্ভর করছে আপনার কতদিন লাগতে পারে। থানচি এবং রুমা থেকে আপনি এই ঝর্ণাটি দেখতে যেতে পারবেন।
যাতায়াত ব্যবস্থা
ও খরচ ঢাকা থেকে বান্দরবান পর্যন্ত বাসে করে যেতে পারেন। খরচ হবে আনুমানিক ৫৫০ টাকা (নন এসি)। এই বাসগুলো মূলত রাতে ছাড়ে। ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল অথবা মহাখালী বাস টার্মিনাল হতে বাসগুলো পাওয়া যাবে। ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে আপনি বান্দরবান পৌঁছে যাবেন। এরপর বান্দরবান হতে আরেকটি বাস অথবা ওইখানের স্থানীয় পরিবহন “চান্দের গাড়ি” তে করে থানচি পর্যন্ত যেতে হবে, দূরত্ব প্রায় ৭৯ কিলোমিটার এবং সময় লাগবে ৪-৫ ঘণ্টা। এরপর থানচি বাজার থেকে কিছু ছোট ছোট পাড়া যেমন তুতং পাড়া, বোর্ডিং হেডমেন পাড়া, কাইতুন পাড়া ইত্যাদি পেরুলেই পেয়ে যাবেন বাকলাই পাড়া, সময় লাগবে প্রায় ১২ ঘণ্টা। যদি কেউ জলপ্রপাত এর উপর যেতে চান তবে আপনার প্রায় ১ ঘণ্টা লাগবে। যেখান দিয়েই যান না কেন, রুমা অথবা থানচি হতে বাকলাই যেতে ২ দিন সময় লাগবে।
থাকার ব্যবস্থা
বান্দরবানে বেশ কিছু হোটেল রয়েছেঃ গ্রিন হিল: প্রেস ক্লাব ভবন, মেইন রোড, বান্দরবান। ফোনঃ ৮৮-০৩৬১-৩৭৪ হোটেল অতিথি: বান্দরবান বাজার, বান্দরবান। ফোনঃ ৮৮-০৩৬১-৫৩৫ থানচিতে থাকার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এর পর থেকে ভিতরের দিকে যেতে থাকলে স্থানীয়দের বাসায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে হবে।
WhatsApp us