জাহাঙ্গীরের জাহাঙ্গীরনগর, সুবা বাংলার ঢাক বাজনা থেকেই ঢাকা। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। দক্ষিণ এশিয়ার এবং বাংলাদেশের সবথেকে বড় শহর। ঢাকা! রিক্সার শহর, মসজিদের শহর সহ আরো অনেক নামে পরিচিত এই শহরের আসল পরিচয় হল এটি মায়ার শহর। নিজেকে চিনতে, নিজেকে জানতে ও নিজেকে আবিষ্কার করতে ঢাকা ভ্রমণের কোন তুলনা হয় না। অসংখ্য পুরাতন দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা অপেক্ষা করছে-আপনার জ্ঞানকে বিকশিত করতে ও আপনার মনকে প্রফুল্লময় করতে। রাজধানী বলেই নয়, ঢাকা স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল কৃষ্টিতে, ঐতিহ্যে ও আভিজাত্যে! তাইতো ভ্রমণ পিপাসু তাদের ভ্রমণপাঠ শুরু করেন ঢাকা দিয়েই।
ঢাকা শহরে একদিন ভ্রমন করতে চাইলে আমাদের এই লিঙ্কে এ গিয়ে গাইড নিতে পারেন!
ঢাকাতে আসার জন্য আপনার এলাকায় বাস/ট্রেন/প্লেনের সার্ভিস এর ব্যপারে জানতে হবে। যদি বাসে আসেন তাহলে গুলিস্তান/যাত্রাবাড়ি এসে নামবেন। যদি ট্রেনে আসেন তাহলে কমলাপুর রেলস্টেশনে নামবেন। যদি প্লেনে আসেন তাহলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের ডোমেস্টিক টার্মিনালে নামবেন।
দুই কদম হাঁটলেই হোটেল, রেস্টুরেন্ট, রেঁস্তোরা, ক্যাফে দেখবেন। যেন এক খাবারের শহর। যে খাবার গুলো ঢাকার বিখ্যাত খাবার মোরগ-পোলাও, কাচ্ছি বিরিয়ানি, গরুর চাপ, মুক্তা বিরিয়ানি, খাসির চাপ, আস্ত কবুতর, ভুনা খিচুড়ি, কাচ্চি, গ্লাসি, তেহেরী, খাসির লেকুশ, চিংড়ি, ফালুদা, ৭০টি আইটেমের বুফে, গ্রিল চিকেন, মাঞ্জারের পুরি, শাহ সাহেবের বিরিয়ানি, ঝুনুর বিরিয়ানি, কাবাব, কাকড়া, নূরানী শরবত, মাংশ আর পরোটা, নানান ধরণের বিরিয়ানি। খাবারের জন্য পুরান ঢাকা বিখ্যাত। এছাড়াও স্টার হোটেলের খাবারও খুব জনপ্রিয়। স্টার হোটেলের খাবারের জন্য আপনাকে ধানমন্ডি ২ নং আসতে হবে।
বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স (পান্থপথ) , গিুনশান ১ ডি.সি.সি মার্কেট, (গুলশান-১), নাভানা শপিং কমপ্লেক্স (গুলশান-১), সুবান্ত নজর ভ্যালী (বাড্ডা), ইউ.এ.ই মৈত্রী কমপ্লেক্স (বনানী), নর্থ টাওয়ার (উত্তরা), অরচার্ড পয়েন্ট (ধানমন্ডি), মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স (মিরপুর), গ্রীন টাওয়ার শপিং মল (রামপুরা), রাজউক ট্রেড সেন্টার শপিং (খিলক্ষেত), ইষ্টার্ণ মল্লিকা (এলিফ্যান্ট রোড), নাহার প্লাজা (সোনারগাঁও রোড), কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি (শান্তিনগর), মৌচাক মার্কেট (সিদ্ধেশ্বরী), সিটি হার্ট সুপার মার্কেট (কাকরাইল), ঈশা খাঁ শপিং কমপ্লেক্স (কাকরাইল), বঙ্গবাজার (ফুলবাড়িয়া), নিউ মার্কেট (মিরপুর রোড), ফার্মভিউ সুপার মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট (শাহবাগ), পীর ইয়ামেনী শপিং সেন্টার (গুলিস্তান), বায়তুল মোকাররম মার্কেট (পুরানা পল্টন) ইত্যাদি।
পার্ক, লেক, রিসোর্ট, চিড়িয়াখানা, পিকনিক স্পট, সুইমিং পুল, পুকুর, দিঘী, জাদুঘর আরো অনেক কিছু আছে ঢাকাতে দেখার জন্য। ঢাকা ঘুরতে হাতে অন্তত ৩ দিন সময় নিয়ে আসা উচিত।
ঢাকার ধামরাইরে বিনোদনকেন্দ্র হল এই আলাদীন পার্ক। যেখানে পিকনিক স্পট থেকে শুরু করে বড় ও ছোটদের নানান ধরণের বিনোদনের ব্যবস্থা।
ঢাকা উত্তরার মৈনারটেক গিয়ে সরাসরি গ্রীন ভিউ রিসোর্ট। চিড়িয়াখানা, পার্ক, গার্ডেন, নানান ধরণের পশু পাখি, বিশাল পুকুর, সুইমিংপুল এবং খেলার মাঠ যা ঢাকা শহরের সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততার মানুষগুলো জন্য বিনোদনের অ্ন্যতম স্থান।
ঢাকার পলাশীতে জহুরুল হক হলের ভেতরে অবস্থিত এই শহীদ বরকত স্মৃতি জাদুঘর। স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বললে যে নাম গুলো মনে তার মধ্যে অন্যতম নাম আবুল বরকত। তার স্মৃতি রয়েছে শহীদ বরকত স্মৃতি জাদুঘরে।
ঢাকার বারিধারাতে অবস্থিত এই বাংলাদেশের বহুতল বিশিষ্ট বিপণী কেন্দ্র।
ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে ৩৫৫ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সরণির কনিকা নামের বাসায় এই জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর। বাংলাদেশ একাধারে শিক্ষাবিদ, লিখকা, কথা সাহিত্যিক ও একাত্তরের ঘাত দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী।
ঢাকার রমনায় অবস্থিত এই রমনা উদ্যান। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখের সকল আয়োজন প্রতি বছর এই রমনা পার্কে হয়ে থাকে।
ঢাকার আগারগাঁওতে সিভিক সেক্টর এফ-১১/এ-বি তে অবস্থিত এই দুর্লভ বস্তুর জাদুঘর।
ঢাকার বিজয় সরণিতে অবস্থিত এই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত জাদুঘর।
ঢাকার মিরপুর-২ তে অবস্থিত এই টাকা জাদুঘর।
ঢাকা জেলা যাত্রাবাড়ি শ্যামপুরের বুড়িগঙ্গায় এই ইকো পার্ক।
ঢাকা জেলার ওয়ারী এলাকায় এই উদ্ভিদ উদ্যান বলধা গার্ডেন অবস্থিত।
ঢাকা জেলার সাভারে বাংলাদেশের স্মৃতিসৌধ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সৈয়দ মাইনুল হোসেন নকশা গণকবর রয়েছে এই স্মৃতিসৌধে।
ঢাকার ধানমন্ডিতে আবাসিক এলাকায় এই লেক অবস্থিত। এই লেকটা অনেক বড়। এখানে আপনি বোটে ঘুরতে পারবেন।
ঢাকার হাতিরঝিলে অবস্থিত এই হাতিরঝিল।
ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশেল জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকার সাদুল্লাপুরে এই গোলাপ গ্রাম অবস্থিত।
ঢাকার পান্থপথে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত এশিয়া অন্যতম বৃহত্তম শপিং মল।
ঢাকার সাভার এ অবস্থিত এই নন্দন পার্ক। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বিনোদনমূলক পার্ক।
ঢাকার আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় অবস্থিত এই বিনোদন পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম। পার্কটি ২০ একর জায়গা জুড়ে নানান ধরণের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
ঢাকার মিরপুর-১ এ অবস্থিত এই বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা। এটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে বাংলাদেশের সকল প্রাণী ও মৎস্য রয়েছে।
ঢাকার মানিকগঞ্জগামী বাসে চড়ে টুলিভিটা এলাকায় অবস্থিত এই ষাইট্টা বটগাছ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই ষাইট্টা বটগাছ দুটিকে দেবতা মনে করেন।
ঢাকার উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরর দিয়াবাড়ি অবস্থিত দিয়া বাড়ি। এই দিয়া বাড়রি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে।
ঢাকার লালমাটিয়ার সি ব্লকে এই আপসাইড ডাউন গ্যালারী। ইউলিউশনাল আর্ট গ্যালারী তে আপনি ভাসতে পারবেন, ছাদে হাটতে পারবেন। যা সত্যিই অলৌকিক বলে মনে হবে।
ঢাকার সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত চন্দ্রিমা উদ্যান। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এই উদ্যানটি এবং লেকটি দেখতে আসেন।
ঢাকার ভোলানাথপুরে এই নকশীপল্লী । এই নকশীপল্লী সময় কাটানোর জন্য চমৎকার।
ঢাকার গুলিস্তানে এই ওসমানী উদ্যান অবস্থিত।
ঢাকার সাভারে অবস্থিত এই রাজা হরিশ্চন্দ্রের প্রাসাদ। রাজা হরিশচন্দ্রের ঢিবি, রাজা হরিশচন্দ্রের বাড়ি, রাজা হরিশচন্দ্রের ভিটা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই বাংলাদেশে বিমান বাহিনীর জাদুঘর।
ঢাকার বিজয় সরণিতে এই জাদুঘর অবস্থিত। এখানে সামরিক বিমান, যুদ্ধযান সহ অনেক কিছুর পূর্ববর্তী স্থাপনা আছে।
ঢাকার দোহারে পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত এই পর্যটন আকর্ষণ মৈনট ঘাট। মিনি কক্সবাজার নামেও পরিচিত এই মৈনট ঘাট।
ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় অবস্থিত এই আহসান মঞ্জিল। বর্তমানে জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এটি ছিল নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারীর সদর কাচারি।
ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বুড়িগঙ্গার নদীর তীরে অবস্থিত এই অসমাপ্ত মুঘর দূর্গ। এটা পুরান ঢাকায় অবস্থিত।
ঢাকা শহরের টিকাটুলি এলাকায় অবস্থিত একটি অন্যতম স্থাবর ঐতিহ্য। নাটক ও টেলিফিল্ম শুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই নর্থবরুক হল। লালকুঠি নামেওর পরিচিত।
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত এই জল্লাদখানা বধ্যভূমি। এটি সবচেয়ে বড় বধ্যভূমিগুলোর একটি।
ঢাকার মেডিকেল কলেজজের বপিপ্রাঙ্গণে অবস্থিত এই বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। বাংলা ভাষার জন্য ১৯৫২সালে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ভবনের সামনে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য।
ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় অবস্থিত এই জাতীয় সংসদ ভবন।
রাজধানীতে অবস্থিত এই কার্জন হল। ঐতিহাসিক ভবন যা পুরাকীর্তি এই কার্জন হল।
ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। পূর্বে রেসকোর্স ময়দান নামে পরিচিত ছিল। বিট্রিশ সৈন্যদের সামরিক ক্লাব িএখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পাশে অবস্থিত এই জিঞ্জিরা প্রাসাদ। এই প্রাসাদে বন্দী করে রেখেছিল সিরাজদ্দৌল্লার স্ত্রী লুৎফুন্নেছা এবং তার শিশুকন্যাকে।
ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত এটি শিয়া উপাসনালয় এবং কবরস্থান।
ঢাকার বাংলা বাজার ১নং শ্রীশদাস লেনে অবস্থিত এই বিউটি বোর্ডিং। এই বিউটি বোর্ডিং দোতলা পুরাতন বাড়ি যার সাথে বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাস জড়িত।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে পল্টনে অবস্থিত এই বায়তুল মোকাররম মসজিদ। এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন।
ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলে পাশে অবস্থিত এই মুসা খাঁর মসজিদ।
ঢাকা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত এই সাত গম্বুজ মসজিদটি। এটি মুঘল সাম্রাজ্য মুঘর আমলের অন্যতম নিদর্শন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের পাশে অবস্থিত এই গুরুদুয়ারা নানকশাহী। এটি শিখ ধর্মের উপসনালয়।
ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ঢাকা নামটি নামকরণ হয়। ঢাকার পলাশী ব্যারাক এ অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দির।
ঢাকার সদরগাটে অবস্থিত একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হলো বাংলাদেশ স্বাধীন করতে এর বিশেষ অবদান ছিল।
ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বড় এবং প্রাকৃতিক ভাবে অনেক সুন্দর। অনেকেই এখানে ঘুরতে আসেন প্রকৃতি দেখার জন্য।
WhatsApp us