পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়াতে প্রতিবছর লাখ লাখ বাংলাদেশি টুরিস্ট ইন্ডিয়াতে ভ্রমণ করতে যান। এর কারণ হচ্ছে হচ্ছে ভিসা খরচ কম, ট্রাভেল খরচ কম এবং থাকা-খাওয়ার খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম ইন্ডিয়াতে এবং সেখানে চলাফেরায় আমরা অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি কারণে অধিকাংশ বাঙালি হিন্দি ভাষায় কথা বলতে পারে এবং বুঝে। ভ্রমণের জন্য ইন্ডিয়াকে প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেয়ার আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে ইন্ডিয়ায় একটি বড় দেশ হিসেবে এবং হিস্টোরিক্যাল দেশ হিসেবে অনেক প্রসিদ্ধ। এখানে ভ্রমণের জন্য অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত জায়গা রয়েছে। ইন্ডিয়াতে আপনি কখনোই এক সপ্তাহ কিংবা একমাস ভ্রমণ করে দেখে শেষ করতে পারবেন না। এই দেশের একেকটা রাজ্য এত বড় যে একেকটি প্রায় বাংলাদেশের। সমান তাই ইন্ডিয়া সম্পূর্ণ ঘুরতে আপনার অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে ইন্ডিয়া ভ্রমণের জন্য সব সময় সবাই খুব প্রসিদ্ধ জায়গা গুলো বেছে নেয়। তাই আমরা ইন্ডিয়াতে ভ্রমণের জন্য যেসব বিখ্যাত জায়গা রয়েছে সেসব ব্যাপারে আপনাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরব ধরেছি এবং পাশাপাশি বন্ধুবান্ধব নিয়ে এবং ফ্যামিলি নিয়ে যেসব স্থানে ভ্রমনে না গেলেই নয়, সেসব জায়গার ব্যপারে আপনাদের কে বিস্তর ভাবে বর্ণনা করব। আশা করি আমাদের পেইজ থেকে ইন্ডিয়া ট্যুর এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ একটি ভ্রমণ গাইড ইনশাল্লাহ পাবেন। আমরা সব সময় বাজেট টুরিস্টদের জন্য এবং যারা রিলাক্স ভাবে টুর দিতে চান তাদের জন্য ভ্রমণকাহিনী দুইভাবেই তুলে ধরি যেন আপনারা কিভাবে ভ্রমন করবেন সেটা আপনারা নিজেরাই যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ভারতে ভ্রমণের জন্য আপনি একেক সময় একেকটা অঙ্গরাজ্য ঠিক করতে পারেন কোন অঙ্গরাজ্যের কিছু অল্প জিনিস দেখে কখনোই আপনার ভ্রমণের তৃপ্ত হবেন না এবং কখনোই ভ্রমণ তখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে না তাই প্রতিবার যখনই আপনি ইন্ডিয়া ভ্রমন করতে যাবেন একেক সময় 11 অঙ্গরাজ্য ভ্রমণের প্রস্তুতি নিবেন ইন্ডিয়াতে ভারতে একেকটা টুর প্লান আপনি চেষ্টা করবেন সাতদিন সর্বনিম্ন করার যেন যেখানে ঘুরতে যাবেন ভালো ভাবে সেই জায়গাটা ঘুরে আসতে পারেন।
প্রথমেই ঘোরার জন্য আপনাদেরকে আমরা সাজেস্ট করব দার্জিলিং এবং সিকিম। আগে সবাই দার্জিলিং ঘুরতে যেতো কিন্তু ইদানিং সিকিম ভ্রমণ টা অনেক জনপ্রিয় হওয়াতে এবং দার্জিলিং এর কাছে হওয়াতে সবাই এখন দার্জিলিং এবং সিকিমের একসাথে ভ্রমণ করে আসে।
দার্জিলিং ভ্রমণের পরে আপনি যেটা করতে পারেন গোল্ডেন ট্রাইএঙ্গেল (দিল্লি-আগ্রা-জয়পুর) ভ্রমন করতে পারেন কলকাতা হয়ে। শুধু কলকাতা ভ্রমণ ভ্রমণের জন্য খুব কম মানুষই যায় কারণ অন্যান্য ট্যুর প্ল্যান করলে সাথে কলকাতা টাও ঘুরে নেয় অনেকে। তাই কলকাতা শুধু ঘোরার জন্য আমরা সাজেস্ট করব না। কারন কলকাতাতে বেশিরভাগ মানুষ শপিং করতে এবং চিকিৎসা করতে যায়। আপনি যদি কখনো দিল্লি আগ্রা জয়পুর ঘুরতে যান সেই সময় কলকাতা ঘুরে দেখতে পারেন। ইন্ডিয়াতে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল বলা হয় তিনটি জায়গাকে নিয়ে। একটি হচ্ছে দিল্লি, একটি হচ্ছে আগ্রা এবং একটি হচ্ছে জয়পুর। তাই অনেকেই দিল্লি আগ্রা জয়পুর তিনটা একসাথে ভ্রমণ করে আসছেন। এ জন্য এটাকে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল বলা হয়।
অনেক ভ্রমণকারীদের এরপরের যে পছন্দ সেটা হচ্ছে হিমাচল প্রদেশের ভ্রমণ। হিমাচল প্রদেশের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে সিমলা এবং মানালিতে ভ্রমন করা। ভারতের হিমাচল প্রদেশ এই দুইটি অঙ্গরাজ্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনাকে দিল্লি ভ্রমণ করতে হবে প্রথমে। সেজন্য এই ভ্রমনেও আপনি চাইলে দিল্লিকে রাখতে পারেন। দিল্লি সিমলা এবং মানালিতে একটু টুর প্ল্যান করতে পারেন।
এরপর আপনার ভ্রমণের সবচেয়ে পছন্দের জিনিস যেটা হতে পারে সেটা হচ্ছে কাশ্মীর ভ্রমণ। পৃথিবীর জান্নাত কাশ্মীর কে বলা হয়। তাই কাশ্মীর ভ্রমণ হচ্ছে সবার সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয়। কাশ্মীর ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য ট্যুর প্ল্যান না করাই উত্তম। সেক্ষেত্রে আপনি কলকাতার ভ্রমণটা ও রাখতে পারেন সাথে কারণ কলকাতা থেকে সরাসরি কাশ্মীর যেতে হয়।
ভারতে অনেক প্রসিদ্ধ জায়গা আছে যেখানে আপনার ভ্রমণ করতে পারেন যা এই পেইজের শেষে আছে। ভ্রমণ বিষয়ে গল্প বলার আগে একটা জিনিস আপনাদেরকে জানাতে চাই। সেটা হচ্ছে, ইন্ডিয়াতে সবচেয়ে রিলাক্স টুর করা যায় প্লেনে। এরপরে হচ্ছে ট্রেনে। তাই যদি আপনি ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান অবশ্যই আপনার ভ্রমণে জন্য অনেক দিন সময় হাতে রাখতে হবে। আর যদি আপনি প্লেনে ভ্রমণ করতে চান তাহলে সেটা কম দিন হলে সমস্যা নেই। তবে কিছু কিছু জায়গায় খরচের হিসাব করলে প্লেন এবং ট্রেন এর ব্যাপারে একটু চিন্তা-ভাবনা করে ডিসিশন নেবেন এর কারণ হলো ভারতে এখন ডোমেস্টিক এয়ার টিকিট প্রাইস অনেক কম তাই অনেকেই দূরপাল্লার ট্রেনে না ভ্রমণ করে প্লেনে ভ্রমণ করেন কারণ ট্রেনে এসি বগিতে যে ভাড়া, সেটার সাথে সামান্য কিছু টাকা যোগ করলেই প্লেনের টিকিট হয়ে যায়। আর একটা কথা, যেখানেই যান, কলকাতা হয়েই যাওয়া লাগবে (দার্জিলিং বাদে)। তাই কলকাতা ভ্রমন আগে পড়ুন।