ঢাকা থেকে দিল্লী-আগ্রা-জয়পুর ভ্রমন বিস্তারিত
October 20, 2020টাকা জাদুঘর
October 20, 2020
কাশ্মীর (Kashmir) সম্বন্ধে মুসলিম সম্রাট জাহাঙ্গির কথাটি না বললেই নয় “গার ফিরদাউস বার-রুয়ে যামিন আস্ত, হামি আস্ত, হামিন আস্ত, হামিন আস্ত” যার মানে “পৃথিবীর কোথাও স্বর্গ থাকলে তা এখানেই আছে, এখানেই আছে এবং এখানেই আছে”। পুরো কাশ্মীর তিন দেশে বিভক্ত। জাম্মু-কাশ্মীর (নর্থ ইন্ডিয়া), আজাদ কাশ্মীর (পাকিস্তান) ও আক্সাই চিন (চায়না-বিতর্কিত)। তাই এই পর্বে আমাদের প্রতিবেশি দেশের জাম্মু-কাশ্মীরকেই বেছে নিলাম বিস্তারিত ভ্রমনের ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
পাহাড়ি নদীর ঢল, ঘোরার হ্রেষা ও ঠকাঠক শব্দ, সাদা তুলোর মত বরফ আর তাতে আচ্ছাদিত পাইন গাছ এবং সবুজ ঘাসের সমারহ এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্যে ভূস্বর্গের উদ্দেশ্যে রওনা করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে মার্চ-এপ্রিল। এই সময় টিউলিপ ফুটে। অসাধারন একটি সময় কাশ্মীর ভ্রমনের জন্য।
কিভাবে যাবেন ?
কাশ্মীর যেতে গেলে কোলকাতা হয়ে যেতে হবে। তাই প্রথমে কোলকাতা কিভাবে যাবেন সেই ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Dhaka to Kolkata
ভারতে ভিসার জন্য বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ India visa
কোলকাতা থেকে কিভাবে কাশ্মীর যাবেন?
কোলকাতা থেকে ২ ভাবে আপনি শ্রীনগর-কাশ্মীর যেতে পারেন। এইটি হল ট্রেনের মাধ্যমে আরেকটি হল প্লেনে। প্লেনে গেলে মূল লক্ষ্য হল শ্রীনগর যাওয়া।
প্লেনে যেতে হলে যা করবেনঃ ভারতের অনেক ডমেস্টিক এয়ারলাইনস কোলকাতার নেতাজি সুবাস চন্দ্র বোস এয়ারপোর্ট থেকে শ্রীনগর এয়ারপোর্টে যায়। এর মধ্যে Vistara, Spicejet, Indigo অন্যতম। করোনার পরে এখন প্লেন ভাড়া অনেক বেশি, আগের থেকে ডাবল ! কোলকাতা থেকে শ্রীনগর আপ-ডাউন ভাড়া প্রায় ২০,০০০ টাকা । প্লেনে যেতে প্রায় ৫ ঘন্টা সময় লাগবে। ঘরের কথা না তো। ভারতের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় যাত্রা। অধিকাংশ টুরিস্ট প্লেনেই যেয়ে থাকে। তবে প্লেনে যেতে হলে অনেক আগে থেকে প্ল্যান করতে হবে। কারন এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো বছরে হটাত হটাত সেল দেয়। ২০%-২৫% অফ পেয়ে যেতে পারেন যেকোনো চান্সে। তাহলে খরচ একটু কমবে। অনেকে ঢাকা থেকে দিল্লী ডিরেক্ট প্লেনে যেতে পারেন এবং এরপর দিল্লী থেকে শ্রীনগর যেতে পারেন। এতে খরচ একটু কমবে। টুর প্ল্যান অথবা টিকিটের খরচ জানতে আমাদের Whatsapp/Messeger এ নক করতে পারেন। Whatsapp: +88 019888-90099, Facebook Link
ট্রেনে যেতে হলে যা করবেনঃ জার্নিটা একটু কষ্টের। ট্রেনে গেলে জম্মু নামতে হবে। জম্মু থেকে আবার ৭-১২ ঘন্টার জার্নি করে শ্রীনগর যেতে হবে। কোলকাতার মারকুইস স্ট্রিট স্টেশন থেকে রাত ১১.৫৫ এ হিমগিরি এক্সপ্রেস যায়। এসি কোচের সিট নিবেন কারন যাত্রা প্রায় ৩৮ ঘন্টার !! মানে প্রায় ১.৫ দিনের বেশি। আর যদি সস্তায় যেতে চান তাহলে Hwh Jat Special এর টিকিট কাটতে পারেন। ৪৩০ রূপি পর্বে সর্বনিম্ন। নন এসি সিট। যেতে ভালই কষ্ট হতে পারে। ৩২ টা স্টপে ট্রেন থামবে। রাত ২৩ঃ৫৫ তে ট্রেন ছাড়বে। দ্বিতীয় দিন দুপুর ২ টায় পৌঁছাবে।
তাছাড়া কলকাতা থেকে সরাসরি জম্মু যাওয়ার ট্রেনের টিকেট নিতে পারেন হিমগিরি বা জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের। ভাড়া পড়বে ১২০০ থেকে ৫০০০ পর্যন্ত স্লিপার, থ্রি/টু টায়ার আর বাথের। সময় লাগবে ৩২-৩৬ ঘণ্টা। জম্মু নেমে শ্রীনগর যেতে হবে বাস বা রিজার্ভ কারে করে। বাসের ভাড়া পড়বে ৮০০-১৫০০ টাকা। আর গাড়ি ভাড়া পড়বে ৫০০০-৮০০০ পর্যন্ত। গ্রুপের সদস্য সংখ্যার ওপরে নির্ভর করবে কোন গাড়ি নেবেন। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতে সময় লাগবে ৭-১২ ঘণ্টা। নির্ভর করে আবহাওয়া, রাস্তার অবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এসবের ওপরে।
ট্রেনের টিকিট আপনি সরাসরি স্টেশনে কয়েক ঘন্টা আগে গিয়েও কাটতে পারেন আবার IRCTC Website এ গিয়েও কেটে নিতে পারেন। যদি কোন পিক টাইমে ভ্রমনের প্ল্যান থাকে তাহলে অবশ্যই অনলাইনে আগেই টিকিট কেটে নিবেন কারন পিক টাইমে (ভ্রমনের উপযুক্ত সময়) টিকিট অনেক আগেই শেষ হয়ে যায়। IRCTC Website থেকে টিকিট কাটলে অবশ্যই International Credit Card থাকতে হবে। যদি না থাকে তাহলে আমাদের সাহায্য নিতে পারেন।
টুর প্ল্যানঃ
আপনি যদি প্লেনে কলকাতা/দিল্লি থেকে কাশ্মীর ভ্রমনে যান তাহলে প্রথমে নামবেন শ্রীনগর। এরপর শ্রীনগর ঘুরে যাবেন গুলমার্গ, এরপর সোনমার্গ এবং শেষে প্যাহেলগাম।
আর আপনি যদি ট্রেনে যান তাহলে রুট হবে উল্টো। যদি আপনি ট্রেনে কোলকাতা/দিল্লি থেকে কাশ্মীর যেতে চান তাহলে টুর প্ল্যান উল্টো করলে উপকৃত হবেন। কারন ট্রেন থামবে জম্মুতে। তাই জম্মু থেকে প্রথমে প্যাহেলগাম যাওয়া উচিত। এরপর সোনমার্গ, গুলমার্গ এবং শ্রীনগর। আর মিনিমাম ৬-৮ জনের গ্রুপ টুর না হলে খরচ বাড়বে কারন জম্মু থেকে প্যাহেলগাম যেতে ৭০০০-৮০০০ রুপি গাড়ি ভাড়া লাগে। জম্মু থেকে প্যাহেলগাম ২৫৪ কিঃমিঃ। যেতে ৮-১২ ঘন্টা লাগে।
এখানে আরেকটা কথা বলে রাখা ভাল। অল ইন্ডিয়া সিম জম্মু কাশ্মীরে কাজ করেনা। আর কাশ্মীরে সিম পাওয়া অনেক কঠিন এবং বলতে গেলে প্রায়ই অসম্ভব। এখানে অসম্ভবকে সম্ভব না করে জাম্মুর ট্যাক্সিওয়ালা কে আগেই বলে নিবেন এক্সট্রা সিম লাগবে। সাধারনত ওদের কাছে এক্সট্রা সিম থাকে। আপনার বন্ধুত্যপূর্ণ ব্যবহার এক্ষেত্রে ভুমিকা রাখবে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ শ্রীনগর নেমে প্রথমেই আপনার পাসপোর্ট নিবন্ধন করানো জরুরী। নিরাপত্তার কারণে কাশ্মিরে সব বিদেশিদের জন্য পাসপোর্ট নিবন্ধন করা জরুরী। এ জন্য শ্রীনগর বিমান বন্দরে আলাদা একটা ডেস্ক আছে সেখানে কেন এসেছেন, কোথায় থাকবেন, কতদিন থাকবেন, পাসপোর্ট নাম্বার, ভিসা নাম্বার ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত একটা ফরম পুরন করতে হয়। যদি বিমানে যান তাহলে বিমান বন্দরেই এই কাজটা সেরে ফেলতে পারবেন, আর রাস্তায় দিয়ে গেলে শ্রীনগর ডাল লেকের সামনেই বিদেশী পাসপোর্ট নিবন্ধিকরণ অফিস আছে, সেখানেই এই জরুরী কাজটা সেরে ফেলতে পারবেন।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন তার একটা খসড়া প্ল্যান
প্রথম দিন বেশি ঘুরে জার্নির ক্লান্তির সঙ্গে আরো ক্লান্তি যোগ না করে ডাল লেক (Dal Lake) এর পাশে বসে বা হাউস বোটের বারান্দায় বসে বিশ্রাম নিন। আরাম করে, ক্লান্তি দূর করে পরদিন থেকে শুরু করুন। বুকিং ডট কম থেকে ৫ মাস আগেই হোটেল বুক করে রাখতে পারেন। ৬০০-৮০০ রুপিতে দারুন হোটেল পাবেন। যত দেরিতে বুকিং করবেন খরচ তত বাড়বে। ২/১ মাস আগে বুকিং করলে সেই হোটেল ১২০০-১৫০০ রুপি এক রাত হবে।
শ্রীনগর এর ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Srinagar
শ্রীনগর এ প্রথম দিন ঘুরার জন্য রাখুন। ২ দিন শ্রীনগর হলে ভাল হয়। প্রথম দিন শ্রীনগরের বিখ্যাত, সুসজ্জিত আর মনকাড়া মোগল গার্ডেনগুলো দেখুন, পরীমহলে বেড়ান, ডাল লেক আর হজরত বাল মসজিদ দেখুন সময় নিয়ে, ধীরে ধীরে।
দ্বিতীয় দিন : গুলমার্গ এর ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Gulmarg
শ্রীনগর থেকে গুলমার্গ (Gulmarg) চলে যান। গণ্ডোলায় চড়তে চাইলে নিজেই টিকেট কাটুন, একটু সময় লাগবে কিন্তু সমস্যা হবে না। শুধু শুধু দালালের হাতে টাকাপয়সা না দেওয়াই ভালো। আর পনি রাইড তো অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। সময় নিয়ে পুরো গুলমার্গ ঘুরে ফিরে আসুন শ্রীনগরে বা চাইলে থাকতে পারেন ওখানেই। মনে রাখবেন, গাড়ির ড্রাইভার তাড়াহুড়ো করে চলে আসতে চাইবে যদি আসতে চান। নানা রকম অজুহাত দেখাবে, দেখাবে আবহাওয়ার ভয়-ভীতি, এসব শুনে ভড়কে যাবেন না।
তৃতীয় দিন
এই দিন সোনমার্গ (Sonmarg) এর জন্য। যেতে সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। পথে পড়বে অপরূপ সিন্ধু নদ। আর শেষে সোনায় মোড়ানো সোনমার্গ। এখানে চাইলে থাকতে পারেন এক রাত। সোনমার্গ থেকে যেতে পারেন যোজিলাপাস। গাড়ি ভাড়া নিয়ে হবে আলাদা করে। ভাড়া ৬০০০-৮০০০ টাকা। দরদাম করে নেবেন অবশ্যই। আর একদিন সময় হাতে থাকলে যেতে পারেন ২০০ কিলোমিটার দূরের কার্গিল (Kargil)। দেখে আসতে পারেন পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র আর এক অন্য রকম কাশ্মীর।
সোনমার্গ এর ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Sonmarg
চতুর্থ দিন
শ্রীনগর থেকে চলে যান কাশ্মীরের সত্যিকারের স্বর্গের শহর পেহেলগাম (Pahalgam) এ। যেখানে পাবেন অসহ্য সুখের আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি, মিনি সুইজারল্যান্ড, পাগল করা লিডার নদী, পাইনের অরণ্য আর হাজারো ঝর্ণা একই সঙ্গে। এখানে একদিন-দুদিন থেকে মন ভরবে না কিছুতেই। তাই সময় থাকলে এখানে দু-একদিন বেশি থাকতে পারেন। পুরো কাশ্মীরের মধ্যে প্যাহেলগামটা হলো এককথায় পাগল করা বা অপার্থিব!
এর ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Pahalgam
যদি ৭ দিন ভ্রমন করেন তাহলে নিচের টুর প্ল্যান কাজে লাগাতে পারেনঃ
#১মদিন শ্রীনগর এয়ারপোর্ট হতে ডাল লেক যাবেন, গাড়ী ভাড়া পুরো ৬০০নিবে । ডাল লেকে হাউজবোটে রুম নিবেন, এখন অফ সিজেন ভাড়া খুব কম পাবেন রুম ৫০০/৬০০ করো। ফ্রেশ হয়ে ঐদিন লোকাল সাইড ঘুরবেন গাড়ী ১০০০–১৫০০রুপি নিবে সারাদিন। নিশাত গার্ডেন, সালিমার গার্ডেন, হযরত বাল মসজিদ, চাশমেশালী এগুলো,।
#২য়দিন শ্রীনগর হতে চলো যান সোনমার্গ। গাড়ী নিবে ৩০০০রুপি সারাদিন দরদাম করে নিবেন। সোনমার্গ গিয়ে গাড়ী সাইড করে রেখে লোকাল গাড়ী নিন ৪০০০ রুপি, জোজিলা পাস, জিলো পয়েন্ট, ফিস পয়েন্ট, লেহ কার্গিল রোড ঘুরিয়ে বিকাল ৪টায় আবার সোনমার্গ আনবে, তারপর আগের গাড়ী করে আবার চলো আসুন শ্রীনগর ।
#৩য়দিন শ্রীনগর হতে সকাল সকাল গুলমার্গ চলো যান। গুলমার্গ পায়ে হেটেই ঘুরতে পারবেন গাড়ী/ঘোড়ার প্রয়োজন নেই। গন্ডলা-ক্যাবল কার ২স্টেপ এখানকার মুল আকর্ষন এজন্য গুনতে হবে ১৭০০ রুপি। সারাদিন ঘুড়ে সন্ধায় গুলমার্গ হতে রওনা হয়ে রাতে পেহেলগাম পৌছে দিবে এমন বলে গাড়ী ঠিক করবেন ৪০০০রুপি হবে। গুলমার্ক ছোট তাই লোকাল গাড়ী ছাড়া আপনি হেটেই ঘুরতে পারবেন সারাদিন। রাতে চলে যান পেহেলগাম বাজারে। হোটেল পাবেন অনেক ৫০০/৬০০রুপিতে। হোটেল নূর মহলে ছিলাম ২রুম ১৭০০ রুপি ভাড়া ছিলো
#৪র্থদিন পেহেলগাম ট্যাঙ্কি স্টান হতে গাড়ী নিন অরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি, চন্দনওয়ারী ৩প্লেস গাড়ী ভাড়া ২৫০০ নিবে। সারাদিন ১৮০০ রূপিতেও পাবেন তবে প্রতিটা প্লেসে তারা ১ঘন্টা করে টাইম দিবে । অরু ভ্যালিতে পৌছে ঘোড়ায় চড়ে দেখুন। ঘোড়া ৫০০রুপি নিবে, ২ঘন্টা দেখাবে সব প্লেস। তারপর চন্দনওয়ারী, এখানে ওয়াটার ফল লিডার নদী। নিচেই বেতাব ভ্যালি, সবচেয়ে সুন্দর পার্ক এটি এন্টি ফি ১০০রুপিতে উপভোগ করুন এর সৌন্দর্য
#৫মদিন পেহেলগামের বাইসারান ঘোড়ায় ৭০০রুপি। তবে পায়ে হেটে গেলে সময় লাগবে ৪০মিনিটের মতো। কারন ঘোড়া মিলে ১/২ঘন্টা পর চলে আসার জন্য তাগিদ দেয়। পায়ে হেটে গেলে সারাদিন বসে বাইসারানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন নিরিবিলি ।
#৬ষ্টদিন পেহেলগাম হতে আবার চলে আসুন শ্রীনগর ৩০০০রুপিতে। শ্রীনগর চাইলে সরাসরি দুধপাত্রী যেতে পারবেন। সন্ধায় চলে যান এয়ারপোর্টে, ৫০০রুপিতে। দিল্লি ২ঘন্টা ট্রানজিট হলে রাত ১২টার মধ্যেই ই কোলকাতা পৌছে যাবেন।
সাবধানতা
১.কাশ্মিরের তাপমাত্রা দিনে ৪/৫বার পরিবর্তন হয় মাইনাসে চলে যায় তাই অসুস্থ হওয়া হতে সতর্ক থাকবেন।
২.কাশ্মিরী লোক ৯৯% মুসলমান। ট্যুরিষ্ট তাদের দেশের অর্থনীতির মূল উৎস তাই পুরোপুরি নিরাপত্তা পাবেন আপনি যদি বৈধ ভাবে যান। তারা খুবই সহজ সরল। তারা বাঙালী মুসলিমদের খুব সম্মান করে।তাই এমন কিছু করবেন না যেন নিজের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তারা বাঙালিদের খুব ভালোবাসে বিশেষ করে ক্রিকেটার ও সাকিব আল হাসানের ভক্ত সবাই।
৩.কাশ্মিরে মানুষের চেয়ে আর্মি বেশি। রাস্তায় মোড়ে মোড়ে আর্মি গার্ড, ট্যাংক, শুট পজিশনে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে কারও সাথে কোন রাজনৈতিক আলাপ হতে বিরত থাকবেন। আপনি স্রেফ ট্যুরিস্ট।
৪.৬/জন গ্রুপ নিয়ে ট্যুর দিবেন তাহলে খরচ কম পরবে। আর সবকিছু দামাদামি করে নিবেন।
কাশ্মীর যতই যুদ্ধ আর সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা হোক না কেন, ট্যুরিস্টদের জন্য শতভাগ নিরাপদ। কারণ, এটাই ওদের একমাত্র আয়ের উৎস। তাই ট্যুরিস্টদের নিয়ে ওদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে জেনেবুঝে কোনো বেশি সাহসী কাজ না করাই ভালো। যেমন কারো সঙ্গে মনোমালিন্য, দরদাম নিয়ে বেশি ঝামেলা করা, মাথা গরম করে কোনো কিছু করে না ফেলা। তাতে আপনি যতই সঙ্গবদ্ধ আর বড় গ্রুপের হোন না কেন?
আর যাওয়ার আগে অবশ্যই সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে, জেনে আর বুঝে যাবেন। কারণ আগে জীবন, নিজের আর পরিবারের নিরাপত্তা আর তার পরে ভ্রমণ।