জেনে নিন মেট্রোরেল ব্যবহারের বিধি নিষেধ
December 27, 2022মিজোরাম
May 10, 2023
ভূস্বর্গের উদ্দেশ্যে রওনা করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে মার্চ-এপ্রিল। এই সময় টিউলিপ ফুটে। অসাধারন একটি সময় কাশ্মীর ভ্রমনের জন্য। কম খরচে ভ্রমন করতে গেলে ২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী জন প্রতি সর্বনিম্ন ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকায় কাশ্মীর টুর দেয়া যায় যদি গ্রুপে মিনিমাম ২-৩ জন থাকেন।
কিভাবে কম খরচে যাবেন ? – ২০২৩ এর আপডেট
কম খরচে কাশ্মীর যেতে গেলে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে কোলকাতা হয়ে যেতে হবে। কোলকাতা থেকে ট্রেনে করে জম্মু যেতে হবে। তাই প্রথমে কোলকাতা কিভাবে যাবেন সেই ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Dhaka to Kolkata
ঢাকা থেকে কোলকাতার ট্রেন ভাড়া এখন ১৯৫৫ টাকা (এসি চেয়ার) থেকে শুরু। এছাড়া আছে ট্রাভেল টেক্স ৫০০ টাকা।
ভারতে ভিসার জন্য বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ India visa
কোলকাতা থেকে কিভাবে কাশ্মীর যাবেন?
কোলকাতা থেকে কম খরচে ট্রেনে করেই সরাসরি কাশ্মীর যাওয়া যায়। তবে অনেক সময় লাগবে। প্রায় ৩৮ ঘন্টা জার্নি। সময় কমাতে চাইলে কোলকাতা থেকে ট্রেনে করে নিউ দিল্লী যেতে পারেন। এরপর দিল্লী থেকে সরাসরি বাসে করেও যেতে পারেন শ্রীনগর। কিন্তু এখানে বাস জার্নিটা কষ্টের হয়ে যাবে। কারন বাসে আপনাকে বসে থাকতে হবে প্রায় ১৫ ঘন্টা। আমরা ২টা জার্নির বিস্তারিত তুলে ধরছি।
ট্রেনে যেতে হলে যা করবেনঃ জার্নিটা একটু কষ্টের। ট্রেনে গেলে জম্মু নামতে হবে। জম্মু থেকে আবার ৭-১২ ঘন্টার জার্নি করে শ্রীনগর যেতে হবে। কোলকাতার মারকুইস স্ট্রিট স্টেশন থেকে রাত ১১.৫৫ এ হিমগিরি এক্সপ্রেস যায়। এসি কোচের সিট নিবেন কারন যাত্রা প্রায় ৩৮ ঘন্টার !! মানে প্রায় ১.৫ দিনের বেশি। আর যদি সস্তায় যেতে চান তাহলে Hwh Jat Special এর টিকিট কাটতে পারেন। Sleeper ৭৯০ রূপি সর্বনিম্ন, নন এসি সিট। এসি সিট AC 3 Tier (3A) ২০৬৫ রুপি সর্বনিম্ন জন প্রতি। যেতে ভালই কষ্ট হতে পারে। ৩২ টা স্টপে ট্রেন থামবে। রাত ২৩ঃ৫৫ তে ট্রেন ছাড়বে। দ্বিতীয় দিন দুপুর ২ টায় পৌঁছাবে।
জম্মু নেমে শ্রীনগর যেতে হবে বাস বা রিজার্ভ কারে করে। বাসের ভাড়া পড়বে ৮০০-১৫০০ টাকা জন প্রতি। আর গাড়ি ভাড়া পড়বে ৫০০০-৮০০০ পর্যন্ত। গ্রুপের সদস্য সংখ্যার ওপরে নির্ভর করবে কোন গাড়ি নেবেন। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতে সময় লাগবে ৭-১২ ঘণ্টা। নির্ভর করে আবহাওয়া, রাস্তার অবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এসবের ওপরে।
ট্রেনের টিকিট আপনি সরাসরি স্টেশনে কয়েক ঘন্টা আগে গিয়েও কাটতে পারেন আবার IRCTC Website এ গিয়েও কেটে নিতে পারেন। যদি কোন পিক টাইমে ভ্রমনের প্ল্যান থাকে তাহলে অবশ্যই অনলাইনে আগেই টিকিট কেটে নিবেন কারন পিক টাইমে (ভ্রমনের উপযুক্ত সময়) টিকিট অনেক আগেই শেষ হয়ে যায়। IRCTC Website থেকে টিকিট কাটলে অবশ্যই International Credit Card থাকতে হবে। যদি না থাকে তাহলে আমাদের সাহায্য নিতে পারেন। টুর প্ল্যান অথবা টিকিটের খরচ জানতে আমাদের Whatsapp/Messeger এ নক করতে পারেন। Whatsapp: +88 019888-90099, Facebook Link
বাসে যেতে হলে যা করবেনঃ
কোলকাতার হাওড়া স্টেশন থেকে বিকেল ১৬ঃ৫০ এ RAJDHANI EXPRES (12301) সরাসরি দিল্লী যায়। এসি কোচের সিট নিবেন কারন যাত্রা প্রায় ১৮ ঘন্টার !! এসি সিট AC 3 Tier (3A) ৩০২০ রুপি সর্বনিম্ন জন প্রতি। দ্বিতীয় দিন সকাল ১১ টায় পৌঁছাবে।
এরপর নিউ দিল্লী রেল স্টেশন থেকে পাটেল চক চলে যাবেন। পাটেল চক থেকে ১.৩ কিঃমিঃ দুরেই বাস স্ট্যান্ড। সেখান থেকে ৪ ঘন্টা পর পর শ্রীনগরের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। বাসের নাম JKSRTC। jksrtc.co.in থেকে টিকিট বুক করতে পারেন। দিল্লী থেকে এসি বাসের ভাড়া ২১০০ রুপি।
টুর প্ল্যানঃ
আপনি যদি ট্রেনে করে কলকাতা থেকে দিল্লী গিয়ে দিল্লী থেকে বাসে কাশ্মীর ভ্রমনে যান তাহলে প্রথমে নামবেন শ্রীনগর। এরপর শ্রীনগর ঘুরে যাবেন গুলমার্গ, এরপর সোনমার্গ এবং শেষে প্যাহেলগাম।
আর আপনি যদি ট্রেনে করে কোলকাতা থেকে সরাসরি কাশ্মীর যান তাহলে টুর প্ল্যান উল্টো করলে উপকৃত হবেন। কারন সরাসরি ট্রেন থামবে জম্মুতে। তাই জম্মু থেকে প্রথমে প্যাহেলগাম যাওয়া উচিত। কারন প্যাহেলগাম থেকে শ্রীনগর ৫০ কিঃমিঃ দূরে। এরপর সোনমার্গ, গুলমার্গ এবং শেষে শ্রীনগর ঘুরতে পারেন। আর মিনিমাম ৬-৮ জনের গ্রুপ টুর না হলে খরচ বাড়বে কারন জম্মু থেকে প্যাহেলগাম যেতে ৭০০০-৮০০০ রুপি গাড়ি ভাড়া লাগে। জম্মু থেকে প্যাহেলগাম ২৫৪ কিঃমিঃ। যেতে ৮-১২ ঘন্টা লাগে। তাছাড়া ছোট জিপ গাড়ি হলে প্যাকেজে যেতে পারেন। ১০,০০০ রুপিতে আপনাকে স্টেশন থেকে পিক আপ থেকে শুরু করে একেকদিন একেক জায়গা ঘুড়তে নিয়ে যাবে। ১ম দিন শ্রীনগর, ২য় দিন গুলমার্গ, ৩য় দিন সোনমার্গ এবং ৪র্থ দিন প্যাহেলগাম। এরপর আবার স্টেশনে নামিয়ে দিবে। সেক্ষেত্রে ৩ জনের গ্রুপ হলে সবথেকে ভালো হয়।
আর আপনি যদি দিল্লী হয়ে বাস দিয়ে যেতে চান তাহলে প্রথমে বাস আপনাকে শ্রীনগর নামিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে শ্রীনগর থেকে টুর শুরু করেন। প্রথমে শ্রীনগর, এরপর গুলমার্গ, সোনমার্গ এবং শেষে প্যাহেলগাম ঘুরে ফেরত আসবেন।
এখানে আরেকটা কথা বলে রাখা ভাল। অল ইন্ডিয়া সিম জম্মু কাশ্মীরে কাজ করেনা। আর কাশ্মীরে সিম পাওয়া আগে অনেক কঠিন ছিল এবং বলতে গেলে প্রায়ই অসম্ভব। এখন এয়ারটেলের সিম কাশ্মিরে পাওয়া যায় সব জায়গায়। ৫০০ রুপিতে আপনি সিম নিতে পারবেন। ৩০ দিন মেয়াদ। প্রত্যেকদিন ১.৫ জিবি ইন্টারনেট পাবেন। অন্য কোন কোম্পানির সিম চলে না।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ শ্রীনগর নেমে প্রথমেই আপনার পাসপোর্ট নিবন্ধন করানো জরুরী ছিল। এখন সেটা আগেই করতে হয়। যারা বিমানে ভ্রমন করেন তারা দিল্লি/কোলকাতা বিমান বন্দরে আলাদা একটা ডেস্ক আছে, সেখানে কেন এসেছেন, কোথায় থাকবেন, কতদিন থাকবেন, পাসপোর্ট নাম্বার, ভিসা নাম্বার ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত একটা ফরম পুরন করতে হয়। যদি বিমানে যান তাহলে বিমান বন্দরেই এই কাজটা সেরে ফেলতে পারবেন, আর রাস্তায় দিয়ে গেলে শ্রীনগর ডাল লেকের সামনেই বিদেশী পাসপোর্ট নিবন্ধিকরণ অফিস আছে, সেখানেই এই জরুরী কাজটা সেরে ফেলতে পারবেন।
কোথায় থাকবেনঃ
শ্রীনগরের ডাল লেকে হাউজ বোটে থাকতে পারেন। ২ জন এক রুমে। হাউজ বোটের ভাড়া সিজন ভেদে একেক রকম। আপনি যদি এপ্রিল-মে মাসে যান তাহলে সর্বনিম্ন ৩০০০ রুপি থেকে শুরু। অন্য সিজনে ২০০০ রুপির মত লাগে। আর যদি ডাল লেকের পিছনে মমতা চক এরিয়া তে থাকেন তাহলে সেখানে ভালো গেস্ট হাউজ ১০০০-১২০০ রুপিতে পাবেন।
কোথায় খাবেনঃ
হোটেলে অথবা দর্শনীয় স্থান ঘুরতে গেলে রাস্তায় অনেক হোটেল পাবেন। প্রতিদিন ৩ বেলা খাবারের জন্য জন প্রতি ১০০০ টাকা বাজেট রাখলেই হয়। তবে কোন চাইনিজ ফুড অর্ডার করবেন নয়া ভুলেও। খুবই বাজে রান্না করে। নন ভেজ খাবারগুলো বেশি ভালো রান্না করে এরা।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন তার একটা খসড়া প্ল্যান
প্রথম দিন বেশি ঘুরে জার্নির ক্লান্তির সঙ্গে আরো ক্লান্তি যোগ না করে ডাল লেক (Dal Lake) এর পাশে বসে বা হাউস বোটের বারান্দায় বসে বিশ্রাম নিন। আরাম করে, ক্লান্তি দূর করে পরদিন থেকে শুরু করুন।
শ্রীনগর এর ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Srinagar
শ্রীনগর এ প্রথম দিন ঘুরার জন্য রাখুন। ২ দিন শ্রীনগর হলে ভাল হয়। প্রথম দিন শ্রীনগরের বিখ্যাত, সুসজ্জিত আর মনকাড়া মোগল গার্ডেনগুলো দেখুন, পরীমহলে বেড়ান, ডাল লেক আর হজরত বাল মসজিদ দেখুন সময় নিয়ে, ধীরে ধীরে।
দ্বিতীয় দিন : গুলমার্গ এর ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Gulmarg
শ্রীনগর থেকে গুলমার্গ (Gulmarg) চলে যান। গণ্ডোলায় চড়তে চাইলে নিজেই টিকেট কাটুন, একটু সময় লাগবে কিন্তু সমস্যা হবে না। শুধু শুধু দালালের হাতে টাকাপয়সা না দেওয়াই ভালো। আর পনি রাইড তো অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। সময় নিয়ে পুরো গুলমার্গ ঘুরে ফিরে আসুন শ্রীনগরে বা চাইলে থাকতে পারেন ওখানেই। মনে রাখবেন, গাড়ির ড্রাইভার তাড়াহুড়ো করে চলে আসতে চাইবে যদি আসতে চান। নানা রকম অজুহাত দেখাবে, দেখাবে আবহাওয়ার ভয়-ভীতি, এসব শুনে ভড়কে যাবেন না।
তৃতীয় দিন
এই দিন সোনমার্গ (Sonmarg) এর জন্য। যেতে সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। পথে পড়বে অপরূপ সিন্ধু নদ। আর শেষে সোনায় মোড়ানো সোনমার্গ। এখানে চাইলে থাকতে পারেন এক রাত। সোনমার্গ থেকে যেতে পারেন যোজিলাপাস। গাড়ি ভাড়া নিয়ে হবে আলাদা করে। ভাড়া ৬০০০-৮০০০ টাকা। দরদাম করে নেবেন অবশ্যই। আর একদিন সময় হাতে থাকলে যেতে পারেন ২০০ কিলোমিটার দূরের কার্গিল (Kargil)। দেখে আসতে পারেন পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র আর এক অন্য রকম কাশ্মীর।
সোনমার্গ এর ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Sonmarg
চতুর্থ দিন
শ্রীনগর থেকে চলে যান কাশ্মীরের সত্যিকারের স্বর্গের শহর পেহেলগাম (Pahalgam) এ। যেখানে পাবেন অসহ্য সুখের আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি, মিনি সুইজারল্যান্ড, পাগল করা লিডার নদী, পাইনের অরণ্য আর হাজারো ঝর্ণা একই সঙ্গে। এখানে একদিন-দুদিন থেকে মন ভরবে না কিছুতেই। তাই সময় থাকলে এখানে দু-একদিন বেশি থাকতে পারেন। পুরো কাশ্মীরের মধ্যে প্যাহেলগামটা হলো এককথায় পাগল করা বা অপার্থিব!
এর ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ Pahalgam
সাবধানতা
কাশ্মিরের যে জিনিসটা আপনাকে পদে পদে কষ্ট দিবে সেটা হল এখানের মানুষগুলো বাটপার। এরা ৫০০ টাকার জিনিস ৭০০০-৮০০০ টাকা চাইবে। আপনি যদি দাম না জানেন তাহলে বাঁশ খেয়ে যাবেন। হোটেলের বয় থেকে শুরু করে গাড়ির ড্রাইভার, সবার কমিশন বানিজ্য করে। যেমনঃ ডাল লেকে শিকারা রাইড ২ ঘন্টার জন্য ভাড়া ৪০০-৫০০ রুপি। আপনাকে ভাইজান বলে মুখের মধুর কথা বলে চাইবে ৫০০০ রূপি। সোনমার্গে Thajiwas Glacier নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘোড়া প্রতি ভাড়া ৭০০ রুপি, আপনার কাছে চাইবে ৪০০০-৫০০০ রুপি। পেহেলগেম মিনি সুইজারল্যান্ড নামে বিখ্যাত Baisaran valley তে যাওয়ার জন্য ঘোড়া প্রতি ভাড়া ৭০০ রুপি, আপনার কাছে চাইবে ৪০০০-৫০০০ রুপি!! ড্রাই ফুড কিনতে যাবেন, সেখানেও বাটপারি। শাল কিনতে যাবেন, সেখানেও বাটপারি !! পশমিনা অরিজিনাল শাল ১২০০০ রুপি চাইবে। আসলে সেটা ফেইক আর দাম হবে ১৫০০-২০০০ রুপির মত। তাই কাশ্মীর কেউ ঘুরতে গেলে ২য়বার আর কেউ যেতে চায় না। আরো কিছু ব্যপার মাথায় রাখবেনঃ
১.কাশ্মিরের তাপমাত্রা দিনে ৪/৫বার পরিবর্তন হয় মাইনাসে চলে যায় তাই অসুস্থ হওয়া হতে সতর্ক থাকবেন।
২.কাশ্মিরী লোক ৯৯% মুসলমান। ট্যুরিষ্ট তাদের দেশের অর্থনীতির মূল উৎস তাই পুরোপুরি নিরাপত্তা পাবেন আপনি যদি বৈধ ভাবে যান। তারা বাঙালী মুসলিমদের খুব সম্মান করে। তাই এমন কিছু করবেন না যেন নিজের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
৩.কাশ্মিরে মানুষের চেয়ে আর্মি বেশি। রাস্তায় মোড়ে মোড়ে আর্মি গার্ড, ট্যাংক, শুট পজিশনে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে কারও সাথে কোন রাজনৈতিক আলাপ হতে বিরত থাকবেন। আপনি স্রেফ ট্যুরিস্ট।
৪.৬/জন গ্রুপ নিয়ে ট্যুর দিবেন তাহলে খরচ কম পরবে। আর সবকিছু দামাদামি করে নিবেন।
কাশ্মীর যতই যুদ্ধ আর সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা হোক না কেন, ট্যুরিস্টদের জন্য শতভাগ নিরাপদ। কারণ, এটাই ওদের একমাত্র আয়ের উৎস। তাই ট্যুরিস্টদের নিয়ে ওদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে জেনেবুঝে কোনো বেশি সাহসী কাজ না করাই ভালো। যেমন কারো সঙ্গে মনোমালিন্য, দরদাম নিয়ে বেশি ঝামেলা করা, মাথা গরম করে কোনো কিছু করে না ফেলা। তাতে আপনি যতই সঙ্গবদ্ধ আর বড় গ্রুপের হোন না কেন?
আর যাওয়ার আগে অবশ্যই সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে, জেনে আর বুঝে যাবেন। কারণ আগে জীবন, নিজের আর পরিবারের নিরাপত্তা আর তার পরে ভ্রমণ।