Maldives Tour

 
মালদ্বীপ (Maldives), ভারতের প্রতিবেশী দেশ। শ্রীলঙ্কা থেকে আকাশ পথে মাত্র চল্লিশ মিনিট দূরে ভারত মহাসাগরের মাঝে ছোট্ট এক দ্বীপের নামই মালদ্বীপ।
 
মালদ্বীপ সরাসরি প্লেনে করে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ভেলানা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট। সরাসরি মালে পৌঁছালে সেখান থেকে সমুদ্রের ওপরে বোটে করে আপনার পছন্দমত এবং ঠিক করা কোন এক আইল্যান্ডের মাঝে সুসজ্জিত রিসোর্টে চলে যেতে পারবেন।

মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের ভিসা লাগে না, পাসপোর্ট নিলেই চলবে। ম্যালে গিয়ে একটা ছোট্ট ফর্ম ফিলাপ করে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প মেরে আপনাকে ওখানকার অথোরিটি ওদের দেশে ঢুকতে দেবে। আর হ্যাঁ রিটার্ন টিকিট কিন্তু দরকার ইমিগ্রেশনের সময়।

Paradise Island Resort, Maldives এ বুকিং করতে পারেন। মালদ্বীপের রিসোর্ট গুলো একটু কস্টলি। রিসোর্টের লোকেরাই মালে এয়ারপোর্ট থেকে পিক আপ করে। মালে এয়ারপোর্ট থেকে বেরোলেই আপনাকে মুখোমুখি হতে হবে সমুদ্রের যা কিনা আপনার মুড টাকে আরও উজ্জীবিত করবে। আপনার সারাদিনের ধকলকে কনভার্ট করবে এনার্জিতে, আপনার জন্য বোট অপেক্ষা করবে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

চল্লিশ মিনিট লাগবে গন্তব্যে পৌঁছাতে, যাওয়ার সময় বৃষ্টি পড়তে পারে। রিসোর্টের জেটিতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাগীতে উঠে পড়বেন, বাগি হল কলকাতার টোটো ভার্সন। বাগী নিয়ে যাবে হোটেলের রিসেপশনে। সঙ্গে সঙ্গে চলে আসবে ওয়েলকাম ড্রিংকস, উষ্ণ তোয়ালে আর চেক ইন ফর্ম। মালদ্বীপ গরমের দেশ, বৃষ্টি হলেও একটু ভ্যাপসা থাকে আবহাওয়া, উষ্ণ তোয়ালে আপনাকে আরাম দেবে আর ড্রিংক দেবে এক্সট্রা এনার্জি, ব্যাস ফর্ম ফিলাপ শুরু করে দিন।

চেক ইন করেই চলে যাবেন লাঞ্চের উদ্দেশ্যে, প্যাকেজ নিতে পারেন অল ইঙ্কলুসিভ অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভিনিং স্ন্যাক্স এন্ড ডিনার সাথে আনলিমিটেড সফট এন্ড হার্ড ড্রিংকস। মালদ্বীপে এক মাত্র প্রাইভেট আইল্যান্ডেই হার্ড ড্রিংকস পাওয়া যায়। মালদ্বীপে বিচ বাংলো গুলো অনেক সুন্দর। দরজা খুললেই সাদা বালির বিচ, সার দিয়ে গাছের সারি আর তার পরেই নীল জলের সমুদ্র। এই নীল জলরাশি দেখতে মনমোহিনী কিন্তু ঢেউ পাবেন না। এক্কেবারে শান্ত, ধীর স্থির। পানি এত পরিষ্কার যে পানির নিচের যাবতীয় জিনিস আপনার নজরে চলে আসবে। আর হ্যাঁ আপনি যখন সাঁতার কাটবেন মনে রাখবেন আশে পাশে তারা আপনার নজর রাখছেন। মাছেদের কথা বলছি, ছোট থেকে মাঝারি রং বেরঙ্গের সব মাছ আপনাকে একবার দেখেই পাশ কাটিয়ে চলে যাবে ধরার চেষ্টা করবেন না কারন ওরা ধরা দেয়না। ওদের শুধু দেখতে হয় আর মজা করতে হয়।
বীচ বাংলো ছাড়া আরেক ধরনের রিসোর্ট আছে যেটা খুবই জনপ্রিয় মালদ্বীপে। সেটি হল ওয়াটার বাংলো, অর্থাৎ পানির ওপরে বাংলো। এক কথায় দুর্দান্ত। নীল জলরাশির ওপরে সার বেঁধে বাংলো গুলি যেন একে ওপরের হাত ধরে দাড়িয়ে আছে। পানির বাংলো যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে আপনি সমুদ্রের ঢেউ আর গর্জন দুটোই শুনতে আর দেখতে পাবেন সাথে মাছেদের আনা গোনা।
হোটেলে মিনি বার আছে, তবে কোল্ড ড্রিংকস ছাড়া সবই পেইড তাও একবার জিজ্ঞেস করে নেবেন। চা কফি মেকার আছে, ভোরে উঠে কফি বা চা যেটা আপনার প্রিয় নিয়ে রুমের বাইরের বারান্দায় বসে বসে পরুন ।এরকম নৈসর্গিক সৌন্দর্য আর পরিবেশ গ্যরান্টি আর কোথাও পাবেন না। রুম বেশ বড়, বাথরুমটাও বেশ, ভীতরে বাথটব আছে আবার পিছনে উন্মুক্ত আকাশের নিচে চারপাশে পাঁচিল দেওয়া টপ শাও্যার আছে গোসলের জন্য।

এবার আসি ওখানে আপনি কি করবেন? আপনি যদি হানিমুন কাপল হন তাহলে পুরো আইল্যান্ড ঘুরুন আর ঘুরুন, নীল পানির সাথে দুজনে মেতে উঠুন আর যদি খিদে টিদে থাকে তাহলে খাওয়া পর্ব সেরে আবার হারিয়ে যান নীল পানি, সাদা বীচ, গাছের সারি , দূরের সমদ্রের গর্জনের মাঝে।এক কথায় হানুমুন কাপল দের জন্য পৃথিবীর মধ্যে এরকম আদর্শ জায়গা কিন্তু খুব বেশী নেই।

আর যদি আপনি হানুমুনের সাথে এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাহলে ওয়াটার স্পোর্টস বা পানিক্রীড়া করতে পারেন। অনেক ধরনের ক্রীড়া আছে যেমন স্কুবা ড্রাইভিং, স্নরক্লিং, প্যারাগ্লাইডিং এবং আরও অনেক কিছু। যদি এর সাথে কিছু সাফারি করতে চান তাহলে করতে পারেন ডলফিন সাফারি যা কিনা এক কথায় অনবদ্য। এক্কেবারে গভীর সমুদ্রের কালো জলরাশির মধ্যে যখন আপনার বোট দুলবে আর সামনে ডলফিনরা আপনাকে তাঁদের সাতারের দক্ষতা আর জাম্পিঙ্গের পারদর্শিতা দেখাবে তখন আপনি মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।

আরেকটা সাফারি যেটা করতে পারেন বিশেষত বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে সেটা হল বোটম গ্লাস বোট সাফারি। আপনার বোটের মাঝের নিচে নীল গ্লাসের মধ্যে দিয়ে সমুদ্রের নিচের সম্ভার আপনার দৃষ্টি গোচরে নিয়ে আসবে। বাচ্চাদের হলেও বুড়োদের ও খারাপ লাগবে না , এক কথায় চলন্ত এবং প্রাণবন্ত একোরিয়াম। অসংখ্য মাছের সমাহার, কচ্ছপ, শঙ্কর মাছ সাথে আর ও নাম না জানা মাছ, মনে হবে এই বুঝি ছুঁয়ে ফেললাম। বসুন , দেখুন আর উপভোগ করুন।
আইল্যান্ড টুর করতে পারেন অর্থাৎ আশে পাশে তিন চারটে বা তার বেশী আইল্যান্ড আপনি পরিদর্শন করতে পারেন। বোটে করে যান, ঘুরুন, নতুন আইল্যান্ড দেখুন। সিটি ট্যুর করতে পারেন, মালে এক্সকারশন। যদিও ফিডব্যাক কিন্তু এক্সিলেন্ট নয়। তবে আপনার পছন্দ একান্তই আপনার। মালেতে আপনি কিছু ফিশ মার্কেট, রেস্টুরেন্ট আর কিছু মসজিদ পাবেন। চার্চও নাকি আছে, তবে আপনাকে পায়ে হেঁটে ঘণ্টা দেড়েক ঘুরতে হবে। আসলে মালে সিটি আয়তনে খুবই ছোট কিন্তু জনরাশির প্রবল চাপ যা কিনা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

খাবার কি খাবেন?

এখানে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ আর ডিনারের বুফে সিস্টেম। খাবার আপনি সব ধরনের পাবেন, ভেজ নন ভেজ দুটোই আছে, স্যালাড, জুস, ডিমের বিভিন্ন আইটেম, ফলের সমাহার সব পাবেন, সব খাবার টেস্ট করা উচিত। মেইন রেস্টুরেন্ট খোলে সকাল এগারোটায়। ওখানে সাধারনত ড্রিঙ্কস করতেই লোকে যায়, সন্ধ্যে বেলায় ওখানে স্ন্যাক্সের বুফে বসে। পাকোরা, পেস্ট্রি, বিভিন্ন ফল, চা কফি পেয়ে যাবেন আর একটু রাতের দিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। চাইল্ড ড্যান্স থেকে শুরু করে কাপল ড্যান্স, বেলি ড্যান্স সবই হয়।

খরচাপাতিঃ

মালদ্বীপ একটু এক্সপেন্সিভ জায়গা। প্রাইভেট রিসোর্টে মালদ্বীপের নিজস্ব কারেন্সি চলে না, আমেরিকান ডলার চলে। তবে অফসিজনে ভাল ডিস্কাউন্ট থাকে। অনেক প্যাকেজে শুধু মাত্র সাফারি ছাড়া বাকী খাওয়া দাওয়া, ইনডোর গেম বা জিম একদম ফ্রি। যা করবেন সেটা আপনাকে আগে থেকে ঠিক করতে হবে আপনার রুম নাম্বার আর যে কজন যাবেন তাঁদের সংখ্যা লিখে নেবে, পেমেন্ট করতে হবে চেক আউটের সময়। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, প্রত্যেক এক্টিভিটির একটা নির্দিষ্ট রেট থাকে তবে লোক বেশী হলে বা একটু বারগেনিং করলে ভাল। প্যাকেজ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয় মোটামুটি ভাল মানের রিসোর্টে। সিজন ভেদে ঢাকা থেকে মালদ্বীপের এয়ার টিকিট ২৫০০০ থেকে ৪৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে আপ-ডাউনে।

Phuket

City Tour, Patong Beach

Phuket is famous for Patong Beach, James Bond Island

Duration:
7 days
Date:
Any Day
Airport:
Phuket Int Airport from Don Mueang
Extras:
All inclusive

Price per person:

$200

Tour Guideline