আন্ধারমানিক (Andharmanik) শব্দটিই রহস্যময়। এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যময় স্থানটি নিজের চোখে দেখলে অনুভব করতে পারবেন এর বিশালতা। এর অবস্থান বান্দরবান জেলার থানছি উপজেলার বড় মদক এর পরে। বড় মদকের পর আর কোনো সেনা বাহিনী বা বিজিবি ক্যাম্প না থাকায় নিরাপত্তার কারণে প্রায়ই এখানে যেতে অনুমতি দেয়া হয় না। আন্ধারমানিকের মূল আকর্ষণ হল নারেসা ঝিরি। ঝিরির দুই পাশ প্রায় ৬০/৭০ ফুট পাথরের দেয়াল সমান্তরাল ভাবে অনেক দূর চলে গেছে। মনে হল ঢালাই দিয়ে কেউ বানিয়ে রেখেছে। এক অদ্ভুত সৃষ্টি এই আন্ধারমানিক। সূর্যের আলো কম পৌঁছার কারণে জায়গাটি সব সময় অন্ধকার দেখা যায়। তাই আন্ধারমানিক বলতে মূলত আমরা এই জায়গাটিকেই বুঝি। কিভাবে যাবেন ঢাকা থেকে প্রথমে বান্দরবান যেতে হবে। ভাড়া নন এসি ৬২০ টাকা। এসি ৮৫০ টাকা। বান্দরবান থেকে থানছির বাসভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা। থানচি থেকে আন্ধারমানিক যাওয়া আসা ট্রলার রিজার্ভ বাবদ ১০,০০০ টাকার মতো নেবে। তবে বড় মদক বিজিবি ক্যাম্পের অনুমতির উপরই আন্ধারমানিক যাওয়া নির্ভর করে। চারদিন সময় নিয়ে গেলে ভালো করে দেখে আসতে পারবেন। আন্ধারমানিক যেতে প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে বান্দরবানের থানছি ওখান থেকে বোটে তিন্দু, রেমক্রি ফেলেও যেতে হবে আরো অনেক দূর। রেমাক্রির পরের জায়গাটির নাম বড় মদক। যার স্থানীয় নাম ‘মুরং ওয়া’। এখানে ‘মুরং ওয়া’ নামে একটি পাড়াও আছে। বড়মদক থেকে নদীপথে পাড়াটির দূরত্ব আট কিলোমিটার। এর পরেই শুরু হয় রহস্যময় সৌন্দর্যের অন্ধকার জগৎ আন্ধারমানিক।
দীর্ঘ এই নদীপথের দুই পাশের পাহাড়ের দেয়াল খাড়া নেমে গেছে পানির গভীর তল পর্যন্ত। পাহাড়ের উঁচু উঁচু গাছ ভেদ করে সূর্যের আলো পৌঁছায় খুব কম। তাই এই জায়গার নাম আন্ধারমানিক যা গেছে লিক্রি পর্যন্ত। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বয়ে চলে অসংখ্য ঝর্না। লিক্রি থেকে মিয়ানমারের সীমানা কাছেই।
কোথায় খাবেন
রেমাক্রিতে খাবার পাবেন। ছোট মদক ও বড় মদকে নিজেদের রান্না করে খেতে হবে।
কোথায় থাকবেন
রেমাক্রিতে কয়েকটি গেস্ট হাউজ আছে। ছোট মদক ও বড় মদকে আদিবাসীদের ঘরে থাকতে পারবেন।
WhatsApp us