ঠিক বান্দরবান-মিয়ানমার বর্ডার এ কংদুক বা যোগী হাফং (Jogihafong) এর অবস্থান। পাহাড় প্রেমীদের কাছে যোগী হাফং পরিচিত একটি নাম। যোগী হাফং বা কংদুক ৪র্থ সর্ব্বোচ্চ পাহাড়। কংদুক বা যোগীহাফং এর উচ্চতা ৯৮৩ মিটার বা ৩২২২ ফুট। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে বেশ দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত মোদক রেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত এই পাহাড়টি। বাংলাদেশের মধ্যে মোদক রেঞ্জের পাহাড়গুলোর উচ্চতাই সবচেয়ে বেশি। এই রেঞ্জের পাহাড় গুলো সমহিমায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ হতে মায়ানমারকে পৃথক করেছে।
হিসেবে এর বিশেষ সুনাম থাকায় ট্রেকারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই যোগি হাফং। বাংলাদেশের তরুণ ও সম্ভবনাময়ী পর্বতারোহী সালেহীন আরশাদী প্রায় ছয়টির মত চুড়া লোকেট করেছেন। অসুবিধা হচ্ছে যোগীতে অনেকগুলো সাব সামিট রয়েছে, যেগুলোতে গিয়ে অনেকেই বুঝতে পারেন না মুল সামিটে গিয়েছেন কিনা।
জিপিএস কোর্ডিনেট
21°42’13.0″N 92°36’5.38″E
যাওয়ার ট্রেইল
ঢাকা-বান্দরবান-থানচি-রেমাক্রি-দলিয়ানপাড়া-যোগী ট্রেইল।
সম্ভাব্য খরচ
৪/৫ জনের টিমের – ৪৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা জনপ্রতি (গাইড, খাওয়া, থাকা, সকল যাতায়াত, নাস্তা সহ) ঢাকা থেকে ঢাকা, সম্ভাব্য ৪ দিন।
সম্ভাব্য ট্যুর প্লান
০ তম দিন > ঢাকা-বান্দরবান ১ম দিন > বান্দরবান – থাঞ্চি (লোকালবাস) – রেমাক্রি (বোট) – দলিয়ানপাড়া (ট্রেকিং-৩ঘন্টা) ২য় দিন > দলিয়ানপাড়া (লোকাল গাইড নিয়ে) – যোগী হাফং চুড়া (৮/১০ ঘন্টা যাওয়া আসা) ৩য় দিন > দলিয়ানপাড়া – নাফাখুম ঝর্না – রেমাক্রী – থাঞ্চি – বান্দরবান। ৪র্থ দিন > ব্যাক টু ঢাকা
কিভাবে যাবেন
বান্দরবান থেকে বাসে বা জীপে থানচি যেতে হবে প্রথমে। থানচি থেকে নৌকায় রেমাক্রি বাজার, সেখান থেকে ৩ ঘন্টার পায়ে হাটা পথ দলিয়ান পাড়া। দলিয়ান পাড়া থেকে এক দিনেই যোগী হাফং পাহাড়ে উঠে ফিরে আসা যায়।
WhatsApp us