তিনাম ঝর্ণা

blank
ভেলাখুম
October 26, 2020
blank
দেবতাখুম
October 26, 2020
Show all

তিনাম ঝর্ণা

blank

তিনাম ঝর্ণা (Tinam Waterfall), বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত অপরুপ একটি ঝর্ণা। প্রকৃতির আরেক বিস্ময় এই ঝর্ণা। সুউচ্চ পাহাড় থেকে খানিক দূরত্বে পাশাপাশি দুইটি ঝর্ণা ওবিরাম ধারায় ঝরে পড়ছে অবিরত। তিনাম ঝর্ণাটি দেখতে আলীকদম সদর থেকে মাতামুহুরী নদীপথে অন্তত ৬০/৭০ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়।

বর্ষায় এ ঝর্ণার পানি প্রবাহ অনেক বেশি থাকে, যদিও শীতকালেও পানির প্রবাহ ধরে রাখে এই ঝর্ণাটি। তিনাপ ঝর্ণাটি তাইনুম ঝর্ণা নামেও পরিচিত আছে অনেকের কাছে। পোয়ামুহুরী থেকে নৌপথে ৩০ মিনেটের দূরত্বে এ ঝর্ণার অবস্থান। এ ঝর্ণার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পাশাপাশি দুইটি ঝর্ণা ধারা। অন্তত দেড়শ’ ফুট উঁচু পাহাড়ের খাদ বেয়ে দুইটি ঝর্ণার পানি গড়িয়ে পড়ছে নীচে। ঝর্ণা দুইটির পানি যেখানে পড়ছে সেখানে জলাশয় রয়েছে। জলাশয়ের পাশে রয়েছে পাশাপাশি দুইটি সুড়ঙ্গ!

সবুজ পাহাড়ের অন্তর্বিহীন নিস্তব্ধতায় তিনাম ঝর্ণা যেন আঁচল বিছিয়ে রেখেছে পর্যটকদের অভ্যার্থনা জানাতে! পার্বত্য অঞ্চলের অন্যান্য নান্দনিক ঝর্ণার দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে তিনাম ঝর্ণার রূপ-বৈচিত্র্য মুগ্ধকর। এ ঝর্ণা দেখতে গেলে নৌপথে মাতামুহুরী নদীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়।

যাওয়ার উপায় ঢাকা থেকে আলীকদমে সরাসরি শ্যামলী ও হানিফ পরিবহনের বাস সার্ভিস চালু আছে। অথবা কক্সবাজারের চকরিয়া বাস স্টেশন থেকেও বাস কিংবা জীপ যোগে আলীকদম যাওয়া যায়। আলীকদম বাসস্টেশন থেকে রিক্সা কিংবা অটোতে করে মাতামুহুরী ব্রিজ পর্যন্ত যেতে হবে। ব্রিজের নীচে বাঁধা থাকে সারি সারি যন্ত্রচালিত নৌকা এবং স্পিড বোট। সেখান থেকে মাতামুহুরী নদীপথে পোয়ামুহুরী বাজার ঘাটে নামতে হবে।

কোথায় থাকবেন
আলীকদম সদরে শৈলকুঠি রিসোর্টে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ভোরে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে বিকেল উপজেলা সদরে ফিরে এসে রাতের বাসে করে ফেরা যায়।

খরচ
বর্ষায় ইঞ্জিন বোট ভাড়া জনপ্রতি সাড়ে ৩শ’ টাকা ও শুষ্ক মৌসুমে স্পিড বোট ভাড়া ৪/৫ শ’ টাকা। রিজার্ভ ইঞ্জিন বোট কিংবা স্পিড বোটের রিজার্ভ ভাড়া ৫ থেকে সাড়ে ছয় হাজার।

সতর্কতা
পথে জোঁক থাকতে পারে, তাই সতর্ক থাকবেন। লবণ সঙ্গে রাখলে ভালো হয়। জোঁক কামড়ালে লবণ ছিটিয়ে দিলে কাজ হয়। সিগারেটের তামাকও ব্যবহার করা যায়। ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তা অতি দুর্গম। যাঁরা পাহাড়ি পরিবেশে হাঁটতে পারেন না তারা সেখানে না গেলেই ভালো। শিশু, বয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের সেখানে না নেওয়ায় সঙ্গত। হাঁটতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে ফিরে আসা দুরহ। কাজেই পাহাড়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা না থাকলে সেখানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *