তুইনুম ঝর্ণাটির (Tuinum Jhorna) অবস্থান বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ৪ নং কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত তুইনুম ঝিরিতে। এলাকাটিতে ম্রো সম্প্রদায়ের বাস। তাদের ভাষায় ” তুইনুম অ”। ম্রো ভাষায় ” তুই ” অর্থ পানি, “নুম” অর্থ কালো আর “অ” অর্থ ঝিরি। তার মানে “তুইনুম অ” এর অর্থ দাঁড়ায় “কালো পানির ঝিরি”। এই ঝর্ণার উপর থেকে বাঁশ কেটে এর এক সাইড দিয়ে গড়িয়ে নিচে ফেলা হয় তাই লম্বা গড়িও বলে অনেকে। তবে “তুইনুম ঝর্ণা” নামেই বেশী পরিচিত।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি আলীকদম বাস যায়। এছাড়া ঢাকা থেকে কক্সবাজার গামী বাসে চেপে চকোরিয়া নামতে পারেন, ভাড়া নন এসি ৭৫০ টাকা। নেমে বাসে বা জিপে আলীকদম। বাসে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের মত ভাড়া ৬০ টাকা জনপ্রতি। আলীকদম বাস স্ট্যান্ড থেকে অটোতে আলীকদম ক্যান্টনমেন্ট এর পাশের মাতামুহুরী নদীর ট্রলার ঘাটে যেতে হবে। ঘাট থেকে লোকাল ট্রলার পোয়ামুহুরী বাজার পর্যন্ত যায়। সময় চার ঘন্টার মত লাগবে। লোকাল জন প্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা শুধু যাওয়া। পোয়ামুহুরী বাজার রবিবার। বাজারের আগের দিন শনিবার ও মঙ্গল বার পোয়ামুহুরি যাবার ট্রলার পাবেন। শুক্রবার পোয়ামুহুরী থেকে ফেরার ট্রলার পাওয়া যায়। বেশী লোকজন থাকলে অন্যান্য দিন ও অন্যন্য সময়ে পাওয়া যাবে। রিজার্ব আসা যাওয়া ৫০০০/৬০০০ টাকার মতো নিবে। নদীতে পানি কমে গেলে ভাড়া বেড়ে যায়। রিজার্ভ নিয়ে যাওয়াই ভালো কারন পোয়ামুহুরী বাজার পর্যন্ত লোকাল যায়। আপনাদের নদী ধরে আরো উপরের দিকে যেতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা অবশ্যই আলীকদম ক্যান্টেনম্যান্ট থেকে অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। সব সময় যে অনুমতি পাবেন তার নিশ্চয়তা নাই।
যদিও অনুমতি পান তাহলে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে হবে। তাই রিজার্ভ নেয়া ভালো এবং যত ভোরে রওনা দেয়া যায় ততই মঙ্গল। পথে দুইটি ক্যাম্প পড়বে নদীর ধারে যেখানে ট্রলার এন্ট্রি করাবে মাঝি এবং আরেকটি ক্যাম্প পোয়ামুহুরী বাজারের উপরে। তাই অনুমতি ছাড়া গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনার সন্মূখীন না হওয়াই ভালো। এছাড়া পোয়ামুহুরী বাজারের আগে দুইটি ও পোয়ামুহুরী ক্যাম্পের নিচে আরেকটি ঝর্ণা দেখতে পারবেন।
WhatsApp us