শীলবান্ধা ঝর্ণা (Shilabandha Jhorna), বান্দরবান এর রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলী ইউনিয়নে অবস্থিত। নাফাখুম ও রেমাক্রীর চেয়ে দূরত্বও কম। অল্প সময়ে সহজে যাওয়া যায় এ পর্যটন স্পটে। দূরত্ব কম ও যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিনিয়ত পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন শীলবান্ধা ঝর্ণা ও দেবতাখুম এর সৌন্দর্য্য দেখতে।
অবস্থানঃ রোয়াংছড়ি, কচ্ছপতলী, বান্দরবান।
বান্দরবান থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে রোয়াংছড়ি উপজেলা। রোয়াংছড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কচ্ছপতলী ইউনিয়ন। সেখান থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পায়ে হেটে গেলেই চোখে পড়বে শীলবান্ধা পাড়া। এই পাড়া থেকে ১০ মিনিটের হাটার পথ গেলে শীলবান্ধা ঝর্ণা। শীলবান্ধা ঝর্ণা থেকে বের হয়ে তারাছা খালের পাড় ধরে ১৫ মিনিট হেটে গেলেই চোখে পরবে দেবতাখুম এর প্রথম অংশের। সেখান থেকে স্থানীয় গাইডের তৈরি বাঁশের ভেলা বা নৌকা দিয়ে রওয়ানা দিতে হবে দেবতাকুম এর মূল জায়গাটাতে। খাড়া পাহাড়ের উচুঁ খাঁদ আর পাথরের গায়ে বাহাড়ি বুনো ফুল, ছোট ছোট ঝর্ণা ও পানির শব্দ দেবতা কুম দিয়ে খাল পাড় হওয়ার দৃশ্যগুলো মন কেড়ে নেবে সবার।
কিভাবে যাবেন
বান্দরবান সদর থেকে বাসে করে অথবা রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে যেতে হবে রোয়াংছড়ি। সকাল ৭ টা – বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রোয়াংছড়ির বাস আছে। প্রতিজন ৬০-৮০ টাকা। সময় লাগবে ১ ঘন্টা। সেখান থেকে সিএনজি অথবা চাঁদের গাড়িতে করে ৩০ মিনিট সময় লাগবে কচ্ছপতলী পৌঁছাতে। জনপ্রতি ভাড়া নিবে ৩০ টাকা। রিজার্ভ নিলে ৫০০ টাকা। অথবা চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে বান্দরবান থেকে সরাসরি কচছপতলি যেতে পারেন। মোটরসাইকেলেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বান্দরবান থেকে কচ্ছপতলী পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা।
চট্টগ্রাম থেকে যেতে চাইলে চট্টগ্রামের যে কোন জায়গা থেকে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল চলে আসুন। বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম টু বান্দারবানের বাসে উঠে বান্দরবান যেতে হবে। বাস ভাড়া ১৩০ নিবে, যেতে ২/২:৩০ ঘন্টা লাগবে। বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি যাওয়ার জন্য চান্দের গাড়ি নিতে পারেন। এক চান্দের গাড়িতে ১৪জন যাওয়া যায়। ভাড়া ৪০০০-৪৫০০ টাকা নিবে, দামাদামি করে কমিয়ে নিতে পারেন। মানুষ কম থাকলে CNG নিয়েও যেতে পারবেন। CNG তে ৪-৫জন যাওয়া যায়, আসা যাওয়া ভাড়া ২০০০ নিবে।
খাওয়া-দাওয়া
শীলবান্ধা পাড়ায় খাওয়া প্রতিবেলা – ২০০ টাকা (ভাত+মুরগী) ১০০ টাকা (ভাত+ডিম)
নিরাপত্তা
দূর্গম এলাকা হওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে রয়েছে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ভ্রমন করতে পারেন সেজন্য রয়েছে স্থানীয় গাইডের ব্যবস্থা। এছাড়া পর্যটকদের নাম এন্ট্রির মাধ্যমে রয়েছে সেনাবাহিনীর তদারকি। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও নেই কোন শঙ্কা।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখতে হবে
আর্মি ক্যাম্পে ন্যাশনাল আইডি কিংবা অন্য যেকোন আইডির ফটোকপি জমা দিতে হয়। সবকিছু দেখা শেষে বিকেল ৫:৩০ টার মধ্যে আপনাকে আবার কচ্চপতলী আর্মি ক্যাম্পে এসে রিপোর্ট করতে হবে। এই সময়ের এর মধ্যে উপস্থিত থাকতেই হবে, নাহলে তারা অনেক জবাবদিহিতা চাইবে। কচ্ছপতলী থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। কথাবার্তা এখানেই সেরে নিবেন। কচ্ছপতলীতে পাহাড়ি কলা, পানি এসব পাওয়া যাবে। প্রয়োজন মতো নিয়ে নিবেন।
WhatsApp us