ডুয়ার্স এর সামসিং আদতে ছোট একটি পাহাড়ি জায়গা যা প্রকৃতি প্রেমিকদের ভাল লেগে যাবেই এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়! শিলিগুড়ি থেকে ৮২ কিলো দূরের সামসিং (Samsing) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ৩০০০ ফিট উচুতে অবস্থিত। সামসিং এমনিতে ভারী শান্ত। শহরের গোলমাল, ধুলো-ধোঁয়া থেকে দূরে, নিশ্চিন্তে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আদর্শ। পাহাড়ি জায়গা। ফলে ছোটখাটো ট্রেক সেরে নিতে পারবেন। পথে পড়বে ছোট ছোট ঝরনা। পাহাড়ের গায়ে জড়িয়ে রয়েছে চা বাগান। চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার মতো দৃশ্য! জঙ্গলে দেখতে পাবেন নানা ধরনের পাখি আর প্রজাপতির মেলা। বার্ড ওয়াচিং যাঁদের হবি, সামসিং তাঁদের জন্য দারুণ ট্যুরিস্ট স্পট। তাঁদের জন্যই বলে রাখা যাক, গ্রে নাইট জার, গ্রেটার র্যাকেটেড টেল ড্রংগো কিংবা অ্যাশি বুলবুলের মতো পাখিরা এখানে হামেশাই উড়ে বেড়ায়।
আরও একটা রং সামসিংয়ে চোখে পড়বে। কমলালেবুর রং! সামসিংয়ের খাসমহল এলাকা বিশেষ করে বিখ্যাত কমলালেবু চাষের জন্য। এলাচের চাষও সামসিংয়ের অধিবাসীদের উপার্জনের অন্যতম প্রধান উপায়। খাসমহল পেরিয়ে যেতে পারেন মূর্তি নদীর ধারে। সূর্যাস্তের সময় গেলে পাহাড় আর সবুজের আবহে এই নদীর দৃশ্য সত্যিই থমকে দেয়। মূর্তি নদীর ধার পিকনিক স্পট হিসেবে বিখ্যাত। আশপাশের লোকজনও এখানে খানিক হইচই করে সময় কাটিয়ে যেতে আসেন। কাছেই রকি আইল্যান্ড। মূর্তি নদী দেখতে গেলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। সামসিং থেকেও ঘুরতে যাওয়ার অনেক জায়গা রয়েছে— যেমন সুনতালেখোলা নেচার ক্যাম্প কিংবা নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক। নানা ধরনের পশুপাখির বাস এই পার্কে।
কিভাবে যাবেন
শিলিগুড়ি হয়ে গাড়িতে যাওয়া যায়। শিলিগুড়ি মিত্তাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সামসিং যাওয়ার জন্য বাস ছাড়ে। তবে সারাদিনে মাত্র দুটি বাস যায়। তাছাড়া যেকোন বাসে করে চালসা চলে যান। সেখান থেকে শেয়ার জিপে বা গাড়ি রিজার্ভ করে চলে যান সামসিং। চালসা থেকে সামসিং এর দূরত্ব ১৮ কিমি।
কোথায় থাকবেন
সামসিং এ থাকার জন্য রয়েছে সামসিং ফরেস্ট রেস্ট হাউস (৯৪৩৪৩৭৬৩৮৭) ভাড়া ৯০০-১,৫০০ টাকা। যোগাযোগ করুন: www.wbfdc.com প্রাইভেট হোটেলও আছে। অনেক বেসরকারি লজও রয়েছে। তৃষ্ণা লজ (৯৮৩০২-৫২৮৪৩) ভাড়া ৮০০- ১,০০০ টাকা। টেম্পলা ইন (৯৬৭৪৯০০১০১) ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকা। যোগাযোগ করুন: টেম্পলা ইন (৯৬৭৪৯০০১০১/9674900101), তৃষ্ণা লজ (৯৮৩০২৫২৮৪৩/9830252843)
WhatsApp us