জুরাছড়ি

blank
রঙরাং
October 25, 2020
blank
দুমলং পর্বত
October 25, 2020
Show all

জুরাছড়ি

blank

রাঙামাটির সদর থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জুরাছড়ি। ‘জুর’ শব্দের অর্থ ঠাণ্ডা আর ‘ছড়ি’ শব্দের অর্থ ছড়া বা ঝরণা। জুরাছড়ি নামের ঝর্ণা থেকে এই উপজেলার নামকরণ হয়েছে। জুরাছড়ি উপজেলার পূর্বে ভারতের মিজোরাম, উত্তরে বরকল, দক্ষিণে বিলাইছড়ি এবং পশ্চিমে রাঙামাটি। এই এলাকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌপথ।

জুরাছড়ি (Jurachari) এর এক পাশে দূর পাহাড় থেকে নেমে আসা বৃক্ষরাজী। অন্য পাশে কাপ্তাই হ্রদের নীরব জলে ঝিরি ঝিরি বাতাসের মিতালী মানুষের ঘুমন্ত সৌন্দর্যবোধকে এক ঝাঁকিতে জাগিয়ে তোলে। কোথায় যেন হারিয়ে যেতে চায় মন। জুরাছড়ি উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে আর্মি ক্যাম্প। তাছাড়া জুরাছড়ি থানার পুলিশ পযর্টকদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত। যে কোনো প্রয়োজনে ছুটে আসেন তারা।

কি কি দেখবেনঃ
বরকল বিজিবি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে ভূষণছড়া ও ছোট হরিণা যেতে পারেন এবং ফেরার দিন মিটিঙ্গাছড়ি, সুবলং ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রিজ ও ডিসি হিল পার্কে ঘুরতে পারেন।

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা টু রাঙ্গামাটি অনেক গুলো পরিবহন আছে যেমন: সোহাগ, সৌদিয়া, শ্যামলী, হানিফ, ঈগল ইত্যাদি। আপনি কল্যানপুর, কলাবাগান বা সায়দাবাদ থেকে রওনা হতে পারেন। ভাড়া ননএসি ৬০০-৬৫০ টাকা, এসি ৮০০-১০০০ টাকা। রাতে (১০-১১ টা) রওনা হলে আপনি খুব ভোরে (৬-৭ টা) পৌছে যাবেন রাঙ্গামাটি।

রাঙ্গামাটি শহরের সেনানিবাস এলাকা থেকে রিজার্ভ বাজার পর্যন্ত অটোরিকশা ভাড়া পড়বে ১০০ টাকা। ট্রলার তিন দিনের জন্য নেবে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। লঞ্চ যোগেও যেতে পারেন রিজার্ভ বাজার থেকে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে একটি লঞ্চ এবং দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আরেকটি লঞ্চ জুরাছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রাত ৭০ থেকে ২০০ টাকা। সারাদিনে মাত্র দুটো লঞ্চ জুরাছড়ি আসা-যাওয়া করে। সময় লাগে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। পথে শুভলং, নতুন বাজারসহ তিন চারটি ঘাটে বোট থামে।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকেও যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে খুব সকালে দীঘিনালা থেকে মোটর বাইকে লংগদু রওনা দিতে হবে। দীঘিনালা থেকে লংগদু যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টার মত, দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। লংগদু থেকে ট্রলারে করে শুভলং বাজার। দুপুরে ওখানে খাওয়া দাওয়া শেষে জুরাছড়ি এর লঞ্চে উঠে সন্ধ্যার আগে জুরাছড়ি ঘাটে পৌঁছে যাবেন।

কোথায় থাকবেনঃ
জুরাছড়িতে পর্যটক থাকার কোনও হোটেল এমনকি কাঠের বোর্ডিং পযর্ন্ত নেই। স্থানীয় কারও সহযোগিতা নিয়ে থাকার সমস্যার সমাধান করতে হবে।

কোথায় খাবেনঃ
জুরাছড়ি বাজারে খাবারের হোটেল পাওয়া যাবে। উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে মোহম্মদ আলী হোটেলে সুস্বাদু খাবার মেলে। দামও কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *