blank
আরণ্যক রিসোর্টটি
October 25, 2020
blank
জুরাছড়ি
October 25, 2020
Show all

রঙরাং

blank

রঙরাং পাহাড়ের চূড়ায় না উঠলে রাঙামাটির সৌন্দর্য অপূর্ণ থেকে যাবে। পাহাড়ের কোলঘেঁষে বয়ে গেছে মোহনীয় কর্ণফুলী। কর্ণফুলীর পাশে বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলায় এর অবস্থান। চারপাশের এমন সব সৌন্দর্য চোখের সামনে চলে আসবে যদি রঙরাং চূড়ায় উঠতে পারেন! প্রথমে মনে হতে পারে খুব সহজেই ওঠা যাবে এ পাহাড়চূড়ায়। কিন্তু এর ওঠার পথ বেশ খাড়া। বিশ মিনিটের মতো ট্রেকিং এর দরকার পড়বে রঙরাং পাহাড়চূড়ায় উঠতে হলে।

রঙরাং পাহাড়ের পাদদেশে সেনাক্যাম্প, আর চূড়ায় পুলিশের। পাহাড়ের ওপরে আছে টিঅ্যান্ডটির টাওয়ার। সেটির নিরাপত্তা বিধানের জন্য এখানে পুলিশ সদস্যদের থাকতে হয়। তাই অনেকে এখন এটিকে টিঅ্যান্ডটি পাহাড় বলে থাকেন। রাঙামাটিতে আসা পর্যটকেরা রঙরাং পাহাড়ের নাম হয়তো কমই শুনে থাকেন। নৌকার মাঝিরা সুবলং ঝরনা ঘুরিয়েই শেষ করেন তাঁদের পালা। এমনকি অনেক পর্যটক সুবলং বাজারটাও ঘুরে যেতে পারেন না নিজেদের কাছে তথ্য না থাকার কারণে। অথচ এটি সুবলং ঝরনার খুব কাছাকাছি একটি পাহাড়। আর সুবলং সেনাক্যাম্পের পাশ দিয়েই উঠতে হয় রঙরাং (Rongrang) পাহাড়ে।

কখন যাবেন
যেকোনো সময় রাঙামাটি ভ্রমণ অনন্য। তবে প্রকৃত সৌন্দর্য দেখতে চাইলে বর্ষাকাল এবং এর পরবর্তী সময়কে বেছে নিন।

রংরাং যাওয়ার উপায়
ঢাকার কলাবাগান, কমলাপুর ও ফকিরাপুল থেকে রাঙামাটিগামী (Rangamati) যেকোনো বাসে চেপে যেতে হবে রাঙামাটি শহর। এরপর নৌকা রিজার্ভ করুন। নৌকা ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। ভাড়া চুকানোর সময় প্যাকেজে শুভলং ঝর্ণার সঙ্গে শুভলং বাজার ও রঙরাং বা টিঅ্যান্ডটি পাহাড়ও অন্তর্ভুক্ত করুন।

কোথায় থাকবেন
রাঙ্গামাটিতে পুরাতন বাস স্ট্যন্ড ও রিজার্ভ বাজার এলাকায় বেশকিছু হোটেল আছে। তবে হোটেলে ওঠার আগে যদি একটু বিবেচনা করে নিবেন, যেমন হোটেলটি কাপ্তাই লেকের পাশে কিনা? তাহলে আপনি হোটেল থেকে লেকের মনোরম পরিবেশ ও বাতাস উপভোগ করতে পারবেন। থাকার জন্য রাঙ্গামাটিতে সরকারী বেসরকারী অনেকগুলো হোটেল ও গেষ্ট হাউজ রয়েছে। তাছাড়া আরো কিছু বোডিং পাওয়া যায় থাকার জন্য। বোডিংগুলোতে খরচ কিছুটা কম তবে থাকার জন্য খুব একটা সুবিধার নয়। নিন্মে কয়েকটি হোটেল এর বর্ননা দেয়া হলোঃ

(১) পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স
১২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১৭২৫ টাকা ৭টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৮০৫ টাকা যোগযোগ/ফোনঃ ০৩৫১-৬৩১২৬ (অফিস)

(২) হোটেল সুফিয়া
২৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ৯০০ টাকা (একক), ১২৫০ (দ্বৈত) ৩৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৬০০ টাকা যোগাযোগ/ফোনঃ ০৩৫১-৬২১৪৫, ৬১১৭৪, ০১৫৫৩৪০৯১৪৯

(৩) হোটেল গ্রীন ক্যাসেল
৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১১৫০ হতে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত ১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৭৫০ হতে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত যোগাযোগ/ফোনঃ ০৩৫১-৭১২১৪, ৬১২০০, ০১৭২৬-৫১১৫৩২, ০১৮১৫-৪৫৯১৪৬ এছাড়াও রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হোটেল রয়েছে। যেমনঃ হোটেল জজ, হোটেল আল মোবা, হোটেল মাউন্টেন ভিউ, হোটেল ডিগনিটি, হোটেল সাফিয়া, হোটেল ড্রিমল্যান্ড ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *