মানালি থেকে কুলু পার হয়ে বিয়াসকে সঙ্গী করে চলে যেতে পারেন হিন্দু ও শিখদের এক ধর্মক্ষেত্রে মণিকরণ (Manikaran) এ। এখানের পার্বতী নদীর উষ্ণ প্রস্রবণে অবগাহন করে পবিত্র হন ভক্তকুল। কুলু থেকে কাসল হয়ে মণিকরণ যাওয়া যায়। এ পথের যে দিকে তাকানো যায় সেদিকেই কেবল ছবি। বিপাশা এখানে বিয়াস নাম নিয়েছে। তার রূপমাধুর্যের বর্ণনা মুখের কথা নয়। তা কেবলই ছবি আঁকা। উত্তাল বিয়াসের বুকে অ্যাডভেঞ্চার-প্রেমীরা দাপিয়ে খড়কুটোর মতো ভেসে বেড়াচ্ছেন। রবারের বিশাল নৌকোয় র্যাফটিংও দেখতে পাবেন। কুলু থেকে কাসল আসার রাস্তা এতটাই সুন্দর। মাঝে মাঝে গাড়ি থামাতে হবে। পথের পাশে পাশে নদী চলেছে এঁকেবেঁকে। বিয়াস আর পার্বতীর মিলনস্থল পেরিয়ে চলে আসা যায় হিন্দু ও শিখদের ধর্মস্থল মণিকরণ।
দুই পাহাড়ের মাঝ বরাবর বয়ে চলেছে পার্বতী নদী। পার্কিং জোনে গাড়ি রেখে, বিশাল দোলনা সেতু পেরিয়ে চলে যান ১৭৩৭ মিটার উচ্চতার মণিকরণে। ১৫৭৪ সালে এখানে গুরুনানক আসেন। মাথায় পাট্টা দিয়ে এখানে প্রবেশ করতে হয়। নামগান আর লঙ্গ চলতে থাকে। পবিত্র প্রস্রবনে স্নান সেরে নিতে পারেন। পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক স্নানের বাবস্থা রয়েছে। এর আশপাশে রয়েছে আরও নানা মন্দির। এখান থেকে নানান ট্রেক রুট রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
কুলু থেকে মণিকরণের দূরত্ব ৪৫ কিমি। মানালি বা কুলু থেকে গাড়িতে যেতে পারেন। দিল্লি থেকে যেতে হলে মানালির বাসে চরে ভুন্টার নামতে হবে। এই রাস্তায় অনেক ভালো বাস আছে যা পৌঁছে দেবে ১০ ঘন্টার মধ্যে। সেখান থেকে লোকাল বাস বা শেয়ার গাড়ি বা গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে মণিকরণ।
কোথায় থাকবেন
মণিকরণ এ থাকার বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। রয়েছে গুরুদুয়ারা ধর্মশালা (০১৯০২-২৭৩৮২১)। রয়েছে হোটেল শিবালিক (০১৯০২-২৭৩১৫৭) ভাড়া ২,০০০-৩,০০০ টাকা। পার্বতী ভ্যালি ( ০১৯০২- ২৭৩১৫৭) ভাড়া ১,৮০০- ২,০০০ টাকা।
WhatsApp us