দুবাই ভ্রমণ কেন করবেন
November 29, 2020
blank
কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাবে বিলাসবহুল ‘এমভি বে ওয়ান’
December 22, 2020
Show all

Keokaradong

#কেওক্রাডং যারা প্রথম যাবেন….এর চূড়া যেমন পর্যটকের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরন করে,সে সঙ্গে মুগ্ধও করে। সাদা মেঘের ঝাপটায় দাড়ানো দায়।ভোর সকালে মেঘের সাথে সূর্যের লুকচুরি আহা কি প্রশান্তি….কথা না বাড়িয়ে চলুন বেড়িয়ে পড়ি,যা কথা বলার তা পথে পথেই হবে। কি বলেন?ও হ্যা আমরা TOB Helpline থেকে পোস্ট করে ৪ ভাগে মিলিত হয়ে ৯ জনের একটা গ্রুপ হয়েছি।

#প্রথম ট্রানসপোর্টগাড়ি: ইউনিক বা শ্যামলী(আমরা)ঢাকা টু বান্দরবান গাড়ি: বাস ভাড়া: ৬২০ টাকাআমাদের যেতে সময় লেগেছে: ৯ ঘন্টা বান্দরবনে নাস্তা করে নিতে পারেন বা রুমাবাজারেও করতে পারেন।

#দ্বিতীয় ট্রান্সপোর্টবান্দরবান টু রুমাবাজার গাড়ি: বাস, চান্দের গাড়ি(আমরা)বাসের ভাড়া: ১২০ টাকা জনপ্রতি চান্দের গাড়ি ভাড়া: ৩০০০ টাকা (১৪জন)যাওয়া যায়।বাস/চান্দের গাড়িতে যেতে সময় লাগে: ৩ ঘন্টা

#তৃতীয় ট্রান্সপোর্টরুমাবাজার টু বগালেক গাড়ি: চান্দের গাড়ি চান্দের গাড়ির ভাড়া: ৩০০০ টাকা (১৪জন) চান্দের গাড়িতে যেতে সময় লাগে: ১.৩০ মিনিটঅনেক তো গাড়ি করে আসলেন এবার চাইলে আপনি বকালেকে এক রাত থাকতে পারেন আবার চাইলে কেওক্রাডংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা ও দিতে পারেন। যাই বলেন আমি পারবো না।যেকোনো দেখে একটা কটেজ নিয়ে রাত্রি যাপন করে সকাল সকাল বেরিয়ে পরবো কেওক্রাডংয়ের দিকে। আবারো হেটে যাবার পথ বলে কথা।জন প্রতি ২০০ টাকা করে কটেজ পাওয়া যায়,প্রতি রুমে ১২ জন করে। রাতের খাবারে থাকবে মুরগি ১৮০ আর ডিম ১৫০ টাকা জন প্রতি।রাত কেটে সকাল হলো এবার তো ওঠেন আমাদের পদযাত্রা শুরু করতে হবে….পুর রাস্তা কিন্তু পায়ে হেটেঁসময় লাগবে: ৩/৪ ঘন্টা গাইড নিতে হবে: গাইড নিতে হবে রুমাবাজার থেকে। এক্ষেত্রে সাজেশন হল আপনি যাবার আগে অবশ্যই কারো সাথে পরামর্শ করে গাইড নিন। নতুবা দেখবেন আপনি একাই কেওক্রাডং গাইডের কোন খবর নাই। অনুমতি নিতে হবে: কেওক্রাডং যেতে হলে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে ৫ জায়গা থেকে ১. রুমাবাজার গিয়েই সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ফরম পূরন করে অনুমতি নিতে হবে ২. রুমাজার পুলিশ ফাড়ি থেকে অনুমতি নিতে হবে ৩. বগালেকে যাবার সময় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে৪. কেওক্রাডং যাবার আগে বগালেকের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আবারো অনুমতি নিতে হবে ৫. কেওক্রাডং গিয়ে আবারো ওখানকার সেনাবাহিনীর কাছে থেকে অনুমতি নিতে হবে। চিন্তা নাই সবগুলো কাজ আপনার গাইড করবে।আপনি শুধু নিজের নাম, ফোন নাম্বার আর সাক্ষর দিবেন।- ফেরত আসার সময় আবার একই স্থানে গিয়ে সাক্ষর দিয়ে আসতে হবে। কেওক্রাডংয়ে কটেজ ভাড়া:৩০০ জন প্রতিমুরগি ২৫০ ডিম ১৮০ব্যাকপ্যাক:অবশ্যই ২টা ব্যাগ নিবেন। আপনার ব্যাকপ্যাকের ভিতর ছোট আরেকটা ব্যাগ রাখবেন। কেন ২টা ব্যাগ নিবেন? বগালেক যাবার পর আপনি ভারী ব্যাগটা গাইডের দায়িত্বে রেখে ছোট ব্যাগে প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানি, মোবাইল, ক্যামেরা, চার্জার ইত্যাদি নিতে পারবেন। তখন ব্যাগ হালকা থাকায় আরামে হেটে যেতে পারবেন। আর অবশ্যই সাথে কিছু পলিথিন ব্যাগও রাখবেন। ভেজা কাপড় নিয়ে আসতে সুবিধা হবে। আসার সময় যেহেতু বগালেক হয়েই আসবেন সুতরাং ভারি ব্যাগটা ওখান থেকে নিয়ে আসতে পারবেন। মনে রাখবেন কেওক্রাডং এ পায়ে হেটে যেতে হবে বগালেক হল আপনার বেস ক্যাম্প। পোষাক কি পরবেন: ছেলেরা স্পোর্টস টি শার্ট নিবেন ১টি স্পোটর্স পেন্ট ২। এইগুলি নিচ ছিড়ে যাবার আশংকা থাকে। জুতা হিসাবে ট্র্যাভেলিং স্যান্ডেল বা ক্যাডস নিতে পারেন। হাটার সময় আংলেট, নিক্যাপ পড়ে নিতে পারেন। বাশেঁর লাটি: ১০ টাকা দিয়ে একটি বাশেঁর লাটি কিনে নিন। লাটিটি বগালেকে কটেজে থাকাকালীন সময়ে আপনার সাথেই রাখুন। যদি হারিয়ে ফেলেন তবে চিন্তা নাই আপনাকে আবারো ১০ টাকা খরচ করতে হবে। মোটকথা লাটি কমলাবাজার থেকে কিনবেন যেখানেই যান সাথে রাখবেন আবার ফেরত আসার সময় কমলাবাজার ফেলে যাবেন বা অন্য কোন পযর্টককে ফ্রি দিয়ে দিবেন। কি খাবেন:ডাবের পানি পান করবেন যেখানেই পান। এটা প্রচুর শক্তি যোগাবে শরীরে। হাটা শুরু করার আগে কলা খাবেন। শক্তি পাবেন। কেওক্রাডং যাবার সময় স্যালাইন পানি সাথে রাখবেন জনপ্রতি মিনিমাম ১ লিটার। কি খাবেননা: সিদ্ধ ডিম না খাওয়াই উত্তম। অনেক সময় ২/৩দিন আগের সিদ্ধ করা ডিম দিতে পারে।ক্যালসিয়াম না খাওয়াই ভাল। অনেকের পেট এটা সহ্য করতে পারেনা।হাটার সময়: মুখে চকলেট রাখবেন। এটা গলা শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। পাহাড় থেকে নামার সময় একজন আরেকজনের চেয়ে যথেস্ট দূরত্ব বজায় রাখবেন। সাথে ১ লিটার বা ৫০০ এম এল পানি রাখবেন। গোসল: বগালেকে গোসল করতে পারবেন ফ্রি। কেওক্রাডং এ গোসল করতে হলে ৫০ টাকা গুনতে হবে। কেওক্রাডং যেতে সাথে যা যা রাখবেন: পেষ্ট-ব্রাশ, টিস্যু। মোবাইল, ক্যামেরা নিতে পারেন।সাথে চার্জার নিবেন। কেওক্রাডং এ চার্জ দেবার ব্যবস্থা আছে। সাবধানতা: বগালেকে পানিতে নেমে গোসল না করাই উত্তম। কেওক্রাডং এ সন্ধা ৬টার পর হেলিপ্যাড থেকে নেমে যেতে হবে। মাদকদ্রব্য সেবন করা নিষেদ। অবশ্যই সাথে রাখবেন:অডোমোস ক্রিম।বর্ষায় গেলে ছাতা/রেইনকোট সাথে রাখবেন মাষ্ট।আমাদের জন প্রতি ৪৭৪০ টাকা খরচ হইছে পার্সনাল খরচ আলাদা….

#নোট: রাস্তায় কেউ কখনো ভুলেও আর্বজনা ফেলবেন না।সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবেশ রক্ষা করতে যথেস্ট সচেতন। এমন কোন কাজ না করি যার জন্য আমাদের মত কোন নাগরিক সভ্যতার মানুষই গালি দেয়। তাহলে ভাবুন যারা স্থানীয় তারা কতটা কষ্ট পায়।এই পাহাড় আমার আপনার তাই আমারা পরিচ্ছন্ন রাখবো….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *