Nepal Tour

নেপাল ভ্রমণ কিভাবে করবেন ?

ট্রাঞ্জিট ভিসা নিয়ে বাই রোডে ভারতের ভিতর দিয়ে কিংবা প্লেনে আপনি সহজেই নেপাল যেতে পারেন। কিন্তু অনেকেই নেপাল সরাসরি প্লেনে যেতে চান না কারন নেপালের Tribhuvan International Airport পৃথিবীর প্রথম ১০ টি বিপদজনক এয়ারপোর্টের মধ্যে অন্যতম। দুই পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে এই এয়ারপোর্টের রানওয়ে হবার কারন অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাই অনেকেই নেপালে যাওয়ার জন্য ট্রাঞ্জিট ভিসা নিয়ে বাই রোডে ভারতের ভিতর দিয়ে যেতে পছন্দ করেন। এতে খরচ কম, অনেকটা সেইফ ফিল করেন অনেকেই। প্লেনে গেলে আপনার যাওয়া আসার টিকিট প্রায় ১৭০০০ টাকা লাগবে। ঢাকা থেকে এয়ারে করে অন এরাইভাল ভিসা নিয়ে সহজে নেপালে ভ্রমণ করতে পারবেন যা সহজে যে কেউ পারে যেহেতু ভিসার জন্য নেপালের ভিসা এম্বাসিতে দৌড়াদৌড়ি করা লাগেনা। ভ্রমনের তারিখ ঠিক করে টিকিট কাটবেন আপ-ডাউনের। Booking.com থেকে হোটেল বুকিং দিবেন। এরপর প্লেনে উঠে সোজা Tribhuvan International Airport নেমে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট, রিটার্ন টিকিটের কপি, হোটেল বুকিং দেখাবেন। অন-এরাইভাল ভিসা পেয়ে যাবেন। এরপর এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে টেক্সি নিয়ে সোজা কাঠমুন্ডু।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত অবস্থিত নেপালে এমনকি কাঞ্চনজঙ্ঘাও অবস্থিত নেপালে। নেপাল মূলত প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর যা লিখে তেমন বোঝানো সম্ভব নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর কয়েক লাখ ট্যুরিস্ট নেপাল ঘুরতে যায় তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর পরিমাণে ঘুরতে যায় যা বৃহৎ একটা অংশ। তবে নেপালের আয়ের প্রধান অংশ ট্যুরিজম খাত থেকে আসে। অনেকে ভারতের ভিতর দিয়ে নেপালে যেতে চান কিন্তু কিভাবে যাবেন আর কিভাবে ট্রাঞ্জিট ভিসা করবেন সেটা হয়তো অনেকের কাছে অজানা এবং কঠিন মনে হওয়াতে সে ইচ্ছা আর থাকে না। কিন্তু কঠিনের কিছু নেই। আপনি সহজে যেতে পারবেন যদি কিছু নিয়ম মেনে আবেদন করেন নতুবা সম্ভব নয়। যাইহোক আমাদের মূল টার্গেট হচ্ছে সড়কপথে নেপাল ভ্রমণ করা। তো চলুন শুরু করা যাক।

আগে ভারতের ভিতর দিয়ে কাকরভিটা বর্ডার পার হয়ে সহজে নেপালে যাওয়া আসা করা যেত অর্থাৎ সহজে ট্রাঞ্জিট ভিসা দেওয়া হতো এবং মাঝখানে এই সিস্টেম কয়েকমাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অর্থাৎ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এখন আবার চালু হয়েছে তবে একটু কঠিন যদিওবা নিয়ম জানা থাকলে তাদের জন্য খুবই সহজ ব্যাপার। অনেকে মনে করে যে, ভারত সরকার নেপালের ট্রাঞ্জিট ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু এটা মোটেও সত্য নয়। এখন চালু আছে আর কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অতিক্রম করে গেলেই যেতে পারবেন, কোন সমস্যা নেই।

প্রথমে নেপালে যদি কেউ সড়কপথে ভ্রমণ করতে চান সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমে তার পাসপোর্ট এ ভারতের ভিসা থাকতে হবে অর্থাৎ আগে ভারতে গিয়েছেন সেটার প্রমাণ থাকতে হবে তারপর নেপালের ভিসা থাকতে হবে বা নিতে হবে। তাহলে ধরে নিলাম আপনি ভারতের ভিসা নিয়ে ভারতে আগে একবার হলেও ঘুরে এসেছেন। তাহলে সহজে সড়কপথে নেপাল বা ভুটানের ভিসা পাওয়া একদম সহজ।
এরপর আপনাকে নেপালের ভিসা এম্বাসিতে দরকারি কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে। নেপালের ভিসা এম্বাসি ৩০ দিন বা ৬০ দিনের ভিসা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রথমবার নেপালের ভিসা এম্বাসি কোন টাকা নেয়না। কিন্তু ২য় বার নেপালে ট্রাঞ্জিট ভিসা নিয়ে ঘুরতে গেলে ২২০০ টাকা ভিসা ফি বাবদ দিতে হয়। ঢাকার গুলশানাস্থ আমেরিকা ভিসা এম্বাসির পাশে ভ্যাটিকান সিটি ভিসা এমম্বাসির একদম পাশেই নেপালের ভিসা এম্বাসি অবস্থিত।


যে সব পেপারস রেডি করে নিবেন তা হলো আপনার ন্যাশনাল আইডি/জন্ম নিবন্ধন এর কপি, ২ কপি ছবি, নাগরিক সনদপত্রের কপি, ঢাকা টু বুড়িমারি বাস রিটার্ন টিকিট কপি, নেপালের হোটেল বুকিং কনফার্মেশন কপি, পাসপোর্ট মেইন পেজ কপি এবং মেইন পাসপোর্ট। উল্লেখ্য এখানে ঢাকা টু বুড়িমারি রিটার্ন টিকিট কাটা বাধ্যতামূলক এবং এই কপি দিতেই হবে নতুবা নেপালের ভিসা পাবেন না। সেই সাথে নেপালের হোটেল বুকিং কনফার্মেশন কপিও দিতে হবে।
গুগলে সার্চ দিয়ে নেপালের যে কোন একটা হোটেল বুকিং দিতে পারেন অথবা Booking.com থেকেও হোটেল বুকিং দিলে আপনার ইমেইলে বুকিং কনফার্মেশন কপি পেয়ে যাবেন। অগ্রীম টাকা না দিলেও হবে তবে হোটেলে গিয়ে দিতে হবে বা দিবেন যদি ওই হোটেলে উঠেন।
তো, নেপালের ভিসা এম্বাসিতে পাসপোর্ট এর সাথে উল্লেখিত সমস্ত পেপারস সঠিক ভাবে নিয়ে যাবেন আর সেই সাথে নেপালের ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করে প্রিন্ট করে নিবেন যাবতীয় তথ্য দিয়ে অর্থাৎ ফর্ম এ যা যা তথ্য চাওয়া হয়েছে সেই সব তথ্য দিয়ে পূরণ করবেন। এটি নেপালের ভিসা এম্বাসির ওয়েবসাইট আর এখানে প্রবেশ করে ফর্ম ডাউনলোড করে ফিলাপ করবেন http://www.nepembassy-dhaka.org/visa.html
ভিসা ফর্ম ফিলাপ করে প্রিন্ট করে উপরে উল্লেখিত সমস্ত পেপারস মেইন পাসপোর্ট এর সাথে জমা দিবেন নেপালের ভিসা এম্বাসিতে। আপনার সব কিছু ঠিক থাকলে ১/২ দিনের ভিসা পেয়ে যাবেন। প্রথম অবস্থায় সম্ভবত ৩০ দিনের ভিসা পাবেন নেপালে যাওয়ার জন্য। আর এই এপ্লাই বা ভিসা এম্বাসিতে পেপারস জমা দিবেন যখন মনোস্থির করেছেন যে, নেপালে ঘুরতে যাবেন সড়কপথে।

নেপালের ৩০ দিনের ভিসা তো পেয়ে গেলেন, এবার ভারতের ভিসা এম্বাসির ওয়েবসাইটে গিয়ে https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa ভারতের ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করুণ। পোর্ট অফ এন্ট্রি আর পোর্ট অফ এক্সিট দুটোই হবে Chengrabanda/Raniganj Port
ট্রানজিট ভিসার এপ্লিকেশন পূরণ করার সময় পিতামাতার “Previous Nationality” ঘরটা অবশ্যই পূরণ করতে হবে, যদিও এটা তারকা চিহ্নিত বক্স না। ভারত সরকার নেপাল বা ভুটানের জন্য ১৫ দিনের ট্রানজিট ভিসা দেয়, সুতরাং ১৫ দিন অথবা ৩০ দিনের জন্য ভিসার আবেদন করুন।
“Purpose of visit” অপশনে “Tourism” সিলেক্ট করুন। “No. of Entry” তে Double, “After India” অপশনে Nepal, “Before India” অপশনে Nepal, এবং দুবারই Have Visa/Permit এ টিক চিহ্ন দিন। ভারতের শিলিগুড়ির কোনো হোটেলের ঠিকানা নেটে সার্চ দিয়ে “Address of Place of Stay” তে বসিয়ে দিন। “Expected Date of Journey” তে যেদিন বাংলাদেশ থেকে রওনা দিবেন তার পরের দিনের তারিখ বসিয়ে দিবেন। যেমন বাংলাদেশ থেকে যদি ২১ তারিখ রাতের বাস হয় বুড়িমারি পর্যন্ত তবে জার্নি ডেইট হবে ২২ তারিখ কারণ আপনি কিন্তু ভারতে প্রবেশ করে তবেই আপনার ভ্রমণ শুরু হবে তাই ২২ তারিখ ই দিতে হবে অর্থাৎ এটা বোঝানোর জন্য দেওয়া হলো।
আর মনে রাখতে হবে, বাসের টিকেট আর "Expected Date Of Journey" (যাবার দিন/তারিখ) এক হতে হবে/ মানে একই দিনে হতে হবে। যদি ২১ তারিখ যেতে চান তা হলে বাসের টিকেট কাটবেন ২১ তারিখ রাতের এবং হোটেল বুকিং দিতে হবে ২২ তারিখের।
আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে ছবি upload করে প্রিন্ট আউট করে নিন। ভারতীয় ট্রানজিট ভিসায় কোনো এপয়েন্টমেন্ট নেয়া লাগে না। তাই ফর্ম ফিলাপ করে প্রিন্ট করে নিলেই হবে। তবে এক্ষেত্রে খুব জরুরী দুটো কাগজ লাগে সেটা হলো নেপালের হোটেল বুকিংয়ের কপি আর বুড়িমারি পর্যন্ত বাসের রিটার্ন টিকেটের কপি। নেপালের হোটেল বুকিং করা যাবে Booking.com থেকে। এই ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ আকারে বুকিং এর কপি ডাউনলোড করা যাবে।
এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করা হয়ে গেলে প্রিন্ট আউট করে তার সাথে হোটেল বুকিংয়ের কপি, মেইন পাসপোর্ট, পাসপোর্টরে ফটোকপি, বাসের ২টি (যাওয়া+আসা) টিকেটের ফটোকপি, আইডি কার্ডের ফটোকপি (ছাত্রদের জন্য), জন্মনিবন্ধন/ জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি, ব্যাংক স্টেইটমেন্ট (১৫০ ডলার সমমূল্যের ব্যালেন্স থাকা জরুরী) আর ২”x২” সাইজের এক কপি সদ্য তোলা ছবি সংযুক্ত করে চলে যান ভারতীয় ভিসা সেন্টার যমুনা ফিউচার পাকে।
আবেদনপত্র জমা নিয়ে পাসপোর্ট উত্তোলনের সময়সূচী দিয়ে একটি ডেলিভারি স্লিপ দিবে। ওটা নিয়ে চলে আসুন। ডেলিভারি স্লিপের তারিখ অনুযায়ী ট্রানজিট ভিসার পাসপোর্ট খুবই কম দিতে দেখা গেছে। সাধারণত যাত্রার একদিন আগে বা যাত্রার দিন গুলশান-১ থেকে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। তাই একমাত্র মোবাইলে মেসেজ আসলে তবেই পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে যাওয়া উচিত। আর যদি যাত্রার আগের দিনও মেসেজ না আসে তবে সরাসরি আইভ্যাকে গিয়ে দুইতলার “২০৫” নাম্বার রুমে তাদের ডিরেক্টরের সাথে কথা বলুন। একটু দেরী হলেও সেদিনই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
নেপালের জন্য ভারতীয় ট্রানজিট পাওয়ার মূল শর্ত হচ্ছে আগে থেকে নেপালের ভিসা থাকতে হবে। এটা থাকলে আর কাগজপত্রে কোনো ভুল না থাকলে কোনো চিন্তা ছাড়াই পেয়ে যাবেন সড়কপথে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার ট্রানজিট ভিসা।

এরপর যথারীতি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন যেহেতু ট্রাঞ্জিট ভিসাতে মেয়াদ ১৫ দিন অথবা ৩০ দিন দিয়ে থাকে। আপনি চেংড়াবান্দা বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলেন তারপর আপনি নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন স্টেশনে চলে আসুন।

NJP station এর একটু সামনেই কিছু ব্লু কালারের বাস দেখতে পাবেন যা শিলিগুড়ি পর্যন্ত যেয়ে থাকে যা সময় অনেক বেশি লাগে আর প্রচুর থামে বিভিন্ন যায়গাতে। কিন্তু আপনি ওই Bus এ না গিয়ে কার Parking এর একটু সামনে গিয়ে সরাসরি বাস পাবেন যা PanitankI পর্যন্ত গিয়ে থাকে। NJP স্টেশন থেকে পানিট্যাংকি পর্যন্ত মাত্র ৩৫ কি.মি. পথ এবং যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা। আর ভাড়া নিবে মাত্র ২০/২৫ রুপি প্রতিজন।
মূলত নেপালে সড়কপথ দিয়ে যেতে চাইলে ভারতের ভিতরে যে বর্ডার আছে সেই বর্ডার এর নাম হচ্ছে পানি Panitanki border (পানিট্যাংকি বর্ডার)। মূলত এই বর্ডার টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় যেমন আমাদের দেশে বেনাপোল বর্ডার খুব জনপ্রিয়।
Kakarbhita border (কাকরভিটা বর্ডার) যা নেপালের বর্ডার এর নাম যেমন বেনাপোল দিয়ে প্রবেশ করার পর ওই পারের নাম হচ্ছে পেট্রোপোল বর্ডার। যাইহোক পানিট্যাংকি বর্ডার পার হয়ে ওই পারে গেলেই কাকরভিটা বর্ডার শুরু যা নেপাল এর রাস্তা শুরু।
সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকে অর্থাৎ আপনাকে এই সময়ের মধ্যে বর্ডার পার হয়ে ওই পারে যেতে হবে নতুবা এক রাত শিলিগুড়ি হোটেলে থাকতে হবে পরের দিন যাওয়ার জন্য। আপনি বাস থেকে বা সরাসরি ট্যাক্সি নিয়েও বর্ডার এ যেতে পারেন। বাস থেকে নেমে একটু হেটে গিয়ে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন অফিস বিল্ডিং আছে যা দোতলা। ওখানে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট দেখাবেন অফিসারকে তারপর অফিসার আপনার পাসপোর্ট এ স্টাম্প বা সিল মেরে দিবে এন্ট্রি করার জন্য। ব্যাস, আপনার কাজ শেষ এবং আপনি এখন নেপালের ভিতর প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত। আপনার ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন এর কাজ শেষ হওয়ার পর আপনি গেট দিয়ে নেপালের বর্ডার এ প্রবেশ করবেন তারপর চাইলে কিছু দূর হেটে যেতে পারেন অথবা প্রচুর রিকসা পাবেন। আপনি চাইলে রিকসা ভাড়া করে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন। কারণ একটা ব্রীজ পার হতে হবে। ভারত ও নেপালের মধ্যে কোন ল্যান্ড নেই শুধু ব্রীজ ই বর্ডার কে দুভাগ করা হয়েছে অর্থাৎ ব্রীজ পার হয়ে গেলেই কাকরভিটা বর্ডার এ পা দিবেন যা নেপালের বর্ডার।
কাকরভিটা বর্ডার পার তো হয়েছেন তাহলে আর টেনশন করবেন না। ব্রীজ পার হওয়ার পর একটু সামনে এসে দেখবেন বাস কাউন্টার। অর্থাৎ আপনি বর্ডার পার হয়ে ওই পারে যেতে সকাল ১০ টা বা ১১ টা বেজে গেল অথবা দুপুরের পর পার হয়ে পৌঁছালেন তাতে কোন সমস্যা নেই। বাস কাউন্টার থেকে কাঠমুণ্ডুর এসি বাসের টিকিট কেটে উঠবেন। এসি ডিলাক্স বাস Bihani AC Bus আছে যা সকাল ৬ টায়, ৭ টায়, আর বিকেল ৩ টায়, ৫ টায় ছাড়ে। তাই সকালে বা বিকেলে যে কোন টাইমে বাস পাবেন। যাইহোক কাউন্টার থেকে এসি বাসের টিকিট কেটে নিবেন। প্রতিজন ভাড়া ১৬৩০ রুপি নিবে আর সময় লাগবে ১৬/১৭ ঘণ্টা অর্থাৎ লং জার্নি হবে এটা নিশ্চিত থাকুন। তবে মাঝে ২/৩ যায়গা বিরতী দিবে যাতে ক্লান্তি দূর হয় আর রিফ্রেশ হয়ে নিতে পারেন। চাইলে বর্ডার পার হওয়ার পর খাবার হোটেল পাবেন। সেখান থেকেও খেয়ে বাসে উঠে কাঠমুন্ডুর উদ্দেশে রওনা করতে পারেন।

৪/৫ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর মেইন পাসপোর্ট এর মেইন পেজের ৪/৫ কপি করে সাথে নিবেন কারণ বর্ডার এ দেওয়া লাগবে আর হোটেলে উঠার সময় দিতে হবে। তাই আগে থেকে এসব সাথে করে নিয়ে গেলে আপনার জন্য সুবিধা হবে নতুবা ফটোকপির জন্য এদিক ওদিক করে সময় নষ্ট হবে।

কাকরভিটা বর্ডার থেকে নন এসি বাস পাবেন কিন্তু প্রচুর সময় লাগবে আর নয়েজ হবে আর অতিস্ট হয়ে যাবেন তাই Bihani AC bus ই আপনার জন্য বেস্ট হবে। এই বাসের সার্ভিস খুব ভালো।



সতর্কতাঃ এই ভ্রমন করোনার আগে। তাই করোনা পরবর্তী সময় কেউ ভ্রমনের গেলে মনে রাখবেন যে সব খরচ একটু হলেও বেড়ে গিয়েছে। তাই এই বাজেটের সাথে অতিরিক্ত ৫০০০-১০০০০ টাকা সেইফটির জন্য সাথে রাখবেন/

October 20, 2020
blank
পুন হিল ট্রেক
পুন হিল গোরেপানির কাছেই অবস্থিত একটি পাহারচূড়া, যেটির উচ্চতা ৩২১০ মিটার। নেপালের হিমালয়ের অন্নপূর্ণা রেঞ্জের অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে পুন হিল ট্রেক (Pun Hill Trek) […]
October 20, 2020
blank
চিন্তাফু ট্রেক
চিন্তাফু ট্রেক (Chintaphu Trek) ভার্জিন রুট না হলেও খুব কম মানুষই এই পথে পা মিলিয়েছেন। চিন্তাফুর ব্যাপারে তাই খুব মানুষই জানেন। স্থানীয় গাইডরা চিন্তাফুকে সান্দাকফু এর […]
October 19, 2020
blank
তিলিচো লেক
তিলিচো লেক (Tilicho Lake) পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু লেকগুলোর একটি যা নেপালের মানাং জেলার অন্তর্গত এবং এই লেকটি অন্নপূর্না সার্কিট ট্রেকের একটা অংশ হিসেবে বিবেচিত। সি লেভেল […]

Langkawi

Best Places: Pantai Chenang, Langkawi Sky Bridge

Langkawi is a beautiful Island of Malaysia with fabulous weather.

Duration:
2 days
Best Time:
Anytime
Airport:
Langkawi Int. Airport
Extras:
All inclusive

Best Price per person:

$200

Free Tour Guideline