আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ
October 18, 2020Sittong
October 19, 2020
কাশ্মীরি ভাষায় নাগ মানে ঝর্ণা এবং অনন্ত মানে অসংখ্য। তাই অনন্তনাগ মানে অসংখ্য ঝর্ণা। কাশ্মীরের পেহেলগাম (Pahalgam) জম্মু কাশ্মীর প্রদেশের অনন্তনাগ জেলার অন্তর্গত। স্থানীয়রা একে ইসলামাবাদ / পাহেলগাঁও নামে ডাকে। সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৭০০ সালে এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ। পরে মহারাজা গোলাব সিং ১৮৫০ সালের দিকে আবার এর নাম রাখেন অনন্তনাগ। শ্রীনগর – জম্মু হাইওয়ে ধরে প্রথমে অনন্তনাগ হয়ে পেহেলগাম। দূরত্ব শ্রীনগর থেকে ৯৬ কিঃ মিঃ। এশিয়ার সুইজারল্যান্ড খ্যাত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। প্রাইভেট জিপে যেতে সময় লাগে কম বেশি সাড়ে তিন ঘন্টার মত। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সবকিছু বরফে ঢাকা পড়ে বিধায় পর্যটক আগমন হ্রাস পায়। কাশ্মীরের অর্থকারী ফসলের মধ্যে আপেল ও জাফরান অন্যতম। অনন্তনাগ জেলায় সবচেয়ে বেশি আপেলের বাগান। পেহেলগাম যেতে রাস্তার দু’ধারে এসব বাগান চোখে পড়বে। প্রচুর পরিমানে জাফরানও চাষ হয় এই অঞ্চলে। খাবারের রং, ঘ্রান ও স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে
জাফরানের জুড়ি মেলা ভার। পাকস্থলীরও নানাবিধ রোগের উপশম করে। হাইওয়ে সংলগ্ন ড্রাইফুড এর দোকান থেকে জাফরান, কাজুবাদাম, আখরোট, কিসমিস ও নানান ধরনের মসলা কিনতে পারবেন। চায়ের মত বিশেষ পানীয় কাওয়া বা কাহওয়া এবং কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী খাবার ওয়াজওয়ান খেতে ভুলবেন না। পেহেলগাম যেতে আপনার সফর সঙ্গী হবে লিডার নদী। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে পাথরের উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়া পানি আপনার চোখ ও মন দুটোকেই ভরিয়ে দিবে।
বরফে মোড়ানো পর্বতশৃঙ্গগুলো এবং পাইন গাছের সবুজ ভ্যালিগুলো খুবই মনোরম। পেহেলগাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, জলবায়ু, ক্যাম্পিং সহ বলিউডের মুভি দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য বিখ্যাত। তাইতো পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় গন্তব্য হল পেহেলগাম।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
পেহেলগাম ভ্রমনের উপযুক্ত সময় মার্চ – নভেম্বর। এটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় রূপ নেয় এপ্রিল-মে মাসে। তবে যারা স্নোফল দেখতে কাশ্মীর যেতে চান তাদের জন্যে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি উত্তম। কারন এ সময়টায় কাশ্মীরে সব থেকে বেশী স্নোফল পাবার সম্ভাবনা থাকে।
পেহেলগাম যাওয়ার উপায় এবং খরচ
পেহেলগাম টুর দিতে চাইলে ২ ভাবে প্ল্যান করা ভাল।
১) আপনি যদি প্লেনে কলকাতা/দিল্লি থেকে কাশ্মীর ভ্রমনে যান তাহলে প্রথমে নামবেন শ্রীনগর। এরপর শ্রীনগর ঘুরে যাবেন গুলমার্গ, এরপর সোনমার্গ এবং শেষে প্যাহেলগাম। শ্রীনগর থেকে গাড়ি ভিজার্ভ করে দিনে দিনে পেহেলগাম ঘুরে আবার শ্রীনগর চলে আসা যায়। তবে পেহেলগামে ১ রাত থাকা উচিত প্যাহেলগাম এর আসল সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চাইলে।
২) আর আপনি যদি ট্রেনে যান তাহলে রুট হবে উল্টো। যদি আপনি ট্রেনে কোলকাতা/দিল্লি থেকে কাশ্মীর যেতে চান তাহলে টুর প্ল্যান উল্টো করলে উপকৃত হবেন। কারন ট্রেন থামবে জম্মুতে। তাই জম্মু থেকে প্রথমে প্যাহেলগাম যাওয়া উচিত। এরপর সোনমার্গ, গুলমার্গ এবং শ্রীনগর। আর মিনিমাম ৬-৮ জনের গ্রুপ টুর না হলে খরচ বাড়বে কারন জম্মু থেকে প্যাহেলগাম যেতে ৭০০০-৮০০০ রুপি গাড়ি ভাড়া লাগে। জম্মু থেকে প্যাহেলগাম ২৫৪ কিঃমিঃ। যেতে ৮-১২ ঘন্টা লাগে।
প্যাহেলগাম কি করবেন?
যদি জম্মু থেকে সরাসরি প্যাহেলগাম যেতে চানঃ খুব সকালে উঠে না্শতা করে বের হয়ে পড়েন। যেতে পথে পড়বে কাশ্মীরি ঈগল আর বুনফুলের বাহার আর পাহাড়ি উচু নিচু সাপের মত আকাবাকা খাঁড়া পথ এবং জওহর টানেল যা ৩ কিঃমিঃ বিস্ত্রিত। তার সাথে অজানা পথের লম্বা রাস্তা যার পাশেই আইসক্রিমের মত পাহাড়ের গায়ে লেপটে থাকা বরফ। যদি মার্চে এপ্রিলে যান তাহলে বরফ নাও পেতে পারেন। বরফ পেতে হলে ডিসেম্বর জানুয়ারি যাওয়া উচিত।
ড্রাইভারকে আপনাদের টাইটানিক ভিউ নামক অদ্ভুত সুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে যেতে বলবেন। বাহারি রঙের কাশ্মীরি টুপি দেখতে পাবেন। সেখানে দেখা কাশ্মীরি ঈগল আর বরফের পাহার দেখে নজর ফিরানো কঠিন। কিন্তু এক জায়গায় বেশিক্ষণ থেমে থাকলে যে মুসাফিরের হবার নয়। অতঃপর প্যাহেলগাম এরিয়াতে ঢুকতেই দুপাশে হলুদ সরিষার ফুলের মেলা আর তার বা পাশে শব্দ পাবেন পাহাড়ি অজানা গন্তব্যের কুলু কুলু ধ্বনির লিডার নদীর শব্দ যার মাঝে মনে হতেই পারে বিভিন্ন বড় পাথর যেন কেউ একে রেখেছে। গাড়ি থামিয়ে এমন দৃশ্যের পাশে চা না খেলে যে একবারেই নয়। তাই নেমে চা খেতে আর কিছু ছবিকে ক্যামেরাবন্দি করতে পারেন। চা শেষে পুনরায় বেদুইনের যাত্রা আর গন্তব্য সেই প্যাহেলগাম।
আর যদি শ্রীনগর থেকে প্যাহেলগাম যেতে চান তাহলে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারবেন। শ্রীনগর থেকে প্যাহেলগাম ৮৮ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। গাড়ি ভাড়া ২০০০-২৫০০ রুপি হবে।
প্যাহেলগাম ঢুকতেই চোখ আটকে যাবে দূর থেকে দেখা বরফি পাহাড়ের দিকে। একি কাণ্ড। এত গরম সহ্য করে এখানে এসে ঠান্ডায় জমে যাবার যোগাড়। যদি সম্রাট জাহাঙ্গির কাশ্মীরকে ভূস্বর্গ বলে থাকে তাহলে প্যাহেলগাম কে তার দরজা বলা যায়। তাই সেই সপ্নের দরজা দিয়ে ঢুকতেই পড়বে লোকাল মার্কেটের সামনে দিয়ে কিছু কিশোরের ঘোড়া নিয়ে আনাগোনা। সামনে পেরিয়ে যেতেই একটা ব্রিজ।
এই ব্রিজটিকে প্যাহেলগাম এ যেতে পুল-সিরাত বলতে ইচ্ছা হওয়া স্বাভাবিক মনে হতে পারে। ব্রিজ এ উঠে দেখবেন ডানে-বামে লিডার নদী আর তার সাথে অভিমানি শো শো শব্দ আরো তীব্র। আরো স্রোতস্বিনী। সেই নদিতে ঘোড়া নিয়ে এক ছোট্ট ছেলের ছুটে চলা দেখলে মনে হবে এমন দৃশ্য ছোটবেলায় দেখেছি কোন ছবিতে। ঘোড়া নিয়ে হিমালয় অঙ্গনে ঘোরার সাথে বেড়ে উঠা কিশোরের ছবি। এ হয়ত বিশাল কোন কিছু নয় কিন্তু চিন্তা করলে এমন দৃশ্যের কথা যদি হয়ে থাকে হিমালয়ের পাদদেশে বয়ে যাওয়া নদীর উপর দিয়ে যেন কিশোর বেলার একটা সুন্দর মুহূর্তকে কেউ ছবি একে রেখেছে আর তা আমাদের কেবল অবলোকন মাত্র, তাহলে তা কেবল মুগ্ধতাই বলা যায়। বেশি কালক্ষেপণ না করে ড্রাইভার কে বলেন লজে নিয়ে যেতে। লজের মধ্যে স্বর্গ প্যালেস অন্যতম। লজ হল হোটেল।
এবার আসি কেন কাশ্মীরকে মিনি বাংলাদেশ বলা হবেনা। শুরুতে আপনাদের কাছে ভাড়া চাইবে ২ হাজার রুপী এবং সে একেবারেই অটল। বলবে “ইসসে জ্যায়াদা কাম নেহি হ সাকতা কিউ কি ইয়ে হামারা সিজন কি বেস্ট টাইম হ্যায়” অগত্যা নিরাশ হয়ে ফিরতে হবে মনে হয়। সোজা গিয়ে নতুন করে নিজের পরিচয় দেন যে আমি অমুক এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছি। শুনেই বলবে মুসলমান মানে আমাদের ভাই আর ক্রিকেট মানেই আমাদের কাছে বাংলাদেশ, আর বাংলাদেশ মানেই আমাদের প্রাণপ্রিয় সাকিব-আল-হাসান, এমনকি পাসপোর্ট এর কপিও রাখবে না। বলবে, “জারুরাত নেহি”। স্বভাবতই বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার কে কাজে লাগিয়ে ১১০০ রুপিতে ঠিক করে ব্যাগেজ নিয়ে তড়িঘড়ি করে রুমে ঢুকে রেস্ট নেন।
রুমে ঢুঁকেই চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। এ যে দেখি ঘুরতে বাইরে যাবার দরকারই নেই। এত সুন্দর ভিউ যে লজ থেকে দেখা যেতে পারে এটা চিন্তার বাইরে। প্যাহেলগাম এর পুরো শহরটাই এখান থেকে পরিষ্কার দেখা যায়। লজের বারান্দায় বসে হিমালয় দেখতে দেখতে এক কাপ চা খাওয়ার কি যে খুব উচ্চ মানের মনরঞ্জন তা আর নাই বললাম। দুপুরের খাবার খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। প্যাহেলগাম এর মার্কেট পেরিয়ে সামনে এগিয়ে গাড়ি পার্ক করে সামনে কিছুদূর যেতে না যেতেই বুঝবেন এই ঠাণ্ডায় বেশি পালোয়ান ভাব নিয়ে লাভ নেই। এমনি স্বাভাবিক কিন্তু হাওয়ার আনাগনা শুরু হলে নাটের গুরুও হার মানতে বাধ্য। সামনে এগিয়ে গিয়ে ওখানেরই একটা ক্লাবের পার্ক এ ঢুকতে পারেন। টিকেট কাউন্টার এ বলবেন আমরা বাংলাদেশ থেকে আসছি। উনি বলবেন, যাবার সময় টিকেট এর দাম দিয়েন। অতপর ভিতরে ঢুকেই প্রথমেই যেদিকে চোখ যাবে তা হচ্ছে ঘাসের সাথে মিলে থাকা কিছু অপরুপ সাদা ফুল। এগুল কেউ লাগিয়েছে ?
বাগানে থাকা লোকটি উত্তর দিলে ভূস্বর্গে থাকা কিছু ফুল আল্লাহর দেওয়া কুদরত। সেই ফুল দিয়ে চার দিকে আচ্ছাদিত একটি কাঠের বেঞ্চ বসেন। কিছুক্ষণ হিমালয়ের দিকে তাকিয়ে রইলে মনে হবে যেন টাইম মেশিন দিয়ে কেউ সময়টিকে আটকে রেখেছে। সময়টা স্থবির। কিছু অবর্ণনীয় সৌন্দর্য অবলোকন শেষে ২০ রুপি টিকেটের দাম দিয়ে বেরিয়ে পড়েন লোকাল মার্কেট ঘুরতে। মার্কেট ঘুরে শালের বাহার দেখে মাথা ঘুরবার যোগাড় হবে। সামনে পাশ্মিনা, স্টল, কাশ্মীরি ট্র্যাডিশনাল ও উলের সহ নানান ধরনের শাল দেখবেন। কোনটা রেখে কোনটা কিনবেন তাই ভেবে পাবেন না। দামদর করতে ড্রাইভার আঙ্কেল এর হেল্প নিতে পারেন।
পরের দিনঃ
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বলেন ঘোড়া নিয়ে আসতে। ঘোড়া চলে আসল। আগের রাতেই কথা বলে রাখবেন ঘোড়ার ব্যাপারে। আর প্যাহেলগাম ঘুরতে ঘোড়ার যে বিকল্প একেবারেই নেই। ঘোড়ায় চরে রওনা দেন পাহাড়ে চরার জন্যে।
ঘোড়া যখন উপরে ওঠার জন্যে ঠক ঠক শব্দ করা আরম্ভ করলে সেটা খুব মজাই লাগবে। কিন্তু যখন উপরে উঠতে ঘোড়া যে মই এ ওঠার কৌশল নিবে তা দেখে হার্ট ভয়ে বের হয়ে যাবার যোগাড় হতে পারে। কিন্তু ঘোড়া জানে তার কাজ কি আর কিভাবে কোথায় পা রেখে উঠতে হবে। যেতে যেতে পাহাড়ি অনেক সাদা সাদা ফুল দেখবেন যেন ছবির মত কেউ একে রেখেছে। কিন্তু কোমরের অবস্থা বারোটা বেজে যাবে। সেই সাথে আছে পরে যাবার ভয়। যেতে যেতে পৌঁছবেন কাশ্মীর ভ্যালীতে। এখান থেকে পুরো প্যাহেলগাম দেখা যায়। দেখবেন কিছু বাচ্চা, মহিলা, আর বুড় লোক ওখানে বসে ঠান্ডায় জবু থবু হয়ে বসে কাপছে। তাদের বিনিয়োগ একটাই। খরগোশ নিয়ে বসে থাকা। যদি খরগোশ নিয়ে ছবি তুলতে হয় টাকা দিতে হবে। কেবল খরগোশের সাথে কিছু ছবি।
আবার ঘোড়ায় সাওায়ার হবেন। যাবার পথে চোখে পড়বে তীব্র গতিতে উপর থেকে আছড়ে পরা বরফ গলা ঠাণ্ডা ঝরনার। ঘোড়ায় চড়ার সময় বুঝতে পারবেন যে সে মালিকের কথাই কেবল অনুসরন করে। আর সব কথাও বুঝে। কিছুদুর সামনে যেতেই মনে হবে এটা আমার ছবিতে দেখা কোন জায়গার ওয়ালপেপার। জায়গাটির নাম বাইসারান মিনি সুইজারল্যান্ড। ১৫ রুপি দিয়ে টিকেট নিয়ে ঢুকবেন গেট পেড়িয়ে। গেট বলতে কিছুই নয়। ভিতরে ঢুকে কিছুই করবেন না। শুধু হিমালয় চুড়া আর তার ঢালে সগর্বে দারিয়ে থাকা পাইন গাছ দেখার জন্যে সাধু স্টাইলে সবুজ ঘাসের উপর বসে থাকবেন। আমি কি সত্যি দেখছি নাকি ছবি। বুঝতেও কিছু সময় লেগে গেল। কিন্তু যাযাবর এক জায়গায় বসে থাকলে কিভাবে চলে?
কিছুদুর সামনে যেতেই কিছু ছবিকে বন্দি করে নিয়ে ফিরে চলার পুরনো প্রয়াস। ফেরার পথে তো আরও বিপদ। চরাই এর থেকে উতরাইতে বিপদের কাটা বেশিই মনে হয় দুলে থাকে। মনে হয় এই বুঝে গেলাম পরে। এত প্রশিক্ষিত ওস্তাদ মার্কা ঘোড়াও বুঝতে পারছেনা কোথায় পা রাখবে। । প্রতি ঘোড়া টাকা লাগবে ১৫০০ রূপি। সেই সাথে ঘোড়াওয়ালাকে ১০০ রুপি টিপস দিতে পারেন। প্যাহেলগাম এসে আইল্যান্ড পার্ক না ঘুরলে যে নিতান্তই বোকামি। লিডার নদীর মাঝে কিছু পাথরের উপর বসে থাকতে পারেন কিছুক্ষন। আর স্রোতের এ নদীর কথা কেবল একটাই। তার পথ চলার শো শো শব্দ। বলাই বাহুল্য যে ক্যামেরারও ক্ষমতা নেই সমান সৌন্দর্যের ছবিকে বন্দি করতে। প্যাহেলগাম এসে মনে হবে সৌন্দর্যের সীমা নেই, রাখেনি তাকে কেউ আটকে। সৌন্দর্য পুরো প্যাহেলগাম জুড়ে।
পেহেলগাম থেকে চান্দেনওয়ারী যেতে সময় লাগে ৩০ মিনিট। চান্দেনওয়ারী,আরু ভ্যালী আর বেতাব ভ্যালী এই ৩ জায়গা দেখতে গাড়ী ভাড়া ১৬০০ রুপি।