থাইল্যান্ডের রাজধানী হল ব্যাংকক। কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের সবার পছন্দের জায়গা হল ব্যাংকক। এখানে থাকা-খাওয়া এবং ঘুরাঘুরির জন্য খরচ তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য দেশের থেকে অনেক কম। তাই বাংলাদেশি ট্যুরিস্টরা থাইল্যান্ডের ঘুরতে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আমাদের এই পোস্টে থাইল্যান্ডের কোন কোন জায়গায় কেমন খরচে আপনি নিজেই ভ্রমণ করতে পারবেন সেই বিষয়ে ভালোভাবে দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হলো। আশাকরি এখান থেকে আপনি একটি স্বচ্ছ ধারণা পাবেন, এরপর কোনো রকম প্রশ্ন থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। SIC টুর এন্ড ট্রাভেল টুরিস্টদেরকে সবসময় ফ্রী অফ কস্ট ট্যুরের সকল রকমের গাইডলাইন প্রদান করে থাকে।
ঢাকা থেকে কিভাবে ব্যাংককে ভ্রমণ করবেন ?
ঢাকা থেকে ব্যাংকক এ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বছরের বিভিন্ন সময়ে দারুন দারুন অফার দিয়ে থাকে। থাই লায়ন এয়ার 2019 সালে মাত্র 12 হাজার টাকায় ঢাকা থেকে ব্যাংককের আপডাউন টিকিট দিয়েছিল। সেই সোনালি দিন এখন আর নাই। এখন আপনি যদি ব্যাংকক ঘুরতে যেতে চান তাহলে মিনিমাম এয়ার ফেয়ার এর বাজেট থাকতে হবে ৩০,০০০-৩৫,০০০ টাকা। মাঝে মাঝে বাংলাদেশ বিমান অফার দিয়ে থাকে। তখন আপনি ২৭,০০০ টাকায় পেয়ে যেতে পারেন কিন্তু সেটা খুবই সীমিত সময়ের জন্য। এছাড়াও Air Asia অফ সিজনে বছরে একবার আপ-ডাউন টিকিট মাত্র ১৯০০০ টাকায় দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি বছরে এই অফারটি নিতে চান তাহলে এসব এয়ারলাইন্সের ফেসবুক পেইজে চোখ রাখতে পারেন অথবা আমাদের পেইজে চোখ রাখতে পারেন। আমরা আপনাদের টিকিট কেনার সম্পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করে থাকতে পারবো।
থাইল্যান্ড ভ্রমণ করার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় গ্রুপে টুর দিলে। যদি তা না পারেন তাহলে চেষ্টা করবেন কাপল হিসেবে টুর দিতে তাহলে আপনাদের অনেকাংশে খরচ কমে যাবে। কিভাবে খরচ কমবে সেই ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়ে দিব। ভ্রমনের পূর্বে যেসব ব্যাপারে খেয়াল রাখবেনঃ
- ভিসা হবার পর ৩ মাস সময় পাবেন। এর মধ্যে ভ্রমন করতে হবে।
- হোটেল বুকিং ভ্রমনের ৩ মাস আগেই করার চেষ্টা করবেন।
- এয়ারলাইন্সের অফারগুলো পেতে চোখ কান খোলা রাখবেন।
- ভ্রমনের সময় ব্যাগে অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে ব্যাগ ভরবেন না।
- টিকিট, পাসপোর্ট, ডলার, প্রয়োজনীয় কাপড় জিনিসপত্র ১ সপ্তাহ আগে থেকে গুছিয়ে ফেলুন।
ভ্রমন করার পূর্বে যা করতে হবেঃ
কোন বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্সি কে শুধুমাত্র ভিসা করিয়ে দিতে বলবেন। যদি আপনার পরিচিত না থাকে তাহলে আপনার আশে পাশে মানুষদের থেকে মতামত নিতে পারেন। তা না হলে আমরা করিয়ে দিব। ভিসা করতে ৪৮০০-৫০০০ টাকা লাগতে পারে জন প্রতি। এটা ভ্রমনকাল এবং এম্বাসি এবং ট্রাভেল এজেন্সির উপর নির্ভর করে। ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা লিঙ্কে দেয়া হল। ডাউনলোড করে দেখে নিবেন।
ব্যাংককে ঘুরতে চাইলে আপনার ভ্রমণের পূর্বেই মিনিমাম তিন মাস আগে booking.com থেকে আপনার হোটেলটি বুক করে নিতে পারলে হোটেল বুকিং এর খরচ অনেক কমে যাবে। শুধুমাত্র ব্যাংককে যদি আপনি ঘুরতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই ব্যাংককের MBK Center এর আশেপাশে অথবা Siam Paragon এর আশেপাশে হোটেল বুকিং করলে সবচেয়ে ভালো হয়। booking.com এর অনেক হোটেলে আমাদের 10% ডিসকাউন্ট রয়েছে, আপনি চাইলে আমাদের কাছ থেকেও সেই সুবিধাটা নিতে পারেন। 3 মাস আগে ট্যুরের প্ল্যান করলে সবচেয়ে ভালো হয়, তাহলে কম খরচে হোটেল পাবেন খুব ভালো মানের হোটেল প্রতি রাতের জন্য 2000 টাকা পেয়ে যাবেন। অনেক এজেন্সি ব্যাংককের অনেক দূরে দূরে হোটেল বুকিং করে দিয়ে থাকে যেখানে ভাড়া অনেক কম। আপনি প্রতি রাতে ১৫০০ টাকা তেও হোটেল পাবেন কিন্তু আপনি যদি সেই সব হোটেল থাকেন তাহলে যেসব জায়গায় আপনি শপিং করতে যাবেন বা ঘুরতে যাবেন সে সব জায়গা অনেক দূরে হয়ে যাবে এবং আপনার যাতায়াতের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঢাকা থেকে ব্যাংককে টুর:
বাংলাদেশের ঢাকা থেকে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট ব্যাংককের যেকোনো দুইটা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এর একটিতে অবতরণ করে একটি হলো Suvarnabhumi international Airport আরেকটি হলো Don Mueang international airport। সাধারণত বেশিরভাগ ফ্লাইট Don Mueang international airport অবতরণ করেন। বাংলাদেশ বিমান এবং থাই এয়ারওয়েজ Suvarnabhumi international Airport এ অবতরন করে। Air Asia Don Mueang international airport এ অবতরন করে। এয়ারপোর্ট থেকে আপনি Immigration পার করে ব্যাগেজ কাউন্টার থেকে আপনার ব্যাগ নিয়ে বের হবেন। যদি আপনার সাথে ৭ কেজি ওজনের বেশি হ্যান্ড লাগেজ না থেকে তাহলে তো ব্যাগেজ কাউন্টার এ যাওয়ার দরকারই নাই। চেষ্টা করবেন ৭ কেজির মধ্যে হ্যান্ড লাগেজ নিতে। কারন MBK Centre এ অনেক কম দামে খুব সুন্দর সুন্দর লাগেজ পাওয়া যায় যা বাংলাদেশের থেকে ৩ ভাগ দাম কম।
ব্যাংককে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে আপনি আপনার হোটেলে চলে যেতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনার গুগল ম্যাপ জিপিএস লোকেশন আপনাকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রদান করবেন। তবে ট্যাক্সি নেওয়ার আগে আপনি অবশ্য একটি সিম কিনে নিবেন এয়ারপোর্ট থেকে এবং যতদিন এর জন্য সেখানে থাকবেন ততদিনের জন্য ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করে নিবেন। এরপর ট্যাক্সি ভাড়া করে আপনার হোটেলে সরাসরি চলে যাবেন। আগে একটা সময় ছিল যখন ট্যাক্সি ভাড়া আপনার কাছে যেটা চাবে অবশ্যই আপনি তার তিনভাগের একভাগ দাম বলা লাগত। এখন আর সেটা নেই। ব্যংককে এখন GRAB আছে যেটা আমাদের দেশে Uber Pathao এর মত। এখন টেক্সি চলে মিটারে। তাই বাড়তি ভাড়া নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। আমরা পূর্বেই বলেছি যে ব্যাংকক বিখ্যাত হচ্ছে শপিংয়ের জন্য এবং পাতায়া বিচ এর জন্য। তাই এর আশেপাশে হোটেল নেওয়াটাই উত্তম তা না হলে আপনাকে যেকোন জায়গায় যেতে বারবার ট্যাক্সি নিতে হবে এবং আপ্পান যাতায়াত খরচ অনেক বেড়ে যাবে কারণ ব্যাংককে ট্যাক্সি ভাড়া অনেক বেশি। আর আমাদের ভিডিওগুলো দেখতে পারেন। তাহলে কিভাবে কম খরচে ব্যংকক ঘুরতে পারবেন তাঁর ধারনা পেয়ে যাবেন।
MBK Centre হল ব্যাংককে শপিংয়ের জন্য বিখ্যাত জায়গা। এখানে পৃথিবীর নানা রকম বিচিত্র জিনিস আপনি কিনতে পারবেন অনেক কম দামে। এ সেন্টারের বাইরে ফুটপাতেও অনেকে অনেক কিছু বিক্রি করে থাকে সেগুলো আরো সস্তায় পেতে পারবেন। MBK Centre এবং তার আশেপাশে শপিংমলগুলো ঘুরতে আপনার প্রায় একদিন সম্পূর্ণ দিন সময় লাগবে। হোটেল যদি MBK Centre এর আশে পাশে হয় তাহলে পুরো জায়গাটা আপনি হেটে হেটেই ভ্রমন করতে পারবেন।
ব্যাংকক সিটিতে আরেকটি আকর্ষণীয় জায়গা হচ্ছে মাদাম তুসোর মোমের জাদুঘর। এখানেও আপনি যেতে পারবেন। MBK Centre সেন্টার থেকে দশ থেকে পনেরো মিনিটের হেঁটেই যেতে পারবেন। Siam Paragon এ অবস্থিত। সেখানে এন্ট্রি ফি ৮০০ baht ছিল ২০১৯ সালে। আপনাকে সেখানে দামদর করতে হবে এবং চেষ্টা করবেন ৫০০ baht এ ম্যানেজ করতে। মাদাম তুসো জাদুঘরে আপনার ছবি তুলে দিতে যাবে। মনে রাখবেন সেই ছবিটা আপনি যদি চান করে বাঁধাই করে নিয়ে আসতে পারেন তার একটি স্যাম্পল আপনাদেরকে আমরা দেখাচ্ছি তবে আপনাকে এই ছবির জন্য 200 থেকে 300 baht চেয়ে বসতে পারে আপনি কখনোই 50 baht বেশি দাম বলবেন না।
MBK Centre এর আশে পাশে থাকলে আপনি চাইলে ১ দিন পাতায়া বিচ খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন। MBK Centre থেকে ১৮০ কিঃমিঃ দূরে পাতায়া বিচ অবস্থিত। সেখানে ট্যাক্সি ভাড়া ১০০০ baht চাইতে পারে। ৫০০ baht এ ম্যানেজ করার চেষ্টা করবেন । গুগল ম্যাপে আপনি চাইলে লোকেশন দেখে নিতে পারেন। পাতায়া বিচে আপনি সারাদিন সময় কাটাতে পারেন। খুবই সুন্দর একটি মনোরম বিচ।
এটা ছাড়াও ব্যাংককে আপনি সিটি টুর দিতে পারেন। একটি জিনিস সবসময় মনে রাখবেন, সিটি ট্যুরের জন্য আপনার হোটেলে আশেপাশে নানারকম লোকাল ট্রাভেল এজেন্সি সেখানে দেখতে পারবেন। সেই ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে আপনি চাইলে সারাদিনে অথবা অর্ধ বেলার সিটি টুর প্যাকেজ কিনে নিতে পারেন। এখানে আপনাকে দামদর করতে হবে। আপনার কাছে যে টাকা চাইবে আপনি তার তিনভাগের একভাগ দাম বলবেন। তবে সিটি ট্যুর এর জন্য আপনার থাইল্যান্ড গিয়ে লোকাল যেসব এজেন্সি আছে তাদের কাছ থেকেই প্যাকেজ নেয়া উত্তম কারন আপনি যদি বাইরে থেকে প্যাকেজ নেন তাহলে আপনার অনেক দাম পড়ে যাবে। ১৫ ডলার এর প্যাকেজ আপনার কাছে ২০০ ডলার চেয়ে বসতে পারে। লোকাল ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ব্যংককে আপনার হোটেলের নিচেই দেখতে পারবেন। ব্যাংকক সিটিতে আর যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার একটি চিত্র আপনাদের কাছে নিচে তুলে ধরা হলো। ১ baht = ৩ টাকা।
ব্যাংককে খাওয়া-দাওয়া: ব্যাংককে খাওয়া-দাওয়া বাংলাদেশ থেকেও সস্তা। সেখানে আপনি স্ট্রীট ফুডে দারুন দারুন জিনিস খেতে পারবেন অনেক কম টাকায়। বাংলাদেশি টাকার 100 টাকায় আপনি ভরপুর চিকেন ফ্রাইড রাইস খেতে পারবেন। এটা ছাড়াও আপনি নানারকম ওদের বিখ্যাত খাবারের আইটেম আছে সেগুলো টেস্ট করতে পারেন। ব্যাংককে কেএফসি Available. কেএফসি তো আপনি খেতে পারেন। কেএফসি খাওয়ার খরচ বাংলাদেশের কেএফসি থেকেও কম। এছাড়া আপনি সব জায়গায় Seven-Eleven এবং Family Mart পাবেন। সেখানে আপনি নানারকম ফাস্টফুডের আইটেম এবং খাওয়ার আইটেম পাবেন যেগুলো হালাল। খাবারের মান অনেক ভালো এবং দাম অনেক কম। প্রতিদিন কাপলদের 1000 টাকায় সারাদিন তিনবেলা দারুন খাবার হয়ে যায়। ।
যেসব উল্লেখযোগ্য দিক গুলো সব সময় মাথায় রাখবেন:
- নিজের পাসপোর্ট, টাকা, এয়ার টিকিট সব সময় নিজের সাথে রাখবেন এবং খেয়াল রাখবেন। হোটেলে রেখে বের হবেন না। সাথে নিয়েই ঘুরবেন।
- থাইল্যান্ড ভ্রমণ করার জন্য আপনার যে ডলার সাথে করে নিয়ে যাবেন চেষ্টা করবেন সেটা MBK Centre এর আশেপাশে ভাঙ্গাতে।। তাহলে রেট ভাল পাবেন। কখনোই এয়ারপোর্ট থেকে ডলার ভাঙ্গাবেন না যদি খুব প্রয়োজন হয় তাহলে 50 ডলার ভাঙ্গাবেন। কারণ এয়ারপোর্টে দুনিয়ার সব দেশে রেট সবচেয়ে কম দিয়ে থাকে। 50 ডলারে সিম কেনা, হোটেল পর্যন্ত যাওয়া এবং ১ বেলা খাবারের খরচ এবং হোটেলে এডভান্স টাকা দেয়াও হয়ে যাবে। হোটেলে আপনাকে পাসপোর্ট এবং ১ দিনের এডভান্স টাকা জমা দেয়া লাগতে পারে সিকিউরিটির জন্য। সেজন্য ভয় পাবেন না। আপনার পাসপোর্ট, টিকিট, হোটেল বুকিং আর ভিসার ফটোকপি সাথে রাখবেন।
- যেই জায়গায় ভ্রমণ করবেন সব সময় গুগল ম্যাপ দিয়ে জিপিএস ট্র্যাক করে ভ্রমণ করবেন।
- লোকাল কোন মানুষের কাছ থেকে কোন জিনিস কিনতে চাইলে এমনি এমনি দাম জিজ্ঞেস করবেন না কারণ তারা তাদের দাম বলার পর আপনাকে কেনার দাম বলতে বলবে এবং এটা আপনি বলতে বাধ্য নই আপনাকে বাজ এভাবে ট্রিট করতে পারে। যদি কেনার ইচ্ছা থাকে কোন কিছু তাহলে এমনি এমনি দাম জিজ্ঞেস করবেন না।
- যেখানে সেখানে ময়লা অথবা থুথু ফেলবেন না।
ব্যাংকক যাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ে গরম একটু কম থাকে। অবশ্যই ফেরার সময় আপনি মিনিমাম 500 বাধবো কেটে রাখবেন কারণ আপনার এয়ারপোর্টে আসতে এবং এয়ারপোর্টে অল্প কিছু খেতে আপনার পকেটের মিনিমাম 500 বাদ বাংলাদেশি টাকায় পনেরশো টাকার মত থাকা উচিত।
ব্যাংকক কে শপিং করার জন্য এবং পাতায়া বিচ ঘোরাঘুরি করার জন্যই বেশিরভাগ মানুষ যেয়ে থাকেন। যেহেতু ব্যাংককেও UBER অথবা Pathao এর মতো কোনো গাড়ির সার্ভিস নাই তাই সেখানে লোকাল গাড়ি চালকরা টুরিস্ট দেখলেই অনেক বেশি ভাড়া চেয়ে থাকেন। আপনি খরচ বাঁচানোর জন্য অবশ্যই সেসব গাড়িচালকদের সাথে দামদর করতে হয়। ধরুন আপনার কাছে ভাড়া চেয়ে বসল 500 baht. আপনি সেটা অনায়াসে 200 baht এ যেতে পারবেন যদি আপনি তার সাথে দামদর করতে পারেন। আরো ভালো হয় আপনি যদি বাস সার্ভিস ব্যবহার করেন। যেহেতু থাইল্যন্ডে ইংলিশ এর প্রচলন অনেক কম তাই কোন বাস কোন রুটে চলে সেটা প্রথমেই পৌঁছানোর পরে আপনি আয়ত্ত করতে পারবেন না। দেখা যাবে এক রুটের বাসে উঠতে গিয়ে অন্য রুটে বাসে উঠে যেতে পারেন। তাই যদি প্রথম থাইল্যান্ড ভ্রমণ করে যেতে চান তাহলে বাস সার্ভিস/MRT না জেনে ব্যবহার করা উচিত না।
ব্যাংককে যাদের শপিং করার ইচ্ছা থাকে তাদের একটা জিনিস সবসময় মাথায় রাখা উচিত এই যে আপনার যদি শুধুমাত্র ব্যাংককে ভ্রমণ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে ব্যাংকক থেকে শপিং করে আপনি দেশে ফিরতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি ব্যাংক থেকে অন্য কোন স্টেটে ভ্রমণ করতে যান যেমন PHUKET তাহলে ব্যাংককে এয়ারপোর্ট থেকে নেমে ব্যাংকক শহরে প্রথমে না ঘুরে কানেক্টিং ফ্লাইট এ অথবা কাছাকাছি আরেকটা ফ্লাইটে PHUKET ঘুরতে যাওয়াই উত্তম। এর কারণ হচ্ছে অন্যান্য স্টেটে ঘুরতে গেলে আপনার ব্যাগের ওজন ৭ কেজির বেশি হতে দেয় না। যদি সাত কেজির বেশি ব্যাগের ওজন বহন করেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হবে। আর ব্যাংককে জিনিসের দাম যত হবে অন্যান্য স্টেটে তার থেকে দুই থেকে তিনগুণ দাম বেশি হবে। তাই অন্যান্য স্ট্যাটাস কেউ শপিং করতে যায় না। সেখানে ঘুরাঘুরি শেষ করে আবার ব্যাংককে ফিরে এসে শপিং করাই উত্তম।
ভাল লাগলে শেয়ার করুন।